ভয় নেই, কোনো ভয় নেই

'আচ্ছা, কুকুর নিয়ে শুরু করেছি কেন আমরা?' ল্যাবরেটরি মেয়েটি একদিন জিজ্ঞেস করেছিল ডাক্তারকে, 'ব্যাঙ নয়, বাঁদর নয়- কেবল কুকুর?'

ইওলকিন বলেছিল, 'আমার ধারণা, তার অনেক কারণ আছে। কারণ ওদের জীবসত্তা আমাদের মানুষের মতো, কারণ ওরা সহজেই অভ্যস্ত হয়ে যায়, বিশ্বাস রাখে, কারণ পরীক্ষার সময় ওরা শান্ত থাকে, নার্ভাস হয় না। কতবারই তো ভালিয়া, মানুষকে বাঁচিয়েছে কুকুর। শিকারে, যুদ্ধক্ষেত্রে, হাসপাতালে। সন্ধান কাজে ওরা আছে সব সময়। এখন মহাকাশের ব্যাপারেও। এবার চলুন যাই আমাদের পালিত শিশুগুলির কাছে। দেখা যাক, কেমন আছে।'

সন্ধানীরা কিন্তু নিজেদের অমন জরুরী ভূমিকায় একটুও বিচলিত না হয়ে দিব্যি আনন্দে দিন কাটাচ্ছিল। বেশ লাগছিল ওদের আদর আপ্যায়ন, বেশ বুদ্ধিমানের মতো রান্না করা খাবার- হাড়, রগ তার মধ্যে রোজ থাকবেই, সেই সঙ্গে টুকরোখানেক মাংসও। ডাক যদি বা শোনা যেত, তবে সেটা নিতান্তই শান্তিপ্রিয় ডাক।

গতকালের এই হা-ঘরেগুলোকে ধোয়া-পাল্লা, আচড়ানো, বুরুশ, ওজন নেওয়া, মাপ নেওয়া, বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, ভদ্রতা শেখানোর জন্যে কত লোকেই না উদ্‌গ্রীব। দুষ্টুমি করার জন্যে চড় চাপড় যদি বা কেউ কখনো পায় তো শুধু ফুর্তি'র সময়েই, তার জন্যে কেই বা রাগ করবে।

এমনকি গায়ে দাগফুটকিওয়ালা যে কুকুরটার ডাকনাম জুটেছে 'ফুটকি' সেটা পর্যন্ত শান্ত হয়ে উঠল, অথচ আগে যে কোনো একটা ছুতোয় ঘেউ ঘেউ করে একেবারে গলা ভেঙে বসত। একটা শুধু বিচ্ছিরি অভ্যেস রয়ে গেল ফুটকির। কেউ তার পেছন দিকে দাঁড়ালেই সে চমকে উঠে মুখ ঘুরিয়ে দাঁত দেখাত। বোঝা যায় কেউ কখনো তাকে পেছন থেকে লুকিয়ে এসে মেরেছে। ফুটকি যদি তার নিজের কাজে ব্যস্ত থাকত বা ঘুমত, তাহলে কেউ আগে না ডেকে তার কাছে আসত না।

দিনের পর দিন যায়, অন্য কুকুরদের মতো তিয়াপারও বদল হয়েছে অনেক: চকা ভাবটার বদলে এসেছে প্রশান্তি। বলতে কি একটু বেশি রকমেরই শান্ত হয়ে উঠল সে, গলা চড়াত কদাচিত, ছটফট করত না, জালির মধ্যে দিয়ে পড়শীকে কামড়াবার কোনো চেষ্টা করত না।

সবার কাছ থেকেই ভালোবাসা পেত কিন্তু গুবরে। লেজখানা ওর ছিল অপূর্ব, কুকুর হৃদয়ের সবখানি সে প্রকাশ করত ঐ লেজের মধ্যে দিয়ে। যখন খুশি হত তখন রঙমিস্ত্রির থুপনির মতো দুলত তার ফাঁয়ো ফয়ো লেজটা। না থেমে একশ বার, হাজার বার সে দোলাতে পারত লেজ, একটুও ক্লান্ত হত না। মানে, হয়ত বা মিনিট খানেকের জন্যে মাথাটা আর লেজটা কখনো নামাত, সেটা আদর কাড়ার জন্যে, তারপরেই ফের তার বিশেষ ঢঙে খাড়া হয়ে উঠত, যেন বলত, এ জীবনে আমি ভারি খুশি। আর যেই লড়াকু মেজাজ আসত অমনি কী উদ্ধতভাবেই না খাড়া হয়ে উঠত লেজ, আর নিজে কখনো দোষ করলে তেমনি লজ্জায় পেটের মধ্যে লেজ গুটিয়ে যেত। আবার ডিশ হাতে জমাদারের উদয় হবার সময় কেবল তার লেজের ডগাটিতেই মনের যে আলোড়ন ফুটে উঠত তা ভাষাতেও প্রকাশ করা যায় না। অপূর্ব লেজ নয় কি!

আরও পড়ুন

গুবরের ঠিক বিপরীত হল গদাইলস্করী আলসে কুকুর পাম। সবসময়ই সে হাই তুলছে, আড়িমুড়ি ভাঙছে। শাদাটে মুখের দুপাশ দিয়ে ঝোলা ঝোলা কালচে কান, মনে হয় যেন কোনো দর্জি বুঝি ভুল করে ওর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে।

মসৃণ লোমের রোগাটে কুকুর খোকন তাকায় বেশ গুটিগুটি কালো কালো সত্যবাদী চোখে। আর ঠিক অমনি নিরীহ মুখ করেই কিন্তু দিব্যি তুলে নিতে পারে পকেট থেকে বেরিয়ে আসা রুমাল। হাতে নাতে ধরা পড়লে আবার মস্ত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে দোষী দোষী মুখ করে লেজ নামিয়ে নেবে। সেই সঙ্গে সোজাসুজি তাকিয়ে থাকবে লোকটার চোখের দিকে, যেন তার অকপট দৃষ্টি দিয়ে বলতে চায়: "দেখলেন তো রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কী শিক্ষা হয়। অবিশ্যি এটা যে খুব শোভন নয়, তা বুঝি, কিন্তু কী করি বলুন..." অথচ এই অকপট স্বীকারোক্তির মিনিট কয়েক পরেই চোট্টা কুকুরটা ফের আবার কিছু না কিছু চুরি করে বসবে। সত্যি, বেশ ভালোরকম মনোযোগ দিয়ে মানুষ করে তোলা দরকার ওকে!

দিনের পর দিন যায়, অন্য কুকুরদের মতো তিয়াপারও বদল হয়েছে অনেক: চকা ভাবটার বদলে এসেছে প্রশান্তি। বলতে কি একটু বেশি রকমেরই শান্ত হয়ে উঠল সে, গলা চড়াত কদাচিত, ছটফট করত না, জালির মধ্যে দিয়ে পড়শীকে কামড়াবার কোনো চেষ্টা করত না। কিন্তু এই শান্তির সঙ্গে উদাসীনতা বা আলস্যের কোনো সম্বন্ধ ছিল না। ও যেন মূর্তিমান সতর্কতা। তীরের মুখের মতো তীক্ষ কানদুটো তার সর্বদাই মুখিয়ে, পরিস্থিতির যে কোনো বদলেই চোখ তার সজাগ। বোঝবার চেষ্টা করত তিয়াপা, শাদা ওভারঅল পরা লোকগুলো কী চায় তার কাছ থেকে, এত দয়া মমতার উদ্দেশ্য কী? নতুন কোনো একটা দুর্ভোগ জুটবে না তো?

ইওলকিন একদিন ওর খাঁচার কাছে রইল বরাবরকার চেয়ে একটু বেশি সময় ধরে। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে বেশ স্থির সংকল্প নিয়েই সে দরজা খুললে:

'চলরে খে'কুরে!'

খুশি হল তিয়াপা, জ্বলজ্বল করে উঠল ওর কালো চোখদুটো। অসহ্য এই খাঁচাটা থেকে শেষ পর্যন্ত বেরুনো গেল তাহলে! এই অপ্রত্যাশিত খুশিটা কিন্তু তিয়াপা মোটেই ফাঁস করল না। ধীরে সুস্থে উঠে এই যে অদ্ভুত লোকটা তাকে শাস্তি দিতে ভুলে গেছে, তার পেছু পেছু সে চলল আস্তে আস্তে। গেল সে মাথা না তুলে, লম্বা বারান্দা ধরে, কালো জুতোর ক্ষয়ে যাওয়া হিলের পেছু পেছ, আর নিজের ধরনে যাচাই করতে লাগল বাড়িটাকে। প্রথমটা বার্নিশ করা কাঠের মেঝের ঝাঁঝালো গন্ধে নাকের মধ্যে খানিকটা শুর শুর করল, সেটা ছাপিয়ে রান্নাঘর থেকে তপ্ত স্বাদু গন্ধের ঝলক বয়ে গেল, তারপর ডিসপেনসারির গন্ধ টের পেলে তিয়াপা।

যে কামরাটায় ওরা ঢুকল সেখানে তেমন বিশেষ কিছু গন্ধ ছিল না। তাহলেও মেসিনের তেলের একটা আবছা গন্ধ বেশ টের পেলে তিয়াপা। দেয়াল বরাবর কতকগুলো কালো কালো শাদা শাদা বাক্স। একের পর এক নাক দিয়ে সেগুলোর ঠান্ডা ধাতুর পরখ নিলে তিয়াপা।

কী একটা ঝি ঝি শব্দ শুনে দাঁড়িয়ে পড়ল তিয়াপা। শব্দ উঠছে একটা ছোট্ট বাক্স থেকে, মানুষটা তা কখনো এ গালে কখনো ও গালে চেপে ধরছে। এমন অদ্ভুত জিনিস তিয়াপা জীবনে দেখল এই প্রথম।

তিয়াপার সতর্ক দৃষ্টি লক্ষ্য করে ভাসিলি ভাসিলিয়েভিচ বললে, 'একটু দাড়ি কামিয়ে নিলে তুই আপত্তি জানাবি না তো? প্রথমটা ইলেকট্রিক ক্ষুরের সঙ্গে পরিচয় কর, তারপরে অন্যান্য সব যন্ত্রপাতির সঙ্গে।'

পরিষ্কার হয়ে নিয়ে ভাসিলি ভাসিলিয়েভিচ ইলেকট্রিক কর্ডটা ভাঁজ করে ক্ষুরটাকে চালান করে দিলে পকেটের মধ্যে। তারপর কালো মস্ত বাক্সটার কাছে এসে আঙুল দিয়ে একটা বোতাম টিপল। উর-র-র-র শব্দ করতে লাগল বাক্সটা। পিছিয়ে এল তিয়াপা, কিন্তু সেখান থেকে চোখ নড়াল না।

উত্তেজনায় তিয়াপার লম্বা মুখটা যেন ছোটোই হয়ে গেল, খাড়া হয়ে উঠল ঘাড়ের লোম। অভিজ্ঞতায় তিয়াপা জানত, যেসব জিনিস গোঁ গোঁ বোঁ বোঁ করে তা, বলা যায় না, স্থানচ্যুত হয়ে ছুটে আসতে পারে তার দিকে।

আরও পড়ুন

ইলেকট্রিক মোটরটা চুপ করে যেতেই নতুন একটা যন্ত্র চালাল ভাসিলি ভাসিলিয়েভিচ। পরিশ্রান্ত একটা সেকেলে ইঞ্জিনের মতো ফোঁস ফোঁস করতে লাগল জিনিসটা। ফুস-ফাস ফুস-ফাস করে পাম্পটা যেন নালিশ করে চলল তার একঘেয়ে একই ধরনের কাজের বিরুদ্ধে, যেন তার ভিতরকার তেলটাকে সারা জীবন ধরে এদিক ওদিক ছড়িয়ে ফেলতে হচ্ছে বলে সে ব্যাজার। ফুস্ বলে শেষ বারের মতো শব্দ করে চুপ করে গেল পাম্পটাও।

ঘরের মাঝখানে বসে চোখ মিটমিট করতে লাগল তিয়াপা।

'অভ্যেস কর, অভ্যেস করে নে রে খে'কুরে,' ভাসিলি ভাসিলিয়েভিচ বললে, 'তোর কাজ হবে যে যন্ত্রপাতি নিয়ে।'

ভাসিলি ভাসিলিয়েভিচ তারপর একটা হাল্কা রঙের এনামেল করা বাক্সের কাছে গিয়ে সেটাকে চালিয়ে দিলে। একটা তীর খনখনে আওয়াজ উঠতেই তিয়াপা তো একেবারে দরজার দিকে ছুট। সঙ্গে সঙ্গেই থেমে গেল আওয়াজটা, নীরবতার মধ্যে শোনা গেল একটা শান্ত স্বর:

'ভয় নেই, প্রধান কথা হল ভয় না পাওয়া! তুই তো সাহসী কুকুর - এতে ভয়ের কী আছে।'

দরজায় পিঠ দিয়ে বসল তিয়াপা, বুদ্ধিমানের মতো চাইল মানুষটার দিকে। মানুষটা কিন্তু হাসছে: না, কুকুরটা তাহলে ভয়-পাদুরে বাচ্চা নয়।

ফের বাক্সটার কাছে এল ডাক্তার। এবার কিন্তু না হকচকিয়ে বিদঘুটে আওয়াজটা তিয়াপা ধৈর্য করে শুনে গেল।

মানুষটা বললে, 'থাক, আজ এই যথেষ্ট।' কালো জুতোর পেছু পেছু ফিরতি পথ ধরে রওনা দিল তিয়াপা। তার কানে তখনো আওয়াজটা বোঁ বোঁ করছিল, তাই বারান্দার নানান গন্ধের দিকে সে এতটুকু মন দিলে না।

খোকুরের পড়শীদেরও যেতে হয়েছিল ওই কামরাটায়। কেউ বেশ সইল, কেউ জবাবে ডেকে উঠল ঘেউ ঘেউ করে, কেউ এমন কি পাম্পের শান্ত ফোঁসফোঁসেই ভড়কে গিয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে বার কয়েক মহড়ার পর আওয়াজগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে গেল

সবাই।

তারপর ভাবী সন্ধানীদের এক এক করে খাঁচায় অভ্যাস করানো হল। খাঁচার আয়তন কিন্তু প্রতিদিন কমতে থাকল। শেষ পর্যন্ত তা এমন ঘুপচি হয়ে উঠল যে দুপাশ থেকে তা এ'টে এল আর নাকের কালো ডগাটা গিয়ে ঠেকল ঠান্ডা লোহায়।

কুকুরগুলোর কাছে মনে হল এটা বড়ো একঘেয়ে খেলা, অনেকদিন ধরে তা চলছে। ডাক্তারের মতে কিন্তু এটা খুব জরুরী একটা পরীক্ষা, তার নাম তারা দিয়েছিল 'স্বাধীনতার সংক্ষেপণ'।

আরও পড়ুন

যে কোনো একটা কুকুরকে একবার স্যুটকেসের মধ্যে বসাবার চেষ্টা করে দ্যাখো না, এমন চিৎকার জুড়বে যে ঘর ছেড়ে পালাতে ইচ্ছে হবে। আর এতদিন যারা ছিল ভবঘুরে, তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে হলে তো আরো সাবধান হওয়া দরকার। খাঁচার মধ্যে থেকে ভবঘুরেরা শিখল: এটা ময়দান নয়, রাস্তা নয়, খিড়কি নয়, তারই ঘর। পরের খাঁচাটা হল আরো ছোটো, আর তা থেকে ওরা শিখল - রাস্তা নয়, খিড়কি নয়, কালকের ঘরও নয়, এ তার নতুন ঘর। তাই শান্ত হয়ে থাকো!

সবাই জানে অভ্যেস গড়ে ওঠে ক্রমে ক্রমে, সময় নিয়ে। যেমন ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট গুবরেকে একটা লোহার ট্রের মধ্যে বসিয়ে বেধে রাখল তারের টুকরো দিয়ে, গুবরে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে কামড়ে ছিড়ে ফেললে তারটা। ফের সন্তর্পণে তাকে বসিয়ে বাঁধা হল। ফের নীরবে তার কেটে সে অভিনন্দন জানাবার মতো করে লেজ নাড়তে লাগল।

কে হারে কে জেতে? কে বেশি নাছোড়বান্দা?

শেষ পর্যন্ত একদিন দেখা যায় গুবরে বাঁধাছাঁদা হয়ে বসেই থাকছে; দাঁত আর শানাচ্ছে না।

এবার আসল কাজে নামা যেতে পারে। প্রফেসর ডাক্তারদের ডাকলেন সে কথা ঘোষণা করবার জন্যে। সংক্ষিপ্ত এ সভাটা দেখে মনে হবে যেন যুদ্ধের আগে সেনানায়কদের সাক্ষাৎ। নিজের নিজের কর্তব্যটা সবারই জানা আছে, তবু প্রধান সেনাপতির নির্দেশ শোনার পর সে কর্তব্যটাকে আরো সুনির্দিষ্ট করে নেওয়া আর কি। দায়িত্বশীল একটা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা, ভুল যেন তাতে না হয়।

প্রফেসর বললেন, 'আমার বিশ্বাস, নির্মাণ বিশেষজ্ঞরা খুব শিগগিরই আমাদের বলে বসবেন "ব্যোমযান তৈরি!” কিন্তু আমাদের মঞ্জুরি না পাওয়া পর্যন্ত মানুষ তাতে উঠবে না।

প্রাণী সমেত নতুন রকেট ছাড়তে হবে আমাদের। এই সন্ধানীদের সামনে পাঁচটি বিপদ: প্রথম- রকেট ইঞ্জিন চলার সময় কম্পন, দুই রকেট চালু ও বন্ধ করার সময় ত্বরায়নের ভয়ঙ্কর চাপ, তিন - অবাধ উড্ডয়নের সময় ভারহীনতা, চার - অতি উচ্চে বায়ুমণ্ডলের অভাব এবং সর্বশেষে, মহাজগতে বিপজ্জনক বিকীরণ। মহাকাশযাত্রীর এই পাঁচটি অদৃশ্য শত্রু, দেহকোষের ওপর তাদের প্রতিক্রিয়ার শক্তিটা আমাদের নিখুঁত করে জানতে হবে। এবার কাল থেকে ওড়ার জন্যে ফেরি করতে হবে কুকুরগুলোকে। যতটা সম্ভব সব কিছুই সবই করা চাই, এইখানেই পরীক্ষা শুরু হোক ওদের।'

আরও পড়ুন