গাঁয়ে থাকত এক হাবা। তবে কোনো বিচারেই সাদামাটা গেঁয়ো বোকা তাকে বলা যাবে না। সে ছিল এক স্কুলমাস্টারের ছেলে, সেই ধরনের অকালপক্ব, যার কাছ থেকে সবকিছুই আশা করা যায়, আবার কোনো কিছু আশা করাটাই বাতুলতা। সবকিছু আশা করেছিল তার বাবা, বইয়ের মাঝে তাকে বাঁচতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু বালক দশে পৌঁছাতে না-পৌঁছাতে বাবার সব আশা বিলীন হয়ে গেল। এমন না যে তার তীক্ষ বুদ্ধি ভোঁতা হয়ে গেল; একেবারেই নাই হয়ে গেল তার বুদ্ধি। কিংবা আসলেই কি? মাঠে-ঘাটে পড়ে থাকে ও, হাসিমুখ, কথা বলে কদাচিৎ, যদি না কোনো কারণে সপ্রাণ হয়ে ওঠে জিব। তখন না-থামা পর্যন্ত কথা চলে অবিরাম, অনেকটা পুরোনো মিউজিক বক্সের মতো, সবাই যেটাকে মনে করে অচল কিন্তু হঠাৎ লাথি খেয়ে যে চলতে শুরু করে। কেউ জানে না, কোন হঠাৎ লাথিতে আবার চলতে শুরু করবে হাবা উইলি। বইপত্রে কোনো আগ্রহই আর তার নেই। একসময় আনন্দের ফোয়ারা ছিল, এমন কোনো বই মাঝেসাঝে তার চোখের সামনে মেলে ধরে বাবা। উদাস চোখে দেখে পুরোনো গল্প আর বিবরণ, নজর বোলায় এলোপাতাড়ি, তারপর হাতে তুলে নেয় দৈনিক পত্রিকা। সেটাও খুব শিগগিরই রেখে দেয় সাধারণত, মাঝে মাঝে মনে হয় যেন কোনো অনুচ্ছেদে আটকে গেছে তার চোখ, সচরাচর যেটার বিষয় অতি তুচ্ছ কোনো চরিত্র। এক ঘণ্টা ধরে সেটার দিকেই তাকিয়ে থাকে, অপলক।
গ্রামবাসী ছেলেটার যে নাম দিয়েছে, সেটাকে ঘেন্না করে তার বাবা। আদর করেই কিন্তু নামটা দেয় তারা, এমনকি সগর্বেই বহিরাগতদের কাছে হাবা উইলিকে তুলে ধরে। দেখতে সে অনিন্দ্যসুন্দর: তামাটে চুল, উজ্জ্বল ত্বকে স্বর্ণরেণুর মতো ছড়ানো তিল; নীল চোখে শিশুর চালাকি আর সরলতা, হাসলে চমৎকার-ছাঁদের ঠোঁটগুলো থেকে অন্য রকমের মাধুর্য ঝরে পড়ে। তাকে যখন প্রথম আমার কাছে আনা হলো তার বয়স তখন ষোলো কি সতেরো। সেই আগস্ট মাসটা আমি গ্রামেই কাটাচ্ছিলাম। আমার শুভ সম্ভাষণের জবাবে এক পক্ষকাল খালি সে হাসত। একদিন চার ভাগের তিন ভাগ কেটে ফেলা একটা গমখেতের পাশে শুয়ে শুয়ে অবশিষ্ট টুকরাটার ক্রমে নাই হয়ে যাওয়া দেখছি, চুপচাপ আমার পাশে এসে শুয়ে পড়ল হাবা উইলি। না তাকিয়েই হাত বাড়িয়ে আমার হাতঘড়ির চেইনে পরা গুবরে-মাদুলিটা স্পর্শ করল। তারপর কথা শুরু করল হঠাৎ।
মিসরে আমি তখন বালক, বাবার খেতে আমিই গম লাগাই। কচি-ফলা না-গজানো পর্যন্ত আমিই দেখভাল করি, ঘাস থেকে দিনে দিনে সেগুলো দানা হয়ে ওঠে, সবুজ থেকে সোনালি হয়ে যায় মাঠ। আর প্রতিবছর যখন ফসলে সোনা হয়ে যায় খেত, মনে হয় সারা মিসরের সবচেয়ে দামি ধনটা আছে আমার বাবার কাছে।
তখন মিসরের যে রাজা ছিলেন, তাঁর অনেক নাম, সবচেয়ে ছোট নামটা হচ্ছে রা। আমিও তাই-ই বলব। শানশওকতের সঙ্গে শহরে থাকতেন রাজা রা। বাবার খেত শহরের বাইরে, তাই রাজাকে কখনো দেখিনি; তবে তাঁর প্রাসাদ, জমকালো কাপড়চোপড়, তাঁর মুকুট আর রত্নরাজি, টাকাপয়সা ভরা সিন্দুকের নানা গল্পগাথা লোকে করত। রুপার পাতে খান, সোনার পেয়ালায় পান করেন, ঘুমান মুক্তাখচিত রক্তলাল রেশমের শামিয়ানার তলে। লোকে যখন রা-র গল্প করে, শুনতে ভালোই লাগে, মনে হয় রূপকথার রাজা। কিন্তু তাঁকে আমার বাবার মতো সত্যিকারের মানুষ মনে হয় না, মনে হয় না তাঁর সোনার আলখাল্লা আমাদের গমখেতের মতো বাস্তব।
একদিন সূর্য ভীষণ তেতে আছে আর বাবার খেতটাকেও মনে হচ্ছে দীর্ঘ, ফসলের ছায়ায় শুয়ে শুয়ে একটা শিষ থেকে গম ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছি। হঠাৎ মাথার ওপরে শুনি মানুষের হাসি। তাকিয়ে দেখি লম্বা একটা লোক, আমার দেখা দীর্ঘতম লোক, আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন। বুকের ওপর কালো কোঁকড়া মস্ত দাড়ি, চোখগুলো ইগলের মতো হিংস্র, রোদে ঝলমল করছে তাঁর শিরস্ত্রাণ আর পোশাক-আশাক। বুঝলাম, ইনিই রাজা। অদূরে ঘোড়ায় সওয়ার তাঁর প্রহরীরা, একজনের হাতে রাজার ঘোড়াটার লাগাম। ওখানে ওটাকে রেখে আমাকে দেখতে এসেছেন তিনি। কিছুক্ষণ আমরা শুধু একে অন্যকে দেখলাম, তিনি নিচের দিকে আর আমি ওপরপানে। তারপর আবার হেসে উঠলেন তিনি, ‘বালক, দেখে মনে হচ্ছে তুমি তুষ্ট।’
‘সত্যিই তাই, রাজা রা,’ বললাম।
‘এমনভাবে গম খাচ্ছো যেন মহা সুস্বাদু।’
‘আসলেই তাই, রাজা রা,’ বললাম।
‘তুমি কে বাছা?’
‘আমার বাবার ছেলে,’ বললাম।
‘আর তোমার বাবাটা কে?’
‘মিসরের সবচেয়ে ধনী লোক।’
‘কীভাবে বুঝলে, বাছা?’
‘এই খেতটার তিনি মালিক,’ বললাম।
উজ্জ্বল চোখজোড়া একবার খেতের ওপর বোলালেন রাজা, ‘আমি মিসরের মালিক।’
আমি বললাম, ‘সেটা বাড়াবাড়ি।’
‘বাড়াবাড়ি!’ জানতে চাইলেন রাজা। ‘কীভাবে! বাড়াবাড়ি হতেই পারে না। আর আমি তোমার বাবার চেয়ে বেশি ধনী।’
এই কথায় মাথা নাড়লাম।
‘বলছি আমি বেশি ধনী! তোমার বাবা কী পরে?’
‘এই আমার মতোই একটা জামা,’ নিজের সুতির জামাটা ছুঁয়ে বললাম।
‘আমি কী পরেছি, দেখেছ!’ গায়ের সোনার আলখাল্লাটা এমনভাবে ঝাঁকি দিলেন যে আমার গালে ঘষা লাগল। ‘তারপরও বলবে, তোমার বাবা আমার চেয়ে ধনী?’
‘এর চেয়ে ঢের ঢের বেশি সোনা আমার বাবার আছে,’ বললাম। ‘এই খেত তার।’
রাগে কালো হয়ে গেলেন রাজা। ‘খেতটা যদি জ্বালিয়ে দিই? তাহলে তার কী থাকবে?’
‘আবার গম হবে, আগামী বছর।’
‘গমের চেয়ে রাজা অনেক বড়!’ চিৎকার করে উঠলেন রাজা রা। ‘গমের চেয়ে রাজা বেশি সোনালি। গমের চেয়ে রাজা বেশি স্থায়ী!’
কথাটা সত্য মনে হলো না, তাই আবারও মাথা নাড়লাম। তখন রা-র চোখে যেন ঝড় বইতে লাগল। প্রহরীদের দিকে ফিরে কর্কশগলায় চিৎকার করে উঠলেন, ‘খেতটা জ্বালিয়ে দাও!’
খেতের চার কোণে আগুন ধরিয়ে দিল তারা। খেতটা যখন পুড়তে লাগল, রাজা বললেন, ‘বাছা, ওই দেখো তোমার বাবার সোনার দশা। এত উজ্জ্বল ওটা কখনো ছিল না, আর কখনো হবেও না।’
সোনার খেত পুড়ে কালি না-হওয়া পর্যন্ত রাজা গেলেন না। যেতে যেতে চিৎকার করতে লাগলেন, ‘এখন কোনটা বেশি সোনালি, গম না রাজা? তোমার বাবার গমের চেয়ে রা বেশি বাঁচবে।’
ঘোড়ায় চড়ে চলে গেলেন রাজা; দেখলাম, রোদে জ্বলজ্বল করছে তার আলখাল্লা। কুঁড়ে থেকে চুপিচুপি বেরিয়ে এলেন বাবা, ফিসফিসিয়ে বললেন, ‘আমরা শেষ। রাজা কেন আমাদের খেত পোড়াল?’
বলতে পারলাম না, আমি নিজেই তো জানি না। কুঁড়ের পেছনে ছোট্ট বাগানটায় গিয়ে কাঁদলাম। তারপর চোখের পানি মুছতে গিয়ে দেখি পাকা গমের আধখালি শিষটা তখনো আমার তালুতে আটকে আছে। আমাদের ধনের অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অবশেষ, হাজারো শিষের মধ্যে এই আধখালি শিষটাই শুধু এখন আছে। পাছে রাজা এইটুকুও কেড়ে নেয়, এই ভয়ে আঙুল দিয়ে একটা একটা গর্ত করে একটা একটা দানা পুঁতে দিলাম। পরের বছর আবার যখন গম পাকল, আমার বাগানের লাউ আর ফুলের মাঝে সগর্বে উঠে দাঁড়াল দশটা শিষ।
ওই গ্রীষ্মেই রাজা মারা গেলেন, জাঁকজমকের সঙ্গে তাঁকে কবর দেওয়া হবে। মিসরে সোনাদানা, দামি পোশাকপরিচ্ছদ আর সব ধরনের সোনার আসবাবসহ বদ্ধ কুঠুরিতে রাজাদের কবর দেওয়াই রীতি। স্বর্গে পৌঁছার আগেই যদি ক্ষুধা পায়, অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে এ জন্য তাঁকে সঙ্গে করে গমও নিতে হয় অবশ্যই। গম নেওয়ার জন্য শহর থেকে একটা লোক এল, আমাদের কুঁড়ের সামনে দিয়েই সে গেল। দিনটা ছিল বেজায় গরম, ফেরার পথে আমাদের এখানেই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে থামল। সে-ই বলল, শস্যের যে তাড়াটা সে বহন করছে, সেটাকে রাজার সঙ্গে কবর দেওয়া হবে। গরম আর অবসাদে অচিরেই সে ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুমিয়ে পড়ার পর আমার মাথায় তার কথাগুলো ধ্বনিত হতে লাগল। মনে হলো আবার যেন রাজা রাকে দেখতে পাচ্ছি, আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন, বলছেন, ‘গমের চেয়ে মিসরের রাজা বেশি সোনালি। গমের চেয়ে মিসরের রাজা বেশি স্থায়ী!’ দ্রুত বাগানে ছুটে গিয়ে সেই দশটা শিষ কেটে ফেললাম। রাজার জন্য সংগ্রহ করা গমের গাদার মধ্যে সোনালি ফলাগুলো গুঁজে দিলাম। ঘুম থেকে উঠে তাড়াটি নিয়ে লোকটা শহরের পথে চলে গেল। রাজা রা-কে যখন সাড়ম্বরে কবর দেওয়া হলো, তার সঙ্গে সমাধিস্থ হলো আমার গমশিষ।
আস্তে আস্তে আমার গুবরে-মাদুলিটার ওপর হাত বোলাতে লাগল সরল উইলি।
‘ব্যস, এইটুকুই, উইলি?’ জানতে চাইলাম।
‘মোটেও না,’ বলল উইলি। ‘শত শত বছর পর, সত্যি বলতে গত বছর, মিসরে রাজা রা-র সমাধি খুঁজে পেয়েছে কয়েকজন ইংরেজ। ধনরত্নের মধ্যে আমার গমও ছিল। দিনের আলোয় সোনার জিনিসপত্র সব ধূলিসাৎ হয়ে গেছে, আমার গম হয়নি। তারই কয়েকটা ইংল্যান্ডে নিয়ে এসেছে ওই ইংরেজরা। আর আমার বাবার বাড়ির সামনে দিয়েই গেছে তারা, যাওয়ার পথে থেমে বিশ্রামও নিয়েছে, অনেক আগে যেমন নিয়েছিল সেই মিসরি। সঙ্গে কী আছে, বাবাকে বলল তারা, দেখালও। আমি নিজেও নেড়েচেড়ে দেখলাম, আমার একান্ত নিজস্ব গম।’ আমার দিকে তাকিয়ে হাসল উইলি, তার সেই উজ্জ্বল ঝলমল হাসি। ‘একটা দানা আমার তালুতে আটকে ছিল। সেটা ওই খেতটার মাঝে লাগালাম।’
‘আর সেটা থেকে যদি চারা হয়ে থাকে,’ আমি বললাম, ‘নিশ্চয়ই ওটা এখনো আ-কাটা ওই ছোট ফালিটাতেই আছে।’
ফসল-কাটিয়ের দিকে তাকালাম, শেষ চক্রটা পুরো করতে শুরু করেছে তারা। উইলি উঠে দাঁড়িয়ে তাকে অনুসরণ করতে ইঙ্গিত করল। বাকি ফালিটা সাবধানে দেখতে লাগলাম আমরা। মুহূর্তেই একটা শিষের দিকে নির্দেশ করল ও, বাকিগুলোর চেয়ে বেশি লম্বা, বেশি উজ্জ্বল।
‘এটাই কি?’ জানতে চাইলাম।
চালাক বাচ্চার মতো আমার দিকে তাকিয়ে খালি হাসল ও।
‘নিঃসন্দেহে এটা তার সঙ্গীদের চেয়ে বেশি সোনালি,’ বললাম।
‘হ্যাঁ,’ বলল সরল উইলি। ‘মিসরের রাজা কতটা সোনালি?’
এলিনর ফার| জেন আমাদের যেমন স্বাধীনতা পদক, ভারতের যেমন ভারতরত্ন, ব্রিটিশদের তেমনি নাইট বা ডেম। সর্বোচ্চ এই পদকটি পাওয়ার জন্য অনেকেই হাপিত্যেশ করে। সেই পদকই একবার হেলায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এলিনর ফারজেন। এমন না যে পদক তিনি নেন না। শিশুসাহিত্যের সর্বোচ্চ বিলাতি পুরস্কার কার্নেগি মেডেল তিনি নিয়েছেন। ‘শিশুসাহিত্যের নোবেল’ বলে খ্যাত হান্স ক্রিস্টিয়ান আন্ডেরসেন পুরস্কারের প্রথম প্রাপকও তিনি। শুধু তা-ই না, তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর নামে আলাদা একটা পুরস্কারই চালু করে চিলড্রেন বুক সার্কেল। মোদ্দা কথা পুরস্কারে তাঁর অ্যালার্জি নেই। তাহলে নাইটহুডে কেন আপত্তি? ‘দুধঅলার সঙ্গে ফারাক তৈরি করে, এমন কোনো সম্মান নেওয়ার কোনো ইচ্ছাই আমার নেই।’ ফারজেন মনে করেন নামের আগে স্যার বা ডেম যোগ হলে সেই ফারাকটাই তৈরি হবে। লেখক হওয়াটাই যেন ছিল ফারজেনের নিয়তি। শরীর-স্বাস্থ্য, আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে পরিপার্শ্ব—সবই ছিল লেখক হওয়ার অনুকূল। বইপত্রভরা একটা বাড়িতে বড় হয়েছেন। ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি আর দুর্বল স্বাস্থ্যের জন্য স্কুলে পড়তে পারেননি, ছিলেন ঘরকুনো। বাবা বেঞ্জামিন ফারজেন ছিলেন তাঁর কালের জনপ্রিয় এক উপন্যাসিক, সারা জীবনে ষাটটারও বেশি উপন্যাস লিখেছেন। ফলে লেখালেখিটা ছিল এলিনরের কাছে খেলার মতো, অন্য পরিবারে ছেলেমেয়েরা যেমন খেলাধুলা করে, ফারজেনরা করেছেন লেখালেখি। এই করতে করতে কখন যে সত্যি সত্যিই লেখক হয়ে গেছেন, টেরও পাননি। তাঁর মতো তাঁর ছোট দুই ভাইও লেখক। জোসেফ রহস্যসাহিত্যিক, লিখেছেন ১০০-র মতো উপন্যাস; হারবার্ট নাট্যকার, তাঁরও আছে ১০টার মতো বই। সারা জীবনে ছোটদের জন্য অনেক লিখেছেন ফারজেন। তার মধ্যে মার্টিন পিপিন ইন দ্য অ্যাপল অরচার্ড, দ্য লিটল বুকরুম আধুনিক শিশুসাহিত্যের দুই অনন্য রত্ন। জাপানি অ্যানিমে নির্মাতা হায়াও মিয়াজাকি সারা দুনিয়ার শিশুসাহিত্য ছেকে যে ৫০টি বইয়ের তালিকা করেছেন, তার মধ্যে দ্য লিটল বুকরুমও আছে। এই লিটল বুকরুম-এরই একটি গল্প ‘রাজা আর শস্যদানা’।