ঢিলের জবাবে পাটকেল
আগের রাতে ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। বড় রাস্তার খানাখন্দে জমে থাকা পানি সকালেও সরেনি। ফুটপাতেও থিকথিকে কাদা। এর মাঝেই যতটা সম্ভব দ্রুত পায়ে তিনজন হাঁটছি। তিনজন মানে—আমি, বিশ্বজিৎ আর শাজাহান। স্কুলের হাজিরা খাতায় স্যাররা ওর নাম ‘শাহজাহান’ লিখলেও আমরা সহজ করে ‘শাজাহান’ ডাকি। কেউ কেউ বলে ‘শার্জাহান’। জ-এর ওপরে এই ‘রেফ’টা কোত্থেকে এল, কে জানে! তবে ‘শার্জাহান’ নামে ডাকলে শাজাহান নিজেই খেপে যায়। ওর কাছে নাকি এই নাম শুনলেই কেমন যেন শজারু শজারু লাগে!
আমাদের দ্রুত হাঁটার কারণ হচ্ছে স্কুলে যাওয়ার তাড়া। বড়জোর পাঁচ মিনিট সময় আছে। প্রথম ক্লাসটাই বাংলা, পড়ান বড় বারী স্যার। আমাদের টঙ্গী পাইলট হাইস্কুলে দুজন বারী স্যার। একজন পরিচিত বাংলার বারী স্যার বা বড় বারী স্যার নামে, আরেকজন ছোট বারী স্যার, তিনি অঙ্ক করান। বড় বারী স্যার দেরি করে ক্লাসে ঢোকা একদম সহ্য করেন না। তিনি ক্লাসে এসে রোল কল শুরু করার পর যদি কোনো ছাত্র আসে, তাহলে স্যার চোখ গোল করে অবাক হয়ে নাটুকে গলায় প্রশ্ন করেন, ‘বিলম্বে আগমনের হেতু কী, বৎস?’ তারপর একটা কানমলা দেন। এমন ডলা দেন যে সারা দিন ওই কানে জ্বর থাকে। ব্যস, ওই বেচারার সারা দিন মাটি। ছুটি পর্যন্ত ওকে নিয়ে সবাই হাসাহাসি করে, যেন হাসাহাসি করাটা ক্লাস ওয়ার্কেরই অংশ।
শাজাহান আর বিশ্বজিৎ প্রতিবেশী। অতি বেশি প্রতিবেশী, একেবারে দেয়ালঘেঁষা বাসা দুজনের। তা যতই নিকটতম হোক, সারাক্ষণ এ-ওর পেছনে লেগেই আছে। কথা-কাটাকাটি, খোঁচাখুঁচি, হাতাহাতি, একে অন্যের নামে নালিশ...হরহামেশা চলতেই আছে। স্যাররাও ক্লাসে এই দুজনকে দুই প্রান্তে বসান। তবু বিরাম নেই। ক্লাসরুমের দুই প্রান্ত থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মতো করে একে অন্যকে টিপ্পনী কেটে, কলম ছুড়ে আক্রমণ চালায়। এই সুযোগটা মাঝেমধ্যে অন্য ছাত্ররাও নেয়, বিনোদনের জন্য। যেমন গত সপ্তাহে সেকেন্ড বেঞ্চে বসা শাজাহানের ঘাড়ে শাঁ করে উড়ে এসে গোঁত্তা খেল একটা বলপেনের ক্যাপ। ক্যাপটা ছুড়েছিল পেছনের বেঞ্চি থেকে বুলবুল। কিন্তু শাজাহান উঠে গিয়ে বুলবুলের পাশে বসা বিশ্বজিতের মাথায় একটা চাটি মেরে চলে এল। বেচারা বিশ্বজিৎ কিছু না বুঝে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বসে থাকে, আর অন্যরা হেসে কুটিকুটি। পরের ক্লাসেই মফিজ স্যার এসে বললেন, তোমাদের ক্লাস এইটের নামে স্কুলে নালিশ এসেছে। কে নাকি স্কুলের পেছনের দোকানে বসে সিগারেট খায়? পেছন থেকে একজন বলে উঠল—শাজাহান, একটা কিছু ক। গলার আওয়াজটা যথারীতি বিশ্বজিতের। মফিজ স্যার যেন আসামি ধরার বিরাট ক্লু পেয়ে গেলেন। মহা উৎসাহে হাঁক দিলেন—এই বিশ্ব, দাঁড়াও দেখি। তুমি তো শাহজাহানের নিকটতম প্রতিবেশী। আসলেই ও সিগারেট খায়?
: আমাদের পাড়ার সবাই তাই জানে, স্যার।
: বলো কী! ক্লাস এইটে থাকতেই ধরে ফেলেছে?
: এইটে ধরবে কেন, স্যার? ধরেছে তো আরও আগে।
: কবে থেকে ধরেছে?
: কবে ধরেছে, তা সঠিক বলতে পারব না, স্যার। তবে ক্লাস সিক্সে থাকতে একবার সিগারেট ছেড়েছিল বলে শুনেছি।
এবার স্যার বুঝলেন, বিশ্ব চালবাজি করছে। রাগে মফিজ স্যারের ফরসা নাক-মুখ লাল হয়ে গেল। আমার সঙ্গে পাকনামি করো?—হুংকার দিয়ে বিশ্বকে ডেকে সামনে এনে বেজায় জোরে এক থাপ্পড় কষালেন। সেই এক থাপ্পড়েই বিশ্ব জায়গায় দাঁড়িয়ে তিন পাক ঘুরে তারপর থামল। স্যার সবার উদ্দেশে বললেন, আমার সঙ্গে বেয়াদবি করলে কী হয় বুঝেছ? আমরা মনে মনে বললাম, জি স্যার, বুঝেছি। বিশ্ব ঘোরে!
বড় বারী স্যারের বিখ্যাত কানমলা এবং ‘কানের জ্বর’ থেকে রক্ষা পেতে সময়মতো স্কুলে পৌঁছাতেই হবে। তাই আমরা তিনজন দ্রুত হাঁটছি। ঠিক হাঁটাও নয়, বলা যায় কাদা জমে থাকা রাজপথের পাশ ধরে উটপাখির মতো লাফিয়ে লাফিয়ে যাচ্ছি। ঢাকা-ময়মনসিংহ আর ঢাকা-গাজীপুরের বাসগুলো আমাদের পাশ ঘেঁষে যাওয়া-আসা করছে। গাড়ির হর্ন আর শাজাহান-বিশ্বজিতের ঝগড়া সমানতালেই চলছে। একেবারে স্কুলের মোড়ে চলে এসেছি, এমন সময় হঠাৎ পেছন থেকে বিকট হর্ন বাজিয়ে আমাদের গায়ে বাতাস লাগিয়ে একটা বাস চলে গেল ঢাকার দিকে। যাওয়ার আগে পাশের গর্তে একটা চাকা ফেলে গেল বাসটা। সঙ্গে সঙ্গে ছলাৎ করে একরাশ কাদাপানি আমাদের গায়ে এসে লুটিয়ে পড়ল। আমাদের স্কুলড্রেস সাদা শার্ট আর নেভি ব্লু প্যান্ট। আমার আর শাজাহানের প্যান্টের অবস্থা মোটামুটি দফারফা। আর বিশ্বজিতের অবস্থা আরও শোচনীয়। ওর প্যান্ট একটু কম নোংরা হলেও শার্টটা আর সাদা নেই। কাদা লেগে একদম মেটে রং হয়ে গেছে। তার ওপর মুখমণ্ডলে কাদার ছিটা লেগেছে। দেখে মনে হচ্ছে টারজান সিনেমার কোনো জংলি সরদার! আমরা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ভিলেন বাসটার চলে যাওয়া দেখতে লাগলাম। বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে প্রথম কথা বলে উঠল শাজাহান। বাসের দিকে আঙুল তুলে বিশ্বজিতের দিকে চোখ রেখে ও চিৎকার করে বলল, ‘গাইল্যা, ব্যাটারে গাইল্যা।’ অর্থাৎ দুষ্কৃতকারী বাসচালককে গালি দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছে বিশ্বজিতের ওপর।
: এখন গালি দিলে ড্রাইভার শুনব? বিশ্বজিতের অবাক প্রশ্ন।
: না শুনুক। আমাগো গায়ের ঝাল তো কিছু কমব। শাজাহানের পাল্টা যুক্তি।
: তোর গায়ে জ্বলুনি থাকলে, তুই ঝাল কমা। আমারে গালি দিতে কস ক্যান?
: তোর শার্ট-প্যান্ট দুইটাতেই কাদা লাগছে। গালি দেওয়ার অধিকার তোরই বেশি।
: আমি মুখ খারাপ করতে পারুম না। বিশ্বজিতের সোজাসাপ্টা জবাব।
: ইশের! কী একখান মুখ রে! এক্কেবারে ফুলবাগানের মেইন গেট! খেঁকিয়ে ওঠে শাজাহান।
অবস্থা এমন দাঁড়াল যে পারলে ওরা সেই কাদামাখা রাস্তাতেই কুস্তি শুরু করবে। আমি দুজনের মাঝখানে দাঁড়াই। তারপর বলি, ফালতু তর্ক রেখে এখন কী করা যায় তাই ভাবতে হবে। রাস্তার কাছেই ডোবাটায় জমে থাকা বৃষ্টির পানি দেখিয়ে বললাম, আপাতত ওখানে গিয়ে একটু সাফ হওয়া যাক। আমার পিছু পিছু ওরা নেমে গেল ডোবার ধারে। বিশ্বজিতের মুখ ধোয়ার পর জংলি সরদারের ভাবটা চলে গেল। আমাদের টেট্রন কাপড়ের নেভি ব্লু প্যান্ট, হাতে করে পানি নিয়ে কিছুক্ষণ ঘষাঘষি করতেই কাদার দাগ মোটামুটি উঠে গেল। কিন্তু বিশ্বজিতের সাদা সুতি শার্টের কাদাটুকু পানি দিয়ে মুছতে গিয়ে আরও লেপটে গেল। কাঁদো কাঁদো গলায় বেচারা বলল, ‘তোরা যা, আমি আইজ ইশকুুলেই যামু না।’ আমি রাজি হয়ে যাচ্ছিলাম প্রায়, কিন্তু বাগড়া দিল শাজাহান—
: এইটা কোনো কথা হইল? দোষ করল বাস ড্রাইভার, আর মাশুল দিবি তুই? আইজ ইশকুুল কামাই দিলে কাইল তো পিটানি খাবি।
: শাজাহান ঠিক কথাই বলেছে। আজ না গেলে আগামীকাল প্রতিটি ক্লাসেই মার খেতে হবে। আমিও বিশ্বকে বোঝাই।
: ইশকুলে যামু এই ভূতের মতো? অসম্ভব। আমি পারুম না। বিশ্বজিৎ অটল।
: তাইলে এক কাজ কর। শাজাহান মাথা চুলকে কী যেন ভাবে। তারপর সমাধান পেয়ে গেছে, এই ভাব ধরে একটা হাসি দিয়ে বলে, তোর যখন এতই প্রেস্টিজ, তাইলে আয় একদিনের জন্য শার্ট বদলাবদলি করি। তোর কাদামাখা শার্ট আমারে দে, আমার পরিষ্কার শার্ট তুই গায়ে দে। তবু ইশকুলে চল।
শাজাহানের এই মহৎ প্রস্তাবে বিশ্ব সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকায়। আমারও ধন্দ লাগে। কী জানি, ব্যাটার মনে কী আছে! সে যা-ই হোক, পরেরটা পরে ভাবা যাবে। আমি বিশ্বজিেক বোঝাই—আগে তো হাজিরা দিই, তারপর দেখব শাজাহানের কোনো কুমতলব আছে কি না। শাজাহান যদি কাদা ছিটানোর দোষ তোর ঘাড়ে চাপায়, আমি তো আছি। প্রয়োজনে রাজসাক্ষী হব। আমতা আমতা করে বিশ্বজিৎ রাজি হয়। ওরা দুজনেই শার্ট খুলে অদলবদল করে নেয়। ওদের উচ্চতা একই রকম হলেও বিশ্ব একটু রোগাপটকা। তাই শাজাহানের গায়ে চাপানো বিশ্বজিতের শার্ট একটু টাইট হলো। ওদিকে বিশ্বর গায়ে ঢিলেঢালা শার্ট।
আমরা ক্লাসে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বড় বারী স্যার রোল কল শেষ করেছেন। দরজার সামনে আমাদের তিনজনকে দেখে স্যার ভুরু কুঁচকে তাকালেন। খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আমাদের দেখতে লাগলেন, যেন পুঁটিমাছের কাঁটা বাছা হচ্ছে। তারপর বললেন, ‘বিলম্বের হেতু কী? ত্রিরত্ন কী নৌবিহারে গিয়েছিল?’ পুরো ক্লাস একযোগে হেসে উঠল। এতক্ষণে কাদামাখা জামাওয়ালা শাজাহানের দিকে স্যারের বিশেষ নজর পড়ল, ‘সম্রাট শাহজাহান যে! শেষ পর্যন্ত তুমিও পানিপথের যুদ্ধে গিয়েছিলে?’ আমরা যতটা পারি সংক্ষেপে ঘটনার বর্ণনা দিলাম। শাজাহান কিছু বাড়তি তথ্য দিল—
: স্যার, এই দেখেন, আমার শার্টের অবস্থা শেষ। জ্বর আসি আসি করছে। হ্যাঁ..চ..চো! ঠান্ডা লেগে গেছে। গত পাঁচ মিনিটে সাতটা হাঁচি দিয়েছি, স্যার। শাজাহানের এই নির্জলা মিথ্যা বলা দেখে আমি আর বিশ্ব তো হতবাক!
: এই কাদামাখা আর ভেজা শার্ট নিয়ে তোর স্কুলে আসার কী দরকার ছিল? স্যার ধমক দিলেন।
: তাই বলে স্কুল কামাই দেব, স্যার! কদিন পরেই তো পরীক্ষা।
: আহারে! আমাদের বিদ্যাসাগর রে! স্যারের টিটকারিতে আবার সবাই হেসে ওঠে।
বিশ্বজিৎ বুঝল, ওকে শুকনা শার্টটা গছিয়ে দিয়ে শাজাহান এখন ভেজা শার্টের বাহানায় ছুটি বাগানোর ফিকিরে আছে। সঙ্গে সঙ্গে ও প্রতিবাদ করে উঠল, ‘না, স্যার। ওর গায়ের শার্টটা...’
: আমার গায়ের শার্টটা কী? বল বল, বলে ফেল। বিশ্বর মুখের কথা টেনে নিয়ে যায় শাজাহান, আমার শার্টটা বুঝি শুকনা? এই তো বলতে চাস? স্যার দেখছেন, পুরো ক্লাসের সবাই দেখছে...হ্যাঁ..চ..চো। আর তুই কিনা...’
: অ্যাই চুপ। স্যার ধমক দিয়ে ওদের তর্ক থামিয়ে দেন। তারপর শাজাহানকে বলেন, তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে জামাকাপড় পাল্টা। আজ তোর ছুটি। আগামীকাল দরখাস্ত নিয়ে আসবি। বাকি দুজন ক্লাসে গিয়ে বোস।
: স্যার, আমার শার্ট...বিশ্ব আরেকবার মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে।
: তোর শার্ট তো শুকনা, তুই কেন ছুটি নিবি? শাজাহান হাসতে হাসতে বলে বাড়ির পথ ধরে।
নিরুপায় বিশ্বজিৎ আমার দিকে তাকায়। আমার যে রাজসাক্ষী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্যারের এই রায় ঘোষণার পর আমার আর কিছুই বলার থাকে না। মৃদুস্বরে ওকে বললাম—ক্লাসে চল। উপায় ভাবতে হবে।
আমাকে মধ্যস্থতায় রেখে শাজাহানের এই চালবাজি করাটা মোটেও মানতে পারছিলাম না। ক্লাসে আমার পাশেই বসে বিশ্ব বিড়বিড় করছে। নির্ঘাত আমাকেই গালাগালি করছে। আমি ভাবছি—কী করা যায়, কী করা যায়...। বিশ্ব খাতা খুলে পকেট থেকে কলম বের করল। আবার এক পশলা বিড়বিড়—এবার একটু জোরে বলায় শুনতে পেলাম, ‘ইচ্ছা করতাছে কলমডা ভাইঙা ফালাই।’
: কী কস? কার কলম? আমি জানতে চাই।
: শাজাহানের কলম। জামা অদলবদলের সময় পকেটে যার যার কলম রয়ে গেছে। বলপেনটা ও দেখায় আমাকে।
: ইউরেকা। খেল খতম।
: মানে? বিশ্ব জানতে চায়।
: মানে হচ্ছে, ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।
: এইটার মানে কী?
: এইটা রাজসাক্ষীর ভূমিকা। পরে বোঝাচ্ছি। বাংলা ক্লাস শেষ হোক।
বাংলা ক্লাসের পর বিশ্বকে নিয়ে স্কুল বিল্ডিংয়ের পেছনে আসি। ওকে বলি, পাটকেল মানে জানিস? আধলা ইট। শাজাহান আমাদেরকে যে ঢিলটা মেরেছে, তার জবাবে ওকে পাটকেল মারতে হবে। দুটো আধলা ইট লাগবে।
আশপাশেই ইট পাওয়া গেল। একটা ইট বিছিয়ে বলি—এর ওপরে শাজাহানের কলমটা রাখ।
: রেখে কী হবে? কলম রাখতে রাখতে বিশ্ব জানতে চায়।
: দ্বিতীয় আধলাটা হাতে নিয়ে সজোরে আঘাত কর। কলমটা নিচের দিকে থেঁতলে ফাটিয়ে ফেলতে হবে।
: তারপর?
: তারপর হিসাব সোজা। শাজাহানের কলম শাজাহানের শার্টের পকেটে রেখে তুই ক্লাস করতে থাক। কলম চুইয়ে কালি লেপটে পকেটসহ শার্ট নষ্ট হবে। ক্লাসের সবাই সাক্ষী থাকবে। কাল শার্ট ফেরত দেওয়া-নেওয়ার সময় শাজাহানকে বলবি—তোর কলম লিক করে তোর জামা নষ্ট হয়েছে, আমার কী করার আছে?
খুশিতে লাফ দিয়ে উঠল বিশ্বজিৎ। শাজাহানের চালবাজির মোক্ষম জবাব এটাই।