কুড়িগ্রাম থেকে চাকরির আশায় ঢাকায় এসেছি।
তলপেটে প্রচণ্ড চাপ।
বাস থেকে নেমেই ছুটলাম কাউন্টারের টয়লেটে।
দেয়ালে লেখা, ‘ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই রাশিয়ায় চাকরি। যোগাযোগ...।’
টয়লেটের দরজা খুলতেই আঁতকে উঠলাম। অনবরত ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে কাউন্টারের কাচে দেখলাম, আমি পাখি হয়ে গেছি!
কাউন্টারের লোকটা হতবিহ্বল। হঠাৎ ‘ইয়া খোদা’ বলে ছুটে গেল বাইরে। আটকে দিল দরজাটা।
ফোন হাতে ছুটে এল জনতা।
কাউন্টারের টিভিতে লাইভ টেলিকাস্টে দেখলাম নিজেকে। খবরের শিরোনাম: গাবতলীর বাস কাউন্টারে রহস্যময় অচেনা পাখি!
বিকেলে পাখিপ্রেমীরা আমাকে ছেড়ে দিল মিরপুর চিড়িয়াখানার লেকে।
উড়তে উড়তে খেয়াল করলাম, মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে আমারই মতো দেখতে একঝাঁক পাখি।
ওরা নাকি যাচ্ছে রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলে!