নিরূপণ
ইমারসিভ রিয়েলিটির প্রোগ্রামটা সরিয়ে দেওয়ার জন্য চশমার ফ্রেমের ডান পাশে আলতো ছোঁয়া বোলালেন রবিন। বেশ কিছুক্ষণ পর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আছে। সেখানে তাঁর বক্তব্যের ওপর নির্ভর করছে আগামী পাঁচ বছরে বুবুন করপোরেশনের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ। কোটি কোটি বৈদেশিক মুদ্রা কামানোর সূচনালগ্ন হিসেবে এই মিটিংটাকে আখ্যায়িত করা যায়। বলা বাহুল্য, এ রকম সময়ে নিজের সেক্রেটারিকে বলে দেওয়া হয়েছে, কেউ যেন তাঁকে বিরক্ত না করে। তাই যখন স্ক্রিনের কোণে সেই সেক্রেটারি সুতপার নাম যখন ভেসে উঠল, যথেষ্ট বিরক্ত হলেন রবিন।
‘বলো,’ চাঁছাছোলাভাবে বললেন রবিন। বিরক্তি লুকানোর কোনো চেষ্টা করলেন না।
‘স্যার, সমস্যাটা বুবুনকে নিয়ে।’ সরাসরি কাজের কথা পাড়ল সুতপা।
‘কী হয়েছে?’
‘বুবুন বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে গেছে।’
‘কোথায় এখন ও?’ ক্লান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন রবিন।
‘জাদুঘরের দিকে যাচ্ছে।’
‘ওর সঙ্গের লোকজন কি বসে বসে আঙুল চুষছিল?’
‘ও এমনভাবেই বের হয়েছে যেন কেউ টের না পায়। নিজের ফোন বাসায় ফেলে গেছে। রুমের টেলিভিশনটাও চালিয়ে দিয়ে এসেছে। বাসার সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে যেন ওকে ডিস্টার্ব না করে। এরপর একফাঁকে...’
‘হয়েছে হয়েছে। আর বলা লাগবে না। ওকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য আশপাশে লোক আছে তো?’
‘আছে, স্যার। তাদের বুবুনকে ফেরত আনার জন্য নির্দেশ দেব কি না, সেটা জানতেই আপনাকে জ্বালালাম, স্যার।’
লম্বা একটা দম নিলেন রবিন। একবার মনে হলো, সুতপাকে বলে দিক, ওর ছেলে বুবুনকে নিয়ে যেন সোজা চলে আসে ওর অফিসে। মিটিং শেষ করে ছেলের সঙ্গে বসা দরকার। কেন এই ছেলে এক বাড়িভর্তি লোকজনকে বোকা বানিয়ে একা একা বের হয়ে গেছে। এটা জানা প্রয়োজন রবিনের। বুবুন যেনতেন কেউ নয়, বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী একজন প্রযুক্তিবিদের ছেলে। আর দশজনের মতো নয় ওর জীবন। ইচ্ছে করলেই কোনো ধরনের প্রটোকল ছাড়া বের হয়ে যেতে পারে না। রাস্তার ধারের অটোমেটেড ভেন্ডিং মেশিন থেকে খেতে পারে না ভেলপুরি, পিৎজা বা ক্যানোলিনি। আর দশটা বাচ্চার মতো সাধারণ ফাইভ-ডি সিনেমা হলে বসে ছায়াছবি উপভোগ করতে পারে না বুবুন। ওর ছবি দেখার জন্য বাসায় অবশ্য হোম থিয়েটার গড়া আছে। সেখানে ফাইভ-ডি ছবির সব উপকরণ আছে। পানির ছোঁয়া, ঝোড়ো বাতাস, আচমকা ঠান্ডার কাঁপুনি বা গরম হলকা—সিনেমা হলের মতো সেখানে এসব অনুধাবন করা যায়। গত ১০০ বছরে প্রযুক্তি বেশ খানিকটা এগিয়েছে। ছায়াছবির সঙ্গে ইন্দ্রিয়ও উপভোগ করা যায়। তবে একেকটা মুভি ফাইলের আকার কয়েক শ গিগাবাইট হয়ে যায়, এই এক ঝক্কি।
রবিন একদম সাজানো–গোছানো পরিপাটি অবস্থা পছন্দ করেন। মা–মরা বুবুনকে শেখানো, সঙ্গ দেওয়া এবং নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন লোককে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
‘সবাইকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে, অকর্মণ্যের দল,’ ভাবলেন রবিন।
এতটুকু একটা ছেলে এতগুলো লোককে বোকা বানাল কী করে? চট করে একবার ঘড়ির দিকে তাকালেন রবিন। চশমার কাচের এক কোণে তাকানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ফুটে উঠল সময়। আর ১৫ মিনিটের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে মিটিং। বিশ্বের আরেক প্রান্তে বসে থাকা একদল নামীদামি বিনিয়োগকারী অংশ নেবে সেখানে। যে জিনিস রবিন ও তাঁর দল দাঁড় করিয়েছেন, সেটা যুগান্তকারী বটে। ঠিকমতো এগোতে পারলে বৈশ্বিক উন্নয়নে একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে।
‘আপাতত বুবুনকে ধরার দরকার নেই। ও জাদুঘরে কী করছে, জানো?’
‘আমার সঙ্গে আরেকটা লাইনে আছে ওরা, এখনই জেনে জানাচ্ছি, স্যার।’ বলে কয়েক সেকেন্ডের জন্য নীরব হয়ে গেল সুতপা। তারপর ফিরে এসে বলল, ‘ও টিকিট কাটছে, স্যার।’
ভ্রু কুঁচকে গেল রবিনের। জাদুঘর তো পালিয়ে যাওয়ার মতো কোনো ব্যাপার নয়। এমন নয়, বাজে ছোকরাদের সঙ্গে মেশার জন্য এভাবে বের হয়েছে বুবুন। ওর বাবাকে বললেই ব্যবস্থা করে দেওয়া যেত। পুরো মিউজিয়াম রিজার্ভ করে নেওয়া যেত, চাইকি স্পেশাল একটি ট্যুরেরও আয়োজন করা যেত।
তা না করে এই ছেলে লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে টিকিট কেটে ঢুকছে কেন?
‘স্যার, ওকে কি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করব?’ সুতপা বলল।
‘না,’ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে কিছুটা আনমনে বললেন রবিন, ‘ওকে নজরে রাখো। মিউজিয়ামের অথরিটিকে শুধু বলে রাখো যে বুবুন গেছে। কোনো ব্যবস্থা নিতে নিষেধ করবে। ভদ্রলোকের নাম আর নম্বরটা আমার কাছে পাঠিয়ে রাখো।’
কথাটা বলে লাইন কেটে দিলেন রবিন।
১৫ মিনিট পর রবিনকে দেখা গেল তাঁর অত্যাধুনিক গাড়িতে বসে আছেন। চালক আর তাঁর মধ্যে একটি শব্দপ্রতিরোধক কাচের বেষ্টনী দেওয়া আছে। সে অবস্থায় মিটিং চালিয়ে গেলেন রবিন।
‘আমাদের বর্তমান জীবনে ভবিষ্যৎ নিরূপণ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আপনাদের নতুন করে বলতে হবে না নিশ্চয়ই, জেন্টলমেন।’ মৃদু হেসে একদম পেশাদার ভঙ্গিমায় বললেন রবিন, ‘এখনকার যুগে ব্যবসার ধরন, পন্থা—সব বদলে গেছে। অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি আছে আমাদের হাতে, এই ঘোড়ায় লাগাম পরানোটাই আসলে আমার ও আমার টিমের কাজ।
‘আপনাদের প্রত্যেকের কাছে একটি ভিডিও চলে গেছে, সেখানে একটি ডেমো দেওয়া আছে। আমি আপনাদের কিছুক্ষণ সময় নিতে চাই। ভিডিওটি দেখুন। কোনো প্রশ্ন থাকলে একদম ইতস্তত করবেন না। ভিডিও নিজ থেকে থেমে যাবে।’
কথাগুলো বলে চশমার ডাঁটি ছুঁয়ে ভিডিও চালু করার নির্দেশ দিলেন রবিন। বিনিয়োগকারী সবার স্ক্রিনে চালু হয়ে গেছে সেটা। কেউ প্রশ্ন করতে চাইলে নিজ থেকে বন্ধ হয়ে যাবে ভিডিওটা। রবিন মনেপ্রাণে চাইলেন, কেউ যেন প্রশ্ন না করে বসে। জানালার কাচের ওপাশে দেখতে পেল, জাদুঘরের মূল ফটকের কাছে চলে এসেছে ওর গাড়ি। এখানে সাধারণ জনগণের গাড়ি প্রবেশ করার অনুমতি নেই, বহুতল কার পার্কের জায়গাটা মূল ভবনের নিচে।
জাদুঘরের মহাপরিচালক ভদ্রলোক স্বয়ং দাঁড়িয়ে ছিলেন ফটকের কাছে। তাঁকে দেখে যথেষ্ট বিরক্ত হলেন রবিন। এখন বিভিন্ন খবরের কাগজ আর অনলাইন পোর্টালে এই সংবাদ চাউর হবে। এমনিতেই অনেক কানাঘুষা আছে তাঁর পরলোকবাসী স্ত্রীকে নিয়ে। ছেলেকে এসব থেকে দূরে রাখার জন্য চেষ্টার অন্ত নেই রবিনের। সেই চেষ্টা বিফলে গেল মনে হচ্ছে।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও মহাপরিচালক মহোদয়ের সঙ্গে করমর্দন করলেন রবিন।
‘কোনো ঝামেলা হয়নি তো?’ ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলেন রবিন।
‘একদমই নয়, স্যার। আমি মিউজিয়াম ইয়াভকুয়েট করানোর ব্যবস্থা করেছি।’
‘...এবং আমাকে বাঁশ দিয়েছেন।’ মনে মনে বললেন রবিন। কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভুলে গেল, মিটিংয়ের সঙ্গে সংযুক্ত আছেন তিনি। নিজেকে সামলে নিলেন। এই লোককে বকাবকি করে লাভ নেই।
‘কোথায় আছে ও?’ রাগ চেপে জিজ্ঞেস করলেন রবিন।
‘স্যার, ও আধুনিক পেইন্টিং রুমে আছে।’
‘আচ্ছা। আমি আমার ক্যামেরাটি একটু নিচ্ছি মিউজিয়ামের ভেতরে।’ বললেন রবিন।
‘নিন স্যার, কোনো সমস্যা নেই,’ বললেন মহাপরিচালক। তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন দেশের অন্যতম ক্ষমতাধারী মানুষটা। সব সরকারই তাঁকে সমঝে চলে। তাঁর পছন্দের তালিকায় যেতে পারলে মিউজিয়ামে বড়সড় ডোনেশনও চলে আসতে পারে...
রবিনের অদূরে গিয়ে স্থির হয়ে উড়ছিল একটি খুদে ড্রোন, ওর মুখের দিকে তাক হয়ে থাকল ক্যামেরাটা। অত্যন্ত প্রখর এবং ভালো মানের ছবি তুলতে সক্ষম সেটি।
মিউজিয়ামের ভেতরে ঢোকার সময় রবিনকে কেউ বাধা দিল না। ড্রোনটা নির্দিষ্ট একটা দূরত্বে তার সঙ্গে সঙ্গে চলল। বিশেষ প্রযুক্তিবলে রবিনের চারপাশের দৃশ্যপট বদলে সেখানে একটি অফিসের চিত্র চলে যাবে মিটিংয়ে থাকা অন্যদের কাছে। আড়চোখে একবার চশমার কাচের কোণে ফুটে থাকা স্ক্রিনে দেখলেন রবিন। এখনো এক মিনিট বাকি আছে ভিডিওটার। বিনিয়োগকারীরা এখন পর্যন্ত কোনো প্রশ্ন করেনি।
একে একে জনমানবহীন জাদুঘরের বিভিন্ন অংশ পার করে এগিয়ে যেতে লাগলেন রবিন। মনে করার চেষ্টা করলেন, শেষ কবে জাদুঘরে আসা হয়েছে তাঁর। মনে পড়ল না। বিশাল সব সভ্যতার নিদর্শন, আর লম্বা করিডরগুলো পার হওয়ার সময়ে না চাইতেও কেমন যেন এক অপার্থিব অনুভূতি স্পর্শ করতে লাগল রবিনকে।
নিজের ছেলেকে মেঝেতে বসে থাকা অবস্থায় পেলেন রবিন। বাবাকে লক্ষ করেনি ছেলেটা। রবিন কয়েক মুহূর্ত নীরবে দাঁড়িয়ে থাকলেন। তারপর এগিয়ে গিয়ে ছেলের পাশে বসলেন। মুখ ঘুরিয়ে একবার রবিনকে দেখল বুবুন, তারপর আবার নজর ফেরাল।
‘মি. রবিন, ভিডিও দেখা শেষ আমাদের।’
‘দুর্দান্ত। দয়া করে প্রশ্ন করুন, আমাকে।’
‘আমরা যদ্দুর বুঝলাম, আপনার এই প্রোগ্রাম বিভিন্ন পদ্ধতিতে একটি কোম্পানির আগামী ১০ বছরের করণীয় একদম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বলে দেবে।’
‘একদম ঠিক ধরেছেন। অত্যন্ত দুঃখিত। আমাকে ৫ মিনিট সময় দেবেন কি? পারিবারিক ব্যাপার। এখনই ফিরছি।’
বিনিয়োগকারীরা একটু অবাক হলেও সানন্দে রাজি হলো। চশমার ডাঁটে হাত দিয়ে অডিও থামিয়ে দিলেন রবিন। ড্রোনটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেমে এল চকচকে টাইলসের মেঝেতে।
‘বাবা?’ ছেলের দিকে ঝুঁকে বললেন রবিন।
‘জি, বাবা?’
‘এ রকম করে বের হয়ে এলে যে?’
‘বন্দী লাগছিল, বাবা।’
‘আমি কি কিছু করেছি?’
‘না, বাবা। আমি হঠাৎ করে বুঝলাম আমার কোনো বন্ধু নেই। নিজেকে খুব একা লাগছিল। বাড়িতে প্রচণ্ড হাঁসফাঁস লাগছিল। সরি, বাবা।’
রবিনের মন খারাপ হয়ে গেল। বুবুনের দৃষ্টি অনুসরণ করে একবার সামনে থাকা বিশাল তেলচিত্রটির দিকে তাকালেন তিনি। আপনমনে মাথা নেড়ে আবার ফিরে গেলেন মিটিংয়ে।
‘আশা করি, আপনাদের বেশিক্ষণ অপেক্ষা করাইনি?’ মৃদু হেসে বললেন রবিন।
‘না, একদমই না।’
আঙুলের সাহায্যে ড্রোনটার উদ্দেশে ইশারা করলেন রবিন। এখন মিটিংয়ে থাকা লোকজন তাঁর আশপাশে থাকা আসল চিত্র দেখতে পাবে। আরেকবার আঙুলের ইশারা করতেই ড্রোনটা সামান্য পিছিয়ে গেল। এখন রবিন আর বুবুন দুজনকেই দেখা যাচ্ছে।
‘লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলমেন, আমার ছেলে বুবুন।’
সবাই ‘হাই’ বললেও, কিছুটা বিভ্রান্ত হলো সবাই।
‘আমি বুঝতে পারছি, আপনারা অবাক হচ্ছেন আমি মিটিংয়ের মাঝখানে কেন ছেলের সঙ্গে ফ্লোরে বসে আছি।’ বললেন রবিন, ‘কারণটা ব্যাখ্যা করছি। এই ফোরকাস্টের সফটওয়্যার আজকে থেকে বানাচ্ছি না আমি। আমার ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটাই গেছে এর পেছনে। এর বদৌলতে খুব একটা খারাপ জীবন যে পেয়েছি, তেমনও নয়।
‘কোন কোন ফ্যাক্টর একটি কোম্পানির বেচাবিক্রি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনোভাব, বৈশ্বিক অবস্থানের পেছনে দায়ী—সেসব নিয়ে চুলচেরা গবেষণা চালিয়েছে বুবুন করপোরেশন। বলা বাহুল্য, আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষের নামে কোম্পানির নাম রেখেছি। আমি কিন্তু আমার এই সিমুলেশন আর গবেষণা থেকে ওকে রেহাই দিইনি। এখনো রিসার্চ করে যাচ্ছি, কী করে একটি শিশুর জীবনকে ফোরকাস্ট করা যায়। কী কী করলে আমি নির্ধারণ করে দিতে পারব, ওর ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে। সেভাবেই বড় করে গেছি আমার বুবুনকে।’
এক সেকেন্ডের জন্য দম নিলেন রবিন।
‘তবে বোঝা যাচ্ছে, এই রিসার্চের বেলায় আমার এখনো বহুদূর যাওয়া বাকি। আদৌ আর এগোব কি না, জানি না। তবে আজ আমি আমার ছেলের থেকে একটা শিক্ষা পেলাম। সো, আপনার প্রশ্নের উত্তরটা হলো আপনি নিজে। মানে হিউম্যান ফ্যাক্টর। আপনি আপনার মনের অবস্থা অনুযায়ী যদি প্রোগ্রামে ইনপুট দিয়ে থাকেন, অবশ্যই ফলাফল আসবে। তবে মনের অবস্থা পরিবর্তন হলে ইনপুটও বদলাতে হবে। তাহলে আপনি সঠিক চিত্রটা পাবেন। আমার বক্তব্য শেষ। আর কোনো প্রশ্ন আছে কি?’
মিটিংয়ের সবাই সন্তুষ্ট হলো। মিটিং থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর হাত পাতলেন রবিন। ড্রোনটা উড়ে এসে পোষা পাখির মতো চলে এল তাঁর তালুতে।
ছেলেকে কাছে টেনে নিলেন রবিন। দুজন মিলে দেখতে লাগল সামনে থাকা বিশাল তেলচিত্রটি। সেখানে একজন মা পরম মমতায় ধরে আছে নিজের সদ্যোজাত শিশুকে।