কাগজের নৌকায় একদিন

আমগাছের গোড়ায় কালো পিঁপড়াদের বিশাল একটি দুর্গ। দুর্গটিতে কিছুদিন আগে জন্ম নিয়েছে ছোট্ট পিঁপড়া বিকু। খুব তাড়াতাড়ি বড় হতে শুরু করল সে। কিছুদিনের মধ্যেই একদিন রানি পিঁপড়া তাকে ডেকে পাঠাল। বলল, ‘বিকু, তুমি জন্ম নিয়েছ এই দুর্গের একজন সৈন্য পিঁপড়া হিসেবে। তুমি নিশ্চয়ই দেখেছ যে এই দুর্গের কিছু পিঁপড়া আকারে বেশ বড়। তুমি তাদের দলের। তোমার কাজ হলো এই দুর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তুমি কাল থেকেই প্রশিক্ষণের ক্লাসে যোগ দেবে। তোমার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে দুর্গের একেবারে পেছনের দরজায়। তুমি আমাদের পেছনের দরজা পাহারা দেবে।’

বিকুর মনটা খারাপ হয়ে গেল। সে অনেক পিঁপড়াকে খাবার টানতে দেখেছে। খাবার টানার কাজটা ওর বেশি পছন্দ। সবাই মিলে একসঙ্গে গ্রুপওয়ার্ক করা যায়, গানও গাওয়া যায়। আবার খাবার টানার সময়ে খাবারের স্বাদও কিছুটা পাওয়া যায়। আর সেটা ফুলের মধু হলে তো কথাই নেই।

যাই হোক। রানির কথা তো আর অমান্য করা যাবে না। বিকু পরদিনই প্রশিক্ষণ ক্লাসে যোগ দিল।

সেদিন বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল সকাল থেকেই। বিকু দেখল, আমগাছের গোড়ার কাছে বেশ খানিকটা পানি জমেছে। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেও গাছ বেয়ে কীভাবে ওপরে উঠতে হয়, সেটাই প্র্যাকটিস করছিল সে। কিন্তু হঠাৎ দমকা হাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে পানিতে পড়ে গেল বিকু। পানিতে বেশ স্রোত।

পানিতে পড়ে হাবুডুবু খেতে শুরু করল বিকু। কারণ, তখনো সাঁতারটা সেভাবে আয়ত্ত করতে পারেনি সে। কোনো রকমে ভেসে থাকল পানিতে। পানিতে ভাসতে ভাসতে অবশেষে একটা ঘাসের ডগা খুঁজে পেল। আর সেটাই আঁকড়ে ধরল। ওদিকে পানি বাড়ছে। আর একটু পরই ডুবে যাবে ঘাসের ডগা। হঠাৎ একটু দূরে একটা সাদা কাগজের নৌকা দেখতে পেল বিকু। ‘ইশ্‌! নৌকাটি যদি কাছে আসত!’

বিকুর কপাল খুব ভালো। ঘাসের ডগা পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার আগেই নৌকাটি বিকুর কাছাকাছি চলে এল। ততক্ষণে বৃষ্টি থেমে গেছে। নৌকাটি কাছে আসতেই বিকু এক লাফে তাতে উঠে পড়ল। কিন্তু বৈঠা না থাকায় কিছুতেই নৌকাটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। নৌকা তাই ইচ্ছেমতো চলতে শুরু করল।

একটু পর হঠাৎ খুব জোরে দুলে উঠল নৌকাটি। চমকে উঠল বিকু। সে দেখল, নৌকায় এক লাফে উঠে বসেছে এক ঘাসফড়িং। হলদে সবুজ ঘাসফড়িংয়ের চোখে দুই খানা রঙিন চশমা। একটি সানগ্লাস বেশ বড়। সেটি গাঢ় খয়েরি রঙের। খয়েরি সেই সানগ্লাসের ঠিক মাঝখানে তিন কাচের আরেকটি সানগ্লাস। সেটি লাল রঙের। ঘাসফড়িংয়ের এক হাতে একটি ছাতা আর পিঠে স্কুলব্যাগ। ঘাসফড়িংয়ের সাজসজ্জা আর চশমার বাহার দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে বিকু। ঘাসফড়িং তার গাঢ় খয়েরি সানগ্লাস চোখ থেকে খুলে হাসল। এরপর বিকুর দিকে হাত বাড়িয়ে বলল, ‘হ্যালো! স্কুল থেকে বাসায় ফিরছিলাম। ওই দেবদারুগাছে আমাদের স্কুল। বৃষ্টির জন্য তাড়াতাড়ি স্কুল ছুটি দিয়েছে আজ। হঠাৎ তোমার নৌকাটা চোখে পড়ল। ভাবলাম নৌকায় করে একটু ঘুরে আসি। কিন্তু তুমি এত অবাক হয়ে কী দেখছ?’

বিকু বলল, ‘তুমি দুটো সানগ্লাস পরেছ কেন?’

আরও পড়ুন

ঘাসফড়িং বলল, ‘আমার চোখ তো তোমার মতো দুইটা না। পাঁচ-পাঁচটি চোখ আমাদের। বড় চোখ দুটি দুই পাশে আর মাঝে আছে তিনটি চোখ। মাঝের চোখ তিনটি মূলত আলো আর অন্ধকার বুঝতে আমাদের সাহায্য করে। কিন্তু চোখ যখন, তখন সানগ্লাস না পরলে চলে? শুধু বড় চোখরাই সানগ্লাস পরবে আর ছোট চোখরা তাকিয়ে দেখবে, এটা কি ঠিক? তাই সানগ্লাস পরলে সব কটি চোখেই পরা উচিত, কি বলো?’

বিকু বলল, ‘তা ঠিক।’

ঘাসফড়িং বলল, ‘এই নৌকায় দেখছি বৈঠা নেই। এভাবে কতক্ষণ ভেসে থাকবে তুমি?’

বিকু বলল, ‘কী করা যায় বলো তো?’

ঘাসফড়িং বলল, ‘চিন্তা কোরো না। আমার ছাতা দিয়েই বৈঠার কাজ করা যেতে পারে।’

এই বলে হাতের ছাতাটি দিয়েই নৌকা বাইতে শুরু করল ঘাসফড়িং। নৌকায় গতি এল।

কিছুটা সামনে এগোতেই পানির একধারে বিকু দেখতে পেল এক কেঁচোর বাচ্চাকে। সে পানির ধারে থাকা এক গাছে ওঠার চেষ্টা করছিল। নৌকা দেখতে পায়েই সে মাথা বাড়িয়ে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করল। কেঁচোর দুই চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। কেঁচোকে কাঁদতে দেখে গাছের পাশে নৌকা থামাল ওরা। কেঁচো ধীরে ধীরে নেমে এল গাছ থেকে। এরপর নৌকাতে উঠে বসল সে।

ঘাসফড়িং কেঁচোকে বলল, ‘তোমার শরীর তো দেখছি একদম ভেজা। খুব সাবধান। এই নাও তোয়ালে। ভালো করে শরীর মুছে নাও। এই নৌকা কাগজের তৈরি। ভিজে গেলেই কিন্তু সমস্যা।’

ঘাসফড়িং তার স্কুল ব্যাগ থেকে একটি তোয়ালে বের করে দিল। কেঁচো তোয়েলে দিয়ে শরীর মুছে নিল। কিন্তু তার কান্না চলতেই থাকল।

বিকু বলল, ‘আহা! কাঁদছ কেন? নৌকা ভিজে যাবে যে!’

কেঁচোর বাচ্চা বলল, ‘আমি তো মাটির নিচে আমাদের স্কুলে ছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ল আমাদের ক্লাসে। আমরা সবাই এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়লাম। জানি না আমার ভাইবোনেরা কোথায় আছে! কেমন আছে!’

ঘাসফড়িং বলল, ‘কয় ভাইবোন তোমরা?’

কেঁচো বলল, ‘আমি কি এত ভাইবোন গুনে শেষ করতে পারি! তবে কয়েক শ ভাইবোন তো হবেই। আবার কয়েক হাজারও হতে পারে।’

ঘাসফড়িং বলল, ‘তুমি কেঁদো না। চুপচাপ বসো এখানে। নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে তোমার ভাইবোনদের।’

আরও পড়ুন

নৌকা এগিয়ে চলল সামনে। এরই মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে বিকু, ঘাসফড়িং আর কেঁচোর। খানিকটা এগোতেই এক গাছের পাতায় চোখ আটকে গেল ওদের। ওখানে কিছু একটা ঝলমল করছে। যেন ঠিকরে আলো বের হচ্ছে ওখান থেকে। এত আলো সইতে না পেরে বিকু আর কেঁচো নিজেদের চোখ ঢেকে ফেলল। কিন্তু চোখে সানগ্লাস থাকায় ঘাসফড়িং তাকিয়ে রইল গাছের ফাঁকে। দেখল সেখানে হীরার মতো ঝলমল করছে একটা কাচপোকা। ওদের দেখতে পেয়ে কাচপোকা নৌকায় উঠতে চাইল। ওরা কাচপোকাকেও সঙ্গে নিল।

বৃষ্টি থেমে গেছে। দারুণ বাতাস বইছে। তরতর করে এগিয়ে চলছে কাগজের নৌকা। কেঁচোর কান্না ততক্ষণে থেমে গেছে। সে ঘাসফড়িংয়ের বড় সানগ্লাসটি চোখে পড়েছে। সানগ্লাস পরে তাকে দেখতে কেমন লাগছে তা জানতে খুব ইচ্ছে করছে কেঁচোর। তাই সে পানির দিকে ঝুঁকে নিজেকে দেখার চেষ্টা করল। কিন্তু পানি এত ঘোলা যে কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

কাচপোকা বলল, ‘সাবধান, পানিতে পড়ে যাবে তো! এক কাজ করো তুমি। আমি সোজা হয়ে দাঁড়াচ্ছি। তুমি তোমার চেহারা আমার পিঠে দেখতে পাবে।’

কেঁচো তাই করল। অবাক! কাচপোকার পিঠ এত স্বচ্ছ যে সেখানে কেঁচো তার ছায়া দেখতে পেল। সানগ্লাস পরে দেখতে মন্দ লাগছে না তাকে। আর চোখেও বেশ আরাম লাগছে। কেঁচোরা যে কেন সানগ্লাস পরে না কে জানে!

এগিয়ে চলল কাগজের নৌকা। অনেকক্ষণ নৌকা চালিয়ে ঘাসফড়িং বেশ ক্লান্ত। তাই বৈঠা এখন বিকুর হাতে। এখানে পানি বেশ কম। হঠাৎ কিসের সঙ্গে যেন জোরে ধাক্কা খেল নৌকা। আরে! বলের মতো ওইটা কী! বলটি আবার নড়াচড়াও করছে। সবাই অবাক হয়ে গেল। হঠাৎ নিচ থেকে ডিগবাজি দিয়ে বলের ওপরে এসে দাঁড়াল একটি গুবরে পোকা। গুবরে পোকার সারা শরীর গোবরে মাখামাখি হয়ে আছে। সে মুখ গোমড়া করে বলল, ‘আমার নাম গোবরা। গোবরের এই বলটি আমি অনেক কষ্ট করে বনিয়েছি। কিন্তু বলটি বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাচ্ছে। আমি কি গোবরের এই বলটি এই নৌকায় তুলতে পারি?’

সবাই চিৎকার করে উঠল। বলল, ‘তোমার কি মাথা নষ্ট! কী গন্ধ রে বাবা! এই ময়লা বলটা তুমি নৌকায় ওঠাতে চাও?’

গোবরা বলল, ‘ময়লা বলছ কেন? গোবরের এই বলটাই তো আমার বাসা। এই বল থেকেই আমি আমার খাবার পাই।’

সবাই হই হই করে উঠল। বলল, ‘না না! গোবরের এই বল নিয়ে কিছুতেই নৌকায় ওঠা যাবে না।’

গোবরা মন খারাপ করে বলল, ‘ঠিক আছে। আমি গোবরের বল নেব না। কিন্তু আমাকে একটু জায়গা দেবে তোমাদের নৌকায়?’

বিকু বলল, ‘ঠিক আছে। কিন্তু নৌকায় ওঠার আগে ভালোভাবে গোসল করে নাও।’

গোবরা বলল, ‘ঠিক আছে। আমি গা ভালোভাবে ধুয়ে নৌকায় উঠছি।’

গোবরা শরীর পরিষ্কার করে নৌকায় উঠল। বসল কাচপোকার পাশে। গোবরার হাতে একটা ছোট্ট পুঁটলি। কাচপোকা জিজ্ঞেস করল, ‘এর ভেতর কী আছে?’

আরও পড়ুন

গোবরা বলল, ‘আমার খাওয়ার জন্য সামান্য একটু গোবর বেঁধে এনেছি। গোবর খেতে কিন্তু খুব মজা। তুমি খাবে?’

কাচপোকা ভয় পেয়ে বলল, ‘না বাবা! তোমার খাবার তুমিই খাও।’

কাগজের নৌকা ছুটে চলেছে।

ওদিকে ভীষণ খিদে পেয়েছে কেঁচোর বাচ্চার। সে বলল, ‘খুব খিদে পেয়েছে আমার।’

কাচপোকা বলল, ‘আমারও।’

ঘাসফড়িং বলল, ‘আমার টিফিন বক্সে কিছু খাবার আছে। আসো আমরা সবাই একসঙ্গে মিলে খাই।’

ঘাসফড়িংয়ের টিফিন বক্সে ছিল ঘাসের ফ্রাই, পাতার কেক আর গাছের শিকড়ের স্টু। কিন্তু ওরা যেই না খেতে বসেছে, একটা মাছি ওদের ভীষণ বিরক্ত করতে শুরু করল। মাছির অত্যাচারে খাওয়াই কঠিন হয়ে পড়ল।

মাছির কাণ্ড দেখে মাথা গরম হয়ে গেল গোবরার। সে তিন ডিগবাজি দিয়ে সামনে এসে লাফিয়ে উঠে শক্ত করে এক লাথি দিল মাছিকে। গোবরার এক লাথিতেই মাথা ঘুরে পানিতে পড়ে গেল মাছি।

সবাই হাত তালি দিয়ে উঠল। বলল, ‘গোবরা, তুমি দেখছি কুংফু কারাটে জানো। কী মারটাই না দিলে মাছিকে।’

গোবরা লজ্জা পেয়ে বলল, ‘গোবরে কিন্তু অনেক শক্তি আছে। তোমরা চাইলে কিন্তু আমার পুঁটলিতে রাখা গোবর খেতে পার।’

‘না থাক! এত পুষ্টিকর খাবার লাগবে না আমাদের।’ সবাই হাসতে শুরু করল।

সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। ওদিকে নৌকার তলা ধীরে ধীরে ভিজে উঠছে। সবাইকে তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে। ওরা নৌকা ঘুরিয়ে নিল। পানি অনেকটাই নেমে গেছে। দ্রুত ফিরতে না পারলে নৌকা কোথাও আটকে যেতে পারে।

গোবরা ঘাসফড়িংকে বলল, ‘তোমার একটা গান শোনার খুব ইচ্ছা ছিল আমার। তুমি কি একটা গান গাইবে আমাদের জন্য?’

ঘাসফড়িং বলল, ‘নিশ্চয়ই গাইব।’

আরও পড়ুন

লেজের ঘর্ষণে আওয়াজ তুলল ঘাসফড়িং। সবাই ঘাসফড়িংয়ের সঙ্গে গলা মেলাল। কাচপোকা আর বিকু নাচতে শুরু করল।

এবার ফেরার পালা। প্রথমেই গোবরার গন্তব্য চলে এল। সে তার গোবরের বল খুঁজে পেল না। কিন্তু সামান্য দূরে ঘাসের ওপর নতুন একদলা গোবর খুঁজে পেল সে। সবাইকে বিদায় জানিয়ে নতুন গোবরের গাদাতেই নেমে গেল গোবরা। নতুন করে আবার গোবরের বল বানানোর কাজ শুরু করতে হবে।

এরপর কাচপোকার নামার পালা। সে নামার আগে সবাই ওর পিঠে একবার করে নিজেদের চেহারা দেখে নিল। এরপর নেমে গেল কাচপোকা।

কেঁচোকে মেরুন সানগ্লাসটা দিয়ে দিল ঘাসফড়িং। সানগ্লাস পেয়ে কেঁচো যে কী খুশি! সে দেখল, তার ভাইবোনেরা মাঠের পাশে ওর জন্য অপেক্ষা করছে। পিঁপড়া আর ঘাস ফড়িংকে বিদায় জানিয়ে সানগ্লাস চোখে নৌকা থেকে নেমে গেল কেঁচো। এরপর ভাইবোনদের সঙ্গে মিশে গেল।

ঘাসফড়িং পিঁপড়াকে বলল, ‘এবার নামতে হবে আমাকে। কী দারুণ সময় কাটালাম একসঙ্গে। আজকের দিনটির কথা সারা জীবন মনে থাকবে আমার। যদিও পানির স্রোত কমে এসেছে, তারপরও এই ছাতাটা প্রয়োজন হবে তোমার। বাকিটা পথ সাবধানে যেয়ো। আবার দেখা হবে আমাদের।’

ঘাসফড়িংকে নামিয়ে নিজ দুর্গে ফিরছে বিকু। সে দেখল, দুর্গের গোড়া থেকে পানি সরে গেছে। আর সবাই দাঁড়িয়ে আছে দুর্গের সামনে। বিকুর জন্য অপেক্ষা করছে। বিকুকে দেখতে পেয়ে সবাই আনন্দে হইচই করতে শুরু করল। রানি পিঁপড়া নিজে এসে বিকুকে জড়িয়ে ধরল। বলল, ‘তুমি শুধু সাহসী নও, খুব কৌশলীও। তোমাকে নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত। আজ থেকে তোমাকে এই দুর্গরক্ষার প্রধান প্রশিক্ষক পদে নিয়োগ দিলাম আমি। আমি চাই, দুর্গের প্রতিটি পিঁপড়া যেন তোমার মতো দক্ষ হয়।’

রানি পিঁপড়া বিকুর হাতে মস্ত বড় একটা ক্রেস্ট তুলে দিল।

আরও পড়ুন