বেজমেন্টে ওটা কী
আমার নাম সের্গেই, মিডল স্কুলে পড়ি। বাড়িতে শুধু আমি আর মা।
যখন অনেক ছোট ছিলাম, তখনই বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যান। উনি এখন কোথায় থাকেন জানি না। মা বলেন, বাবা নাকি অন্য কোনো শহরে আছেন, আরেকটা বিয়ে করেছেন।
আচ্ছা, বাবার নতুন স্ত্রীর কি বাচ্চাকাচ্চা হয়েছে? ওদের নিয়ে নিশ্চয় অনেক সুখে আছেন বাবা।
মায়ের কথা নাহয় বাদই দিলাম, আমার কথা কি একটুও মনে পড়ে না লোকটার?
স্কুলের সব ছেলেমেয়ের বাবা আছে, অবশ্য অনেকের বাবা মারাও গেছেন। কিন্তু আমার মতো আর কেউ নেই, যার বাবা তার সঙ্গে থাকেনই না!
তারপরও বাবার অভাব কখনোই আমাকে বুঝতে দেয়নি মা। আমার মা আমাকে অনেক ভালোবাসে।
খুব সকালে আমাকে ঘুম থেকে ওঠায় মা, দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা একদমই পছন্দ নয় তার। দাঁত মেজে আমি টেবিলে আসি। দুজন মিলে সকালের নাশতা করি। আমার জন্য দুপুরের খাবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেয় মা।
তারপর গাড়িতে উঠে বসি আমরা। আমার স্কুলে নামিয়ে মা অফিসে চলে যায়।
বেলা তিনটায় আমার স্কুল ছুটি হয়। বাড়িতে এসে মায়ের রেখে যাওয়া খাবার খেয়ে নিই। তারপর বাড়ির এখানে–সেখানে ঘুরি, মাঝে মাঝে পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে মিশি, লনে খেলি।
পাড়াতে মায়ের তেমন সুনাম নেই। অন্য বাড়ির গিন্নিদের সঙ্গে তেমন কথাই বলে না মা। তাই বলে আমাকে পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে মিশতে আটকায় না।
মাঝে মাঝে আমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় মা। আমরা পার্কে ঘুরি, সিনেমা দেখি, মাঝে মাঝে নৌকায় উঠি! আমার না খুব শখ একবার মস্কোতে যাওয়ার। মা বলেছে সামনের বড়দিনের ছুটিতে আমাকে মস্কোতে নিয়ে যাবে। ওখানেই আমরা নববর্ষ পালন করব।
আমি খুব খুশি।
আমার মাকে পাড়ার লোকেরা গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ বলেই জানে। কিন্তু আমার সঙ্গে সব সময়ই হেসে হেসে কথা বলে মা।
সন্ধ্যায় কেক কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল ও। এ সময় রাস্তা বলতে গেলে ফাঁকাই থাকে…কিন্তু আন্দ্রে তো কিছুরই পরোয়া করত না। তাই বেশি সাহস দেখাতে দোকানের দিকে হাঁটা দিয়েছিল ও। তারপরই হুট করে প্রাণীটার সামনে পড়ে যায়…
শুধু একটা ব্যাপার অদ্ভুত লাগে! বেজমেন্টে কখনো আমাকে যেতে দিতে চায় না মা। বেজমেন্টে যাওয়ার কথা বললেই রেগে যায়!
শুধু এই একটা কারণেই আমি মাকে রাগতে দেখি!
আমাদের এই ছোট্ট শহরটা না একটু অদ্ভুত। ফেব্রুয়ারি এলেই এখানে মৃত্যুর নিস্তব্ধতা নেমে আসে। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত কাজ না থাকলে কেউ রাস্তায় বের হতেই চায় না!
মাকেও দেখি সন্ধ্যার মধ্যেই চলে আসে।
এ বছরও ফেব্রুয়ারি চলেই এল!
ফেব্রুয়ারি মাসে নাকি আমাদের ছোট্ট শহরের অলিগলিতে অদ্ভুত একটা প্রাণীকে দেখা যায়! ওটা দেখতে কেমন সেটা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারে না, তবে শহরের বুড়োরা বলে ওটা নাকি অর্ধেক মানুষ আর অর্ধেক পশু!
***
স্কুলের সেই অদ্ভুত প্রাণীটাকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
‘আরে শোনো, ওটার শরীর ঘোড়ার আর মাথাটা মানুষের, প্রাচীর যুগের সেসব অশ্বমানবের মতো,’ চিৎকার করে উঠল ক্লাসের সবচেয়ে লম্বা ছেলে ইভান।
‘তাই বুঝি? রূপকথার বইয়ে অমন পড়েছি আমি,’ মিনমিনিয়ে বললাম।
‘আরে ধুর, ওটা একটা ভয়ংকর নেকড়েমানব, আমার খালা আমাকে বলেছে,’ পাশ থেকে বলল পলিনা।
স্বর্ণকেশী এই মেয়েটাকে মনে মনে পছন্দ করে ইভান।
‘হ্যাঁ হ্যাঁ, ওটা নেকড়েমানবও হতে পারে,’ সঙ্গে সঙ্গে সায় দিল সে।
‘আরে ধুর! ছাগলের দল! ওসব কিছুই নেই!’ ততক্ষণে সেখানে হাজির হয়েছে আন্দ্রে। ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র সে, বিজ্ঞানের বাইরে কিছুই মানতে চায় না ব্যাটা।
‘তাই না? তো এত মানুষ মিছে বলে?’ খেঁকিয়ে উঠল ইভান।
‘মানুষ অনেক কিছুই বলে, সবকিছু বিশ্বাস করলে চলে নাকি?’ আন্দ্রের মুখে তাচ্ছিল্যের হাসি।
‘ওটা আছে! আমাদের শহরেই আছে!’
‘আরে যাও যাও! আধুনিক বিজ্ঞান ওসব মানে না, তোমরা দেখি গুহামানবদের মতো কথাবার্তা বলছ!’
‘আন্দ্রে, সত্যিই অমন কিছু নেই?’ মিনমিনিয়ে বললাম আমি।
‘নেই নেই! কিচ্ছু নেই!’
‘বেশি ভাব দেখিয়ো না আন্দ্রে, আমার পরিবারের সবাই জানে ওই ভয়ংকর প্রাণীটার কথা! ওরা সবাই মিথ্যা বলে তাই না?’ রেগে উঠল পলিনা।
‘মানুষ চিরকালই এসব কল্পনায় রং চড়াতে ভালোবাসে,’ জোরে হেসে উঠল আন্দ্রে।
ততক্ষণে ক্লাসে শিক্ষক এসে গেছেন, তাই আর আলোচনা এগোল না। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিদিনই আমাদের স্কুল একটু আগে আগে ছুটি দিয়ে দেওয়া হতো।
আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কিছু না বললেও আমরা ঠিকই বুঝতে পারতাম যে ওই অপার্থিব প্রাণীটার ভয়েই এসব হচ্ছে।
***
আজকাল মা কেমন যেন হয়ে গেছে। আমাকে কারণে–অকারণে বকে। অবশ্য একেবারেই যে অকারণে বকে, তা নয়! আমি আজকাল খুব বেজমেন্টের কাছে যাই। বেজমেন্টের ভেতর যে বন্ধ ঘরটা আছে…ওখান থেকে অদ্ভুত একটা শব্দ আসে। কুকুর কাঁদলে যেমন শব্দ হয়, অনেকটা তেমন…
তাই মাঝে মাঝেই ওদিকে যেতে চাই আমি!
‘কখনো ওদিকে যাবে না! গেলে কিন্তু একদম আস্ত রাখব না,’ কঠোর গলায় বলে মা।
‘আচ্ছা মা, ওই প্রাণীটা…যার কথা শহরের সবাই বলে, ওই প্রাণীটা কি সত্যিই আছে?’ হতাশ হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম আমি।
‘এই বেজমেন্টের সঙ্গে ওই প্রাণীটার সম্পর্ক কী?’ একটু যেন থতমত খেয়ে গেল মা!
‘না মা, এমনিই জিজ্ঞাসা করছি!’
‘ওটা থাকলেই কী আর না থাকলেই কী? আমাদের ওসব চিন্তা করার সময় নেই! মন দিয়ে পড়াশোনা করো!’
‘জানো মা, আমাদের ক্লাসে আন্দ্রে বলে একটা ছেলে আছে, ও মানতেই চায় না যে এমন একটা প্রাণী থাকতে পারে।’
‘ওর মানা বা না মানাতে কী যায় আসে?’
‘তার মানে তুমি বিশ্বাস করো যে এমন প্রাণী আছে?’
‘আমার বিশ্বাসে কিছু এসে যায়?’
বিরক্ত হয়ে চুপ গেলাম। মা খুব জেদি মহিলা…বুঝতে পারলাম তার এসব নিয়ে কথা বলার কোনো ইচ্ছা নেই।
***
বেজমেন্টের ভেতর আজকাল খুব ঘোরাঘুরি করছি। তবে ওই দরজাটা থেকে দূরেই থাকি। কুকুরের মতো সেই গোঙানিটা একটু পরপরই ভেসে আসে। ওই দরজায় সব সময়ই বড় একটা তালা মারা থাকে। কিন্তু তারপরও…গা ছমছমে ভাবটা যায় না!
বেলা তিনটা পর্যন্ত বেজমেন্টেই খেলছি আজ দুদিন। বেশ কয়েকটা ডায়েরি আর পুরোনো খেলনা পেয়েছি। কয়েকটা ছবিও পেয়েছি। ছবিগুলো আমার আর বাবার! প্রথমে বুঝতে পারিনি যে ছোট ছেলেটা আসলে আমি, পরে ভালো করে তাকিয়ে বুঝতে পেরেছি। তারপর বুঝেছি যে লোকটা আমার সঙ্গে ছবি তুলেছে তিনিই আমার বাবা!
এর আগে ওনার কোনো ছবি দেখিনি আমি!
আমার সঙ্গে বাবার চেহারার অনেক মিল!
কিন্তু কোনো ছবিতেই আমাদের সঙ্গে মা নেই!
***
আমি আর ইভান মিলে আন্দ্রেকে দেখতে গেলাম। বেশ কয়েক দিন ধরে ভয়াবহ জ্বরে আক্রান্ত ছেলেটা।
সন্ধ্যায় কেক কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল ও। এ সময় রাস্তা বলতে গেলে ফাঁকাই থাকে…কিন্তু আন্দ্রে তো কিছুরই পরোয়া করত না। তাই বেশি সাহস দেখাতে দোকানের দিকে হাঁটা দিয়েছিল ও। তারপরই হুট করে প্রাণীটার সামনে পড়ে যায়…
‘কেমন আছ আন্দ্রে?’ বললাম আমি।
‘ভালো না,’ মৃদু হাসল আন্দ্রে।
‘ওটাকে দেখেছিলে?’ জিজ্ঞাসা করল ইভান।
‘হ্যাঁ… ইশ! এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না! আমার চোখের সামনেই মিলিয়ে গেল ওটা!’
‘ওটা দেখতে কেমন?’ জিজ্ঞাসা করলাম।
‘কুকুর...’ আর কিছু বলতে পারল না আন্দ্রে। ওর মা চলে এসেছেন ততক্ষণে।
***
ডায়েরির কতগুলো এন্ট্রি বেশ মন দিয়ে পড়লাম।
‘সের্গেইকে নিয়ে আমার জীবনটা ক্রমাগত কঠিন হয়ে চলেছে। লুডমিলা মারা যাওয়ার পর রীতিমতো অসহায় হয়ে গেছি আমি! কী যে করব তা বুঝতে পারছি না। আত্মীয়দের অনেকেই আমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বলছে! কিন্তু তা কী করে সম্ভব? লুডমিলাকে এখনো যে ভুলতে পারিনি আমি!’
কিছুটা অবাক হলাম। লুডমিলা তো আমার মায়ের নাম! আমার মা মারা গেছে! এ আবার কেমন কথা?
এই ডায়েরি কি আমার বাবা লিখেছেন?
পরের কয়েক পাতা বাদ দিয়ে একটা এন্ট্রি বের করলাম।
‘হে ঈশ্বর! এ কে, ফিরে এসেছে? লুডমিলা! কী করে সম্ভব! ও তো মারা গেছে! তাহলে আমার বাড়িতে যে এসেছে সে কে? নতুন এই শহরে আমাকে কী করে খুঁজে বের করল এই মহিলা? এই মহিলা কি তবে লুডমিলার প্রেতাত্মা? সের্গেই ওর কোলে যেতে কোনো আপত্তিই করে না। কী হচ্ছে এসব আমার সঙ্গে?’
এসব কী পড়ছি আমি? আমার মা কি তবে....
****
‘মা, বাবার কী হয়েছিল?’ খাবার টেবিলে মাকে প্রশ্ন করলাম আমি।
‘কী আর হবে? চলে গেছিল আমাদের ছেড়ে,’ বিরক্ত কণ্ঠে উত্তর দিল মা।
‘মা...’
‘হুট করে বাবাকে নিয়ে এত চিন্তা কেন? শেষকালে তোমার বাপের মাথায় গন্ডগোল দেখা দিয়েছিল, আমাদেরকে নিজের শত্রু ভাবত ও! তোমাকে একবার কোলেও নিত না! সেই বাপকে নিয়ে তোমার এত চিন্তা!’
‘মা... আমি...’
‘কী?’
‘আমি দুঃখিত!’
এর আগেও মা বলেছিলেন যে শেষের দিকে বাবার মাথায় গোলমাল দেখা দিয়েছিল। তাহলে কি মাথার গোলমালের কারণেই বাবা ডায়েরিতে ওসব লিখেছিলেন?
***
দুদিন পর আবার বাবার ডায়েরি নিয়ে বসেছি আমি। একটা নতুন এন্ট্রি পড়ছি।
‘শহরে এসব কী উপদ্রব শুরু হলো? আর বেজমেন্টের ওই ঘরটা থেকে এসব কিসের আওয়াজ আসে? লুডমিলা (অথবা ওর মতো দেখতে সেই মহিলা) আমার প্রশ্নের কোনো উত্তরই দেয় না। মাঝে মাঝে অনেক রাতে ওকে বিছানা থেকে উঠে বেজমেন্টের দিকে যেতে দেখেছি আমি। ওই দরজাটার চাবিটা ওর কাছেই আছে সম্ভবত।’
এসব কী পড়ছি আমি? আরও কয়েক পাতা এগিয়ে গেলাম।
‘একটা নকল চাবি বানিয়েছি। চাবিটা এই ডায়েরির পেছন দিকে লুকানো আছে। কালকেই আমি ওই দরজা খুলছি!’
এরপর ওই ডায়েরিতে আর কোনো লেখা নেই!
বেশ ভালো করে ডায়েরিটা দেখতে লাগলাম। হ্যাঁ, পেছনের দিকে কয়েকটা পাতার মাঝখানে কেটে একটা ফাঁপা জায়গার সৃষ্টি করা হয়েছে…ওর মধ্যে কিছু একটা আছে…
হ্যাঁ, একটা চাবি!
সেই চাবিটা নিয়ে বেজমেন্টের দরজাটার দিকে এগোলাম আমি!
ভুলে গেছিলাম যে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
***
দরজা খুলে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি আমি। ঠিক তখনই আমার পিঠে কে যেন হাত রাখল। ঘুরে তাকিয়ে আতঙ্কে জমে গেলাম আমি! মা দাঁড়িয়ে আছে!
‘তোমাকে এখানে আসতে মানা করেছিলাম না?’ স্মিত হেসে বলল মা।
‘আমি দুঃখিত মা! আমি আর কোনো দিন আসব না!’ কেঁদে ফেললাম আমি।
‘যাও, ঘরে যাও,’ এই বলে আমার হাত থেকে চাবিটা নিয়ে নিল মা।
***
এক সপ্তাহ পর।
কেটে গেছে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ। শহরে আর কোনো আতঙ্ক নেই। সবাই নির্বিঘ্নে ঘুরছে–ফিরছে। আন্দ্রে আবার স্কুলে ফিরে এসেছে। এখন আর ভূত-প্রেত নিয়ে তর্ক করে না ও।
আমিও নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছি।
মা আমার লেখাপড়ার ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ নেয়।
মা অনেক ভালোবাসে আমায়।
***
‘তোমার খাওয়া হয়েছে সের্গেই?’ সন্ধ্যাবেলা অফিস থেকে ফিরে আমাকে প্রশ্ন করল মা।
‘হ্যাঁ, মা!’
‘আমার লক্ষ্মীসোনা!’ এই বলে আমার কপালে চুমু খেল মা।
দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।
মাকে আমার কোনো দিনই জিজ্ঞাসা করার সাহস হবে না যে বেজমেন্টের ওই ঘরটায় সেদিন যে বিশাল আকৃতির কুকুরটা দেখেছিলাম, সেটার মাথাটা মানুষের মতো কেন? আর আমাকে দেখেই ওটা অমন ভয়ংকরভাবে হেসে হাওয়াতেই বা মিলিয়ে কেন গেল?
ওটাই কি সেই প্রাণীটা? যে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আমাদের শহরে আতঙ্ক ছড়ায়?
আর এসব জিজ্ঞাসা করার দরকারই বা কী? ভালোই তো আছি! আমার মা আমার অনেক খেয়াল রাখে, অনেক ভালোবাসে।
ওই দিনের পর কিন্তু মা আর কোনো দিনই বেজমেন্টে যেতে মানা করেনি, কিন্তু আমি নিজে থেকেই আর ওখানে যাই না!
আমার মা খুব ভালো।
মূল গল্প: দ্য থিং ইন দ্য বেজমেন্ট
লেখক পরিচিতি: আর্কাদি আরকানভের জন্ম ৭ জুন ১৯৩৩ সালে ইউক্রেনের কিয়েভে (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ)। ভদ্রলোক পেশায় ছিলেন চিকিৎসক এবং নেশায় লেখক। লিখেছেন অসংখ্য নাটক আর ছোটগল্প। মূলত হাসির গল্প লেখাতেই তাঁর বেশি নাম। এর বাইরে অল্প কিছু হরর গল্প তিনি লিখেছেন, তার মধ্যে এটি একটি। গল্পটি অরিত্রী চ্যাটার্জির ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলা করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ২২ মার্চ রাশিয়ার মস্কোয় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন এই লেখক।