খুব সুন্দর এঁকেছে স্নিগ্ধ। ডানে বাবা, বাঁয়ে মা, মাঝখানে সে। দুজনের আঙুল ধরে আছে। স্নিগ্ধর পায়ের কাছে পোষা বিড়াল মিক্কু। ছবিটার নাম ‘মাই ফ্যামিলি’।
আঁকা শেষ করেই স্নিগ্ধ ছুটল বাবার কাছে। বাবা ল্যাপটপে, মিটিং।
‘বাবা, বাবা, দেখো না, আমি এঁকেছি।’
‘বাহ্, দারুণ হয়েছে। এবার ছবিটা রং করো।’ ছবিটা রং করাই ছিল। বাবা না দেখেই বলল। স্নিগ্ধকে এড়ানোর চেষ্টা। বড়রা ভাবে, ছোটরা বুঝি বোঝে না। স্নিগ্ধ ঠিকই বুঝল বাবার অবহেলা।
এবার ছুটল মায়ের কাছে। মা ফোনে, ও প্রান্তে বান্ধবী। ‘আহা ভাবি, রাশির সংসারটা ভেঙে গেলে ওর ছোট্ট মেয়েটার কী হবে বলেন!’ রাশি টিভির সিরিয়াল, স্নিগ্ধ জানে। মা রোজ দেখে।
‘মা, মা, দেখো না, আমি কী সুন্দর এঁকেছি।’
ফোনটায় এক হাতে চাপা দিয়ে মা বললেন, ‘এখন বিরক্ত কোরো না তো! যাও আবার আঁকো।’
স্নিগ্ধ ছবিটা আবার আঁকল। ‘মাই ফ্যামিলি’ নামটাও থাকল।
কিন্তু ছবিতে শুধু সে আর মিক্কু।