সন্ধ্যাবেলা মাথায় ধুলাভর্তি ছেলেটা গরুগুলোকে গোয়ালের দিকে ঠেলছিল। নানু বলল, ‘ও আমাদের নতুন রাখাল—শরীফ। গত বছর বাপটা হারায় গেছে। ওকে একটু “অ–আ” শিখায়ো তো।’ সে রাত থেকেই নানুর দেওয়া গুরুদায়িত্ব পালন করতে শুরু করলাম নিষ্ঠার সঙ্গে। তবে গরমের ছুটির দিনগুলো আমার বৃথাই গেল। অক্ষরজ্ঞান হওয়ার আগেই শরীফ উধাও! মামা বলল, ‘কাউকে বলিস না!’ শরীফের ওপর মায়া পড়ে গেছে। আড়ালে গিয়ে কেঁদেই ফেললাম। নানু নফল নামাজ পড়ল। কবিরাজ কাগজে মন্ত্র লিখে বেঁধে দিল সুতার আগায়। কাগজটা মাথার ওপর ঘুরিয়ে ডাকলাম, ‘শরীফ, ফিরিয়া আসো...!’ চিঠিটা পেলাম রাতে, টিনটিনের ভেতরে। ওতে লেখা— ‘আব্বাক খুজিআ আনিতে বাহির হইলাম। ইতি শরীফ।’