আহসান হাবীবের কিশোর উপন্যাস 'টেম্পার অ্যাকশন ক্লাব' (ষষ্ঠ পর্ব)

অলংকরণ: আরাফাত করিম

আহসান হাবীবের কিশোর উপন্যাস 'টেম্পার অ্যাকশন ক্লাব' (প্রথম পর্ব)

আহসান হাবীবের কিশোর উপন্যাস 'টেম্পার অ্যাকশন ক্লাব' (দ্বিতীয় পর্ব)

আহসান হাবীবের কিশোর উপন্যাস 'টেম্পার অ্যাকশন ক্লাব' (তৃতীয় পর্ব)

আহসান হাবীবের কিশোর উপন্যাস 'টেম্পার অ্যাকশন ক্লাব' (চতুর্থ পর্ব)

আহসান হাবীবের কিশোর উপন্যাস 'টেম্পার অ্যাকশন ক্লাব' (পঞ্চম পর্ব)

শুটকা মানে রফিকুল আলম চিন্টুর মুঠোফোনটা সত্যি সত্যি রেখে দিল ফাহাদ। চিন্টুকে ছেড়ে দিয়ে চিন্তিত মুখে বাসার পথ ধরল ওরা। বিড়বিড় করে বলল, ‘আমি পলিকে উদ্ধার করব যে করেই হোক, দুঃখী একটা মেয়ে।’

‘দুঃখী কেন?’ জিজ্ঞেস করল রাফি।

‘দুঃখী না? এই বয়সে ওর স্কুলে পড়ার কথা। সে মানুষের বাসায় কাজ করে। যে বাসায় কাজ করত, ওরা লোক ভালো না। মাঝেমধ্যে মেয়েটা দোকানে জিনিসপত্র কিনতে আসত। তখন আমার সঙ্গে টুকটাক কথা হতো।’

‘কী কথা হতো?’

‘অন্য কোনো বাসায় ওকে কাজ দিতে পারব কি না, জানতে চাইত। আহা মেয়েটা! আচ্ছা তোরা আমার সঙ্গে থাকবি তো?’

‘কিসের ব্যাপারে?’

‘এই যে, পলিকে উদ্ধারের ব্যাপারে?’

‘অবশ্যই।’ বলল রাফি। আজকের এই ছোট্ট অপারেশনের পর রাফি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।

আশ্চর্যের ব্যাপার, পরদিন স্কুলে এল না ফাহাদ। স্কুল ছুটির পর ওরা তিনজন মানে রাফি রনি আর মহিন্দ্র মাঠে বসে গল্প করছিল। রাফি গতকালকের রোমহর্ষ ঘটনাটা বলছিল। কীভাবে কী হলো, মারামারির এক পর্যায়ে ক্লাবের অন্যরা কীভাবে পালাল, কীভাবে ক্লাবের প্রধান চিন্টুকে ধরা হলো...বেল্ট দিয়ে বাঁধা হলো। ঠিক তখনই স্কুলের গেটে ফাহাদকে দেখা গেল।

‘আরে ফাহাদ? আজ স্কুলে এলে না যে?’

‘একটা জরুরি কাজে ছিলাম।’ রাফির দিকে তাকাল ফাহাদ। চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিল যে পলিকে উদ্ধারের কার্যক্রম ও শুরু করে দিয়েছে।

‘সেকি, তুমি একাই?’

‘একটু ফিল্ডওয়ার্ক করলাম আজ সারা দিন, একাই করলাম।’

ওরা চারজনে মিলে আবার নতুন করে আলাপ-আলোচনা করল, কীভাবে কী করা যায়। মেয়েটাকে ঠিক কোথায় রেখেছে, এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে মনে হয়, ছোট একটা সূত্র ফাহাদ পেয়েছে। তবে চিন্টু যদি ওই গ্রুপকে সতর্ক করে দেয়, তাহলে সাড়ে সর্বনাশ। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। মহিন্দ্র তার কোচিং আছে বলে চলে গেল। মহিন্দ্র যে শুধু নিজে কোচিং করে তা নয়, সে মাঝেমধ্যে কোচিং করায়ও। ওরা বাকি তিনজন আলাপ-আলোচনা শেষ করে উঠতে যাবে, হঠাৎ দেখে পাঁচ-ছয়টা ছায়ামূর্তি এগিয়ে আসছে। ভেতরে–ভেতরে আঁতকে উঠল রাফি। চিন্টুর দল! এবার ওরা দলে ছয়জন। আর রাফিরা তিনজন। নিশ্চয়ই প্রতিশোধ নিতে আসছে ওরা।

ওদের তিনজনকে ঘিরে ধরল ছয়জন। চিন্টুর হাতে মাথা বাঁকানো লোহার রডের মতো কিছু একটা। রাফি বুঝতে পারছে না, এবার কীভাবে আক্রমণটা করবে ওরা? প্রতিরোধই বা কীভাবে হবে, ফাহাদ কী ভাবছে...! চিন্টুই কথা বলল প্রথম।

‘ফাহাদ, মেয়েটাকে ওরা আজকেই পাচার করবে। ওকে উদ্ধার করতে হলে এখনই সময়।’

‘তুমি তাহলে আমাদের সঙ্গে?’ ফাহাদ ততক্ষণে উঠে দাঁড়িয়েছে।

‘হ্যাঁ, আজ থেকে টেম্পার অ্যাকশন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট তুমি।’

হেসে উঠল ফাহাদ, ‘না, না, তার দরকার নেই। প্রেসিডেন্ট তুমিই থাকো। তবে ভালো কাজ করতে হবে আমাদের। পলিকে উদ্ধার করা দিয়েই নাহয় শুরু হোক। চলো তাহলে এখনই। কোথায় যাব আমরা?’

‘গেলেই দেখবা।’

‘তোরা যাবি?’ রাফি আর রনির দিকে তাকায় ফাহাদ।

আরও পড়ুন

‘অবশ্যই। ফাহাদ হাসিমুখে চিন্টুর মুঠোফোনটা ফেরত দেয়। চিন্টু ফিসফিস করে, ‘ওরা কেউ ফোন দিয়েছিল?’

‘হ্যাঁ, দুবার। তোমাকে খুঁজছিল। আমি তোমার হয়ে বলেছি, এলাকায়ই আছি।’

‘ভালো।’ বিজ্ঞের মতো মাথা নাড়ায় চিন্টু। ওরা সবাই মিলে এগোয়। রাফি আর রনি ওদের স্কুলব্যাগ দুটো মোড়ের পরিচিত দোকানটায় রেখে দেয়। রাফির ভেতর তখনো একটা সন্দেহ কুটকুট করছে। এটা চিন্টুর কোনো ফাঁদ নয় তো? চিন্টু ছাড়া বাকি পাঁচজনকে তো ওরা চেনে না। যদিও সবাই সমবয়সী ওরা।

নদী যেখানে মোড় নেয়, সেখানে নাকি প্রকৃতি বদলে যায়। সোমনাথ নদ যেখানে মোড় নিয়েছে, সেখানেও যেন তেমন মনে হলো ওদের। ছোট ছোট ঝোপঝাড়ের বদলে হঠাৎ সব বড় বড় গাছ। ওরা বেশ বড় একটা বটগাছের নিচে এসে দাঁড়াল। তার থেকে একটু দূরে একটা পুরোনো দোতলা বাড়ি, বাড়িটার সিঁড়ি একদম নদীতে নেমে গেছে। সেখানেই একটা ছইওয়ালা বেশ বড় নৌকা বাঁধা।

‘এই বাড়িতেই আছে ওরা।’ চিন্টু বলল।

‘তুমি নিশ্চিত?’

‘শতভাগ নিশ্চিত।’

‘ওই বাসার ভেতর কতজন আছে?’

‘তা জানি না। ঘাটে ওই যে একটা নৌকা। ওই নৌকা দিয়ে ওরা মানুষ পাচার করে, নদী পার করে তারপর মাইক্রোতে করে বর্ডারে চলে যায়।’ ফিসফিস করে চিন্টু।

‘নৌকায় কোনো মাঝি নেই।’ ওদের মধ্যে কেউ একজন বলল।

‘তাই তো মনে হচ্ছে।’

‘আমি নৌকা চালাতে পারি।’ দলের কেউ একজন বলল ফিসফিস করে।

‘তাহলে এক কাজ করা যাক। নৌকার ভেতর যখন কেউ নেই, নৌকাটা ঘাট থেকে সরিয়ে ফেলো।’ ফাহাদ বলল। ওদের আটজনের দলে সবচেয়ে লম্বা ছেলেটা যে চিন্টুর সঙ্গে এসেছিল, সে এগিয়ে গেল নিঃশব্দে। সে-ই বোধ হয় বলেছিল যে নৌকা চালাতে পারে।

নৌকার দড়ি খুলতেই যাবে, এমন সময় কেউ একজন বলল—

‘এই! কে?’

লম্বা ছেলেটা বুদ্ধিমান। সবাই ভেবেছিল যে নৌকার ভেতর কেউ নেই। কিন্তু ভেতরে একজন শুয়ে ছিল বলে বোঝা যাচ্ছিল না। লম্বা ছেলেটা বলল, ‘আমি। ওস্তাদ কইছে নৌকা মাঝনদীতে নিতে।’

‘ক্যান?’

‘তা তো জানি না, মনে হয় একটু ঝামেলা হইছে।’

‘আচ্ছা, দড়ি খোল।’

আরও পড়ুন

লম্বা ছেলেটা দড়ি খুলে নৌকায় ধাক্কা দিল। নিঃশব্দে নৌকাটা সরে গেল ঘাট থেকে। ঠিক তখনই দুটো লোক বেরিয়ে এল দোতলা বাড়িটা থেকে। তাদের পেছন পেছন তিনটা মেয়ে। দুটো মেয়ে বড়, একজন ছোট। বোঝাই যাচ্ছে যে ছোট মেয়েটাই পলি। সে কাঁদছিল। আর ফিসফিস করে বলছিল ‘আমাকে ছেড়ে দাও! আমাকে ছেড়ে দাও!’ ঠিক যেমনটা চিন্টুর ফোনের ভিডিওতে দেখা গেছে।

‘ওই! কথা কম! একদম চুপ!’

মোটাসোটা একটা বাজখাঁই গলা একটা হুংকার দেয়। তার ডান হাতটা বেশ লম্বা। তার মানে, ওই হাতে একটা বন্দুক বা ওই ধরনের কিছু ধরা আছে। মনে হচ্ছে শটগান। এখন কী করবে ওরা? সময় যেন থমকে গেছে। ফাহাদ চিন্টুর দিকে তাকাল। চিন্টু তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে লোক দুটোর দিকে। এবার চিন্টু তাকাল ফাহাদের দিকে। ফিসফিস করল, ‘আমরা দুই ভাগ হয়ে দুজনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ব। এখনই সময়।’

‘না।’ ফিসফিস করে ফাহাদ। ‘ওই শটগান হাতের লোকটাকে আমি একাই সামলাব।’

‘পারবা?’

‘অস্ত্র হাতে থাকলে কীভাবে সামলাতে হয়, আমি জানি। যদি না পারি, তোমরা এগিয়ে আসবে।’ অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। দলটাকে তিন ভাগ করো। এক ভাগ অপেক্ষা করবে। নতুন কোনো বিপদ হলে এগিয়ে আসবে। পেছনের লোকটাকে তোমরা সামলাও।’

‘ঠিক আছে।’

ওদিকে শটগান হাতের লোকটা হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠল, ‘ওই নৌকা কই?’ তখনই সে দেখল লম্বা ছেলেটাকে। ও নিজেকে আড়াল করতে পারেনি।

‘নৌকা কই? এই তুই কে?’

‘আমি মাঝির হেল্পার। চাচা গেছে হারিকেনে তেল ভরতে।’

‘ওই কী কস? হারিকেন লাগব ক্যান?’ বলেই লোকটা টর্চ মারে ছেলেটার মুখে। ঠিক তখনই ঝাঁপ দেয় ফাহাদ। পেছন থেকে প্রায় শূন্যে ডাইভ দিয়ে লোকটার দুই হাঁটুর মাঝখানে মাথা ঢুকিয়ে আচমকা দুই হাতে চেপে ধরে হাঁটু...একসঙ্গে; মনে আছে কোরিয়ান ট্রেনার ওদের শিখিয়েছিল, এটাকে বলে স্টিং রে ফিশ অ্যাটাক...গভীর সমুদ্রে এই কাজ করে এক বিশেষ প্রজাতির মাছ বিপদে ফেলে তার প্রতিপক্ষকে, তার প্রসারিত শরীরটাকে গুটিয়ে এনে হঠাৎ ছড়িয়ে দেয় নিজেকে। লোকটা কিছু বোঝার আগেই হাঁটু ভাঁজ হয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে সিঁড়ির ওপর। তার হাতের শটগানটা ছিটকে শূন্যে উঠে পড়ে, লম্বা ছেলেটা আশ্চর্য দক্ষতায় সেটা খপ করে ধরে ফেলে, ছেলেটা নিশ্চয়ই ভালো ক্রিকেট খেলে, রাফির মনে হলো।

আরও পড়ুন

ওদিকে চিন্টুর দল দ্বিতীয় লোকটাকে পেড়ে ফেলেছে। পুরো ব্যাপারটা এত সহজে ঘটবে, কেউ ভাবেনি। ওদের ভাগ্য ভালো যে বাড়ির ভেতর আর কোনো লোক ছিল না। সবাই খেয়াল করল, শটগানটা লম্বা ছেলেটার হাতে। সে সেটা ধরে রেখেছে মুখ থুবড়ে পড়া লোকটার মাথার ওপর। ভাবটা এমন, নড়লেই গুলি। লোকটা অবশ্য নড়াচড়ার অবস্থায় আর নেই, নাকটা সম্ভবত ভেঙে গেছে। দরদর করে রক্ত পড়ছে, তার এখন চিকিৎসা প্রয়োজন। ওই অবস্থায় লোকটা ভাঙা গলায় বলল, ‘চিন্টু! তুই গাদ্দারি করলি? এর মজা বুঝবি তুই...’

‘হ্যাঁ, করছি। তোমরা আমগো বস্তিতে আগুন দিবার ষড়যন্ত্র করতাছ, এইটা যেদিন টের পাইছি, ওই দিনই ঠিক করছি তোমাদের সঙ্গে আর নাই। মরলে মরুম। আমার ক্লাব আর তোমাদের বুদ্ধিতে আকাম করব না...কখনোই না।’

এক মাস পরের ঘটনা।

রাফির আপু মিস সুলতানা বেগম যিনি ‘ উইমেন কনসার্ন’ এনজিওর সিনিয়ার প্রোগ্রাম অফিসার, তারাই পলি আর ওই দুই তরুণীর ব্যাপারটা দেখভাল করেছেন, মানে দায়িত্ব নিয়েছেন। পলি তার মা-বাবার কাছে ফিরে গেছে, তারা কাছাকাছিই থাকেন। শুধু তা-ই নয়, পলির মাকে ওই এনজিওতে একটা চাকরির ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন ইসমাত আপুর মা; যিনি এই এনজিওর চেয়ারপারসন। পলিকেও জুভেনাইল গার্লস স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্ধার করা ওই দুই তরুণীকে তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আর ফাহাদ? রাফি? চিন্টু? ওদের কী অবস্থা?

ফাহাদ অবশ্য একটা ভালো কাজ করেছে। কায়দা করে আগেই উদ্ধার পর্বের সব কৃতিত্ব দিয়েছে চিন্টুকে। টেম্পার অ্যাকশন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট চিন্টু। তাকে এখন এলাকার হিরোই বলা যায়। তাকে নাকি পুরস্কৃত করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ঘোষণাটা দিয়েছেন স্থানীয় গুরুজনেরা এবং অতি অবশ্যই চিন্টু এখন ফাহাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এখন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কে হবে, এই নিয়ে ফাহাদ আর চিন্টুর মধ্যে মন-কষাকষি চলছে। সেই ‘আপ প্যাহেলে...নেহি, নেহি আপ প্যাহেলে’ ধরেনর পরিস্থিতি আরকি। তবে ক্লাবের নামটা বদলানো হবে, এমন চিন্তাভাবনাও চলছে। ক্লাসের ফার্স্ট বয় মহিন্দ্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুন্দর একটা বাংলা নাম দেওয়ার জন্য। সে একটা নান্দনিক নাম খুঁজতে শুরু করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে কবে নাগাদ নাম পাওয়া যাবে কিংবা আদৌ পাওয়া যাবে কি না, তা কেউ বলতে পারছে না। আপাতত টেম্পার অ্যাকশন ক্লাবই চলুক। যদিও এ নামের অর্থ ঠিক কারও কাছে এখনো পরিষ্কার নয়।

আগের সেই বদ কাউন্সিলর তার সাঙ্গপাঙ্গসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। নতুন এক কাউন্সিলর দায়িত্ব নিয়েছেন; লোকটা ভালো। তিনি ফাহাদ ও চিন্টুদের বাজারে একটা আস্ত পাকা ঘর দিয়েছেন, তাদের টেম্পার অ্যাকশন ক্লাবের জন্য। সেখানে সোম আর বুধবার বিকেলে ফাহাদ বিনা মূল্যে কারাতে প্রশিক্ষণ দেয়। পাড়ার অনেকেই শিখতে আসে।

শুক্রবারে হয় গান শেখার আসর। গান শেখান এলাকার বড় ভাই বরুণদা। সেখানে নিয়মিত গান শিখতে আসে পলি আর তার দুই বান্ধবী, ছেলেরাও কেউ কেউ আসে। পলির গানের গলা যে এত ভালো, কে জানত। মাঝেমধ্যে পলির সঙ্গে ফাহাদের দেখা হয় ক্লাবে। পলি তখন মনে করিয়ে দেয় ফাহাদকে সেই ছোট্ট ঘটনা। সেই যে একবার দোকানে কী একটা কিনতে গিয়ে কয়েকটা বদ ছেলের পাল্লায় পড়েছিল সে। তখন ফাহাদ এগিয়ে এসেছিল...সেই ঘটনা। ফাহাদ হেসে বলে, ‘ওহ, তুমি মনে রেখেছ ঘটনাটা?’

পলিও হাসে। দূর থেকে রাফি ওদের দেখে, কী মনে করে সে-ও মুচকি হাসে। হাসি ব্যাপারটা তো সংক্রামক, আমরা সবাই জানি। এই রকম হাসি হাসি মুখ নিয়ে আমরা সবাই যদি থাকতে পারতাম এই পৃথিবীতে, তাহলে কিন্তু সত্যিই মন্দ হতো না।

আর একজন বিখ্যাত দার্শনিক তো বলেই গেছেন, ‘যেদিন হাসা গেল না, সেদিন আসলে আমাদের নিদারুণভাবে ব্যর্থ!’

আরও পড়ুন