ভূতের স্কুলে একদিন
রাফির মন ভালো নেই । হাফ ইয়ারলি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে আজ। এবারও অঙ্কে ফেল। অন্য সাবজেক্টগুলোর অবস্থাও ভালো না। ড্রয়িং আর ইংরেজি ছাড়া প্রায় সব সাবজেক্টেই নম্বর কম। এই রেজাল্ট নিয়ে যে কীভাবে বাসায় ফিরবে, বুঝতে পারছে না। আজ কপালে অনেক দুঃখ আছে।
রাফি ক্লাস ফাইভে পড়ে। ক্লাস থ্রি থেকে ফোরে ওঠার পর থেকে কী যে হলো কে জানে! কিছুতেই রেজাল্ট ভালো হচ্ছে না। সে যে চেষ্টা কম করছে, তা নয়। কিন্তু পড়ার এত চাপ যে পেরে উঠছে না। পড়তে বসলেই ঘুম আসে ওর। একটা চ্যাপটার শেষ হতে না হতেই আরেকটা চ্যাপটার শুরু হয়ে যায়। পড়া হজম হওয়ার আগেই শুরু হয় ক্লাস টেস্ট। আরও আছে প্রোজেক্টের যন্ত্রণা। এবার ভালোই খাটাখাটনি করেছিল সে। তারপরও রেজাল্টের এই অবস্থা।
তবে রাফির সমস্যা হলো; একটা পড়ায় বেশিক্ষণ মন দিতে পারে না। পড়তে বসলেই কোথায় যেন হারিয়ে যায় সে! কল্পনার রাজ্যে দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ায়। তাই সময় চলে যায়, কিন্তু পড়া আর এগোয় না। রাফির কল্পনার রাজ্যে নেই পড়ার চাপ, মা-বাবার বকাঝকা, টিচারের চোখরাঙানি। রাফির কল্পনার রাজ্যে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানো যায়, ক্রিকেট, ফুটবল, বাস্কেটবল যা খুশি তা-ই খেলা যায়, যা খুশি তা-ই খাওয়া যায়। সেই রাজ্যে একটা ফুটবল টিম আছে রাফির আর সেই টিমে খেলে মেসি, ম্যারাডোনা, রোনালদো, এমবাপ্পে আর মার্টিনেজ। রাফি সেই টিমের ক্যাপ্টেন। রাফি যেভাবে বলে, ওরা সেভাবেই খেলে।
রাফি রেজাল্ট হাতে বাইরে বেরিয়ে এল। স্কুল থেকে বের হওয়ার সময় গেটে দেখা হলো মুস্তাফিজের সঙ্গে। মুস্তাফিজ ক্লাসের ফার্স্ট বয়। রাফির সঙ্গে চোখাচোখি হতেই সে চশমা নাকের ডগায় রেখে মুচকি হেসে জানতে চাইল, ‘কিরে রাফি, কয় সাবজেক্টে ফেল করেছিস এবার?’ মুস্তাফিজের প্রশ্ন শুনে মাথায় আগুন ধরে গেল রাফির। কিন্তু কিছুই বলল না। চুপচাপ গেট থেকে বেরিয়ে এল। এরপর স্কুলের কোলাহল পেরিয়ে খানিকটা হেঁটে একটি পার্কের বেঞ্চে চুপচাপ বসে পড়ল।
এই পার্কটা দারুণ। তবে আজই প্রথমবারের মতো একা এসেছে সে। বেঞ্চটার ওপর দারুণ ছায়া দিচ্ছে একটা বিশাল মেহগনিগাছ। মা-বাবা ঢাকার বাইরে। তাই একটু দেরি করে বাসায় ফিরলে তেমন কোনো ক্ষতি নেই। একটা আইসক্রিম কিনল রাফি। এরপর বেঞ্চে বসে আরাম করে আইসক্রিম খেতে শুরু করল সে। আইসক্রিমে দুটি কামড় দেওয়ার পর যে-ই না তৃতীয় কামড় দিতে যাবে, অমনি দেখল, পুরো আইসক্রিম গায়েব। তার হাতে আছে শুধুই আইসক্রিমের কাঠি। কোথায় গেল আইসক্রিম! নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না সে। আইসক্রিম নিচে গলে পড়েনি তো! নাহ! মাটিতে তো আইসক্রিম গলে পড়েনি। আশপাশে, ওপরে-নিচে কোথাও নেই ওটা।
ওদিকে হঠাৎ কোথা থেকে এক দমকা হাওয়া এসে রাফির হাতে থাকা রিপোর্ট কার্ডটি উড়িয়ে নিয়ে গেল। রাফি ছুটল কাগজের পিছে পিছে। কিন্তু কিছুতেই ধরতে পারল না। হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে একেবারে চোখের নাগালের বাইরে চলে গেল রিপোর্ট কার্ড। রাফি এখন কী করবে! আজ সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেই মা-বাবা রাফির কাছে ওর রেজাল্ট দেখতে চাইবে। তখন কী হবে! ভয়ে শরীর হিম হয়ে এল। আশপাশে কেউ নেই। ভয়ে রাফি কাঁদতে শুরু করল। হঠাৎ কে যেন ওর গায়ে হাত রাখল। বলল, ‘এক্সকিউজ মি।’
চমকে উঠল রাফি।
কণ্ঠটি বলল, ‘কান্না কোরো না, প্লিজ। এই নাও তোমার রিপোর্ট কার্ড।’
কেউ একজন রাফির দিকে রিপোর্ট কার্ডটি এগিয়ে দিল। কিন্তু আশপাশে তাকিয়ে কাউকে খুঁজে পেল না রাফি। ভয়ে গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না। রাফি কোনোরকমে বলল, ‘কে ওখানে?’
কেউ উত্তর দিল না।
‘থামো, থামো। এবার একটু দম নাও। মরে যাবে তো। আমি শুনেছিলাম ভূতদের চেহারা নাকি খুব ভয়ংকর হয়। কিন্তু তোমাকে দেখে তো একটুও ভয় হচ্ছে না। তা তুমি এখানে কেন?’রাফি
হঠাৎ সবুজ আলোর ঝলকানি দিয়ে তার সামনে হাজির হলো একজন। দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বলল, ‘আমার নাম কিটুপি। তুমি নিশ্চয়ই আমার চেহারা দেখে বুঝে গেছ যে আমি একজন ভূত। আমি কিন্তু ছোট ভূত। গেছো ভূত। আমার স্কুলের নাম ‘কড়ামকড়াত গেছোভূত’স কিন্ডারগার্টেন স্কুল’। আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি। আমরা দুই ভাই, এক বোন। আমার বাবার নাম হারকিউরি। মায়ের নাম টপকটি। ভাইয়ের নাম চিপুটি, বোনের নাম টিপ্পা… ’
একদমে কথা বলে যাচ্ছে কিটুপি। থামাথামির নাম নেই। মনে হচ্ছে কথা বলতে বলতে ওর দম আটকে আসছে।
রাফি বলল, ‘থামো, থামো। এবার একটু দম নাও। মরে যাবে তো। আমি শুনেছিলাম ভূতদের চেহারা নাকি খুব ভয়ংকর হয়। কিন্তু তোমাকে দেখে তো একটুও ভয় হচ্ছে না। তা তুমি এখানে কেন?’
কিটুপি বলল, ‘স্কুল থেকে পালিয়ে এসেছি আমি। দেখনা, স্কুলড্রেস পরেই এসেছি। স্কুলে একদম ভালো লাগে না আমার। এত পড়ি; তারপরও রেজাল্টের বারোটা অবস্থা। তিন সাবজেক্টে ফেল করেছি। ভাবতে পারো? আজ বাসায় ফিরলে বাবা আমাকে মেরেই ফেলবে। আরেকটা যন্ত্রণা কী জানো? আমার দুই ভাইবোন পড়ালেখায় খুব ভালো। চিপুটি এইটে পড়ে আর টিপ্পা থ্রিতে। এরা সব সময় ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড হয়! আর আমি ডাব্বা মারি বারবার। বিরক্তিকর!
রাফি বলল, ‘তুমি শান্ত হও।’
‘আর পারা যাচ্ছে না। মোবাইলের নেশা ভূতের বাচ্চাদের সর্বনাশ করে ছাড়ল। দিন-রাত মোবাইল নিয়ে থাকলে পড়া করবে কখন এরা!’ স্যার রাগে গজগজ করতে করতে ফোনগুলোসহ ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেল।
কিটুপিকে দেখে রাফি একেবারে তাজ্জব। ভূত, ভূতের স্কুল, স্কুলড্রেস, ভূতের পরীক্ষা, রেজাল্ট…এসব কী বলছে সে! রাফি বলল, ‘আমার তো কিছুই বিশ্বাস হচ্ছে না।’
কিটুপি বলল, ‘বিশ্বাস হচ্ছে না? ঠিক আছে। আমি প্রমাণ দিচ্ছি। এই বলেই পকেট থেকে মোবাইল বের করল সে। এই দেখো আমার রেজাল্ট। আমাদের রেজাল্ট এখন অনলাইনে হয়। পেপারে রেজাল্ট ছাপাছাপি অনেক আগেই শেষ হয়েছে আমাদের স্কুলে।’
রাফি দেখল, কিটুপির হাতে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, যা হাতের স্পর্শে কাজ করে। পার্থক্য শুধু একটাই—এই ফোনটি কাগজের মণ্ড দিয়ে তৈরি আর এর রং গাছের পাতার মতো সবুজ। রাফি দেখল, কিটুপি সত্যিই তিন বিষয়ে ফেল করেছে।
কিটুপি বলল, ‘এবার দেখি তো তোমার রেজাল্টের কী অবস্থা।’
রাফি কিটুপির দিকে তার রিপোর্ট কার্ডটি এগিয়ে দিল। সেখানে চোখ রাখতেই খিলখিল করে হেসে উঠল সে। বলল, ‘তোমার অবস্থা তো দেখছি অনেকটা আমার মতোই। অঙ্কে তো আমরা দুজনই ফেল করেছি। তা কী আর করবে। দুঃখ পেয়ো না।’
রাফি হাসার চেষ্টা করল।
কিটুপি বলল, ‘আমি স্কুল থেকে পালিয়ে এখানে বসেছিলাম। এই গাছটা কিন্তু দারুণ। হাওয়া খাচ্ছিলাম। দেখলাম একটু পর তুমি এসে আমার পাশে বসলে। আইসক্রিম কিনলে। লোভ সামলাতে না পেরে তোমার আইসক্রিমটা পুরোটাই খেয়ে নিলাম। মানুষদের তৈরি আইসক্রিম কিন্তু খুব মজার। আমাদের আইসক্রিম কিন্তু এত মজার না। কী সব গাছ-লতাপাতা দিয়ে বানায়!’
রাফি এতক্ষণে বুঝল কিটুপিই তার আইসক্রিম সাবাড় করেছে। বলল, ‘তুমি আমার আইসক্রিম খেয়েছ, ঠিক আছে। সেটা আমি মানছি। কিন্তু ভূতের স্কুলের বিষয়টা কিছুতেই বিশ্বাস করছি না আমি। আমি জীবনে কখনো শুনিনি ভূতেরা লেখাপড়া করে, স্কুলে যায়। তুমি নিশ্চয়ই আমাকে বোকা বানাচ্ছ। আমি শুনেছি, তোমরা শুধু আনন্দ করো, ঢোল বাজাও, গান করো আর গাছে গাছে ঘুরে বেড়াও।’
‘সেই যুগ কি আর আছে এখন! এখনকার ভূতরা অনেক শিক্ষিত আর স্মার্ট। আমাকে দেখেও বুঝতে পারছ না ভূতেরা কেমন স্মার্ট হয়!’ এই বলে এমন এক হাসি দিল কিটুপি যে ওর প্রায় সব দাঁত বাইরে বেরিয়ে এল।
কিটুপি বলল, “রেজাল্টশিট দেখার পরও তুমি আমাকে বিশ্বাস করছ না? আচ্ছা, ঠিক আছে। তাহলে তুমি আমার সঙ্গে আমার স্কুলে চলো।’
রাফি জানতে চাইল, ‘বিকেলের মধ্যে ফিরতে পারব তো?’
কিটুপি বলল, ‘নিশ্চয়ই। আমি নিজে তোমাকে এখানে রেখে যাব। আর সন্ধ্যার মধ্যে আমাকেও বাড়ি ফিরতে হবে।’
কিটুপি রাফিকে তার হাত ধরতে বলল। রাফি ওর হাত ধরল আর অমনি হাওয়ায় মিলিয়ে গেল ওরা।
মুহূর্তেই ওরা পৌঁছে গেল ভূতের শহরে। সেখানে চারদিকে শুধু গাছ আর গাছ, সবুজ আর সবুজ। শহরে ঢুকতেই এক সাইনবোর্ডে চোখ আটকে গেল রাফির। সেখানে বড় বড় করে লেখা, ‘দ্য সিটি অব গেছো ভূতস’। রাফি দেখল কিটুপি লাফিয়ে লাফিয়ে চলছে। ওর সঙ্গে পাল্লা দিতে রীতিমতো দৌড়াতে হচ্ছে রাফির। দুই-তিন মিনিটের মধ্যেই ওরা পৌঁছে গেল ‘কড়ামকড়াত গেছোভূত’স কিন্ডারগার্টেনে’।
এইবার রাফির অদৃশ্য হওয়ার পালা। না হলে স্কুলে রাফিকে নিয়ে হইচই পড়ে যাবে। কিটুপি রাফির মাথায় হাত রাখল; আর অমনি রাফি অদৃশ্য হয়ে গেল।
‘এখন আবার আমাকে ফোন দিয়ো না কিন্তু। মোবাইল ফোন স্কুল থেকে ফেরত পেতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।’কিটুপি
গেছো ভূতদের স্কুল মানে কিন্তু বড় কোনো দালান নয়; বরং বিশাল এক বটগাছে পড়তে বসেছে শত শত ভূতের বাচ্চা। স্কুলের পোশাক পরে গাছের ডালে বসে আছে ওরা। সবার মুখ ভীষণ সিরিয়াস; যেন খুব জটিল কিছু পড়ছে তারা।
কিটুপি ক্লাসে ঢুকতেই চেঁচিয়ে উঠল স্যার। খড়খড়ে গলায় বলল, ‘এত দেরি কেন কিটুপি? কোথায় ছিলি এতক্ষণ? যা গিয়ে বসো।’
কিটুপি বসতে গেলে ওর পকেট থেকে হঠাৎ পড়ে গেল মোবাইল ফোনটি। সেই শব্দটুকু স্যারের কান এড়াল না। বলল, ‘কিটুপি, তুই আবার মোবাইল ফোন এনেছিস ক্লাসে!’
একলাফে এসে কিটুপির মোবাইল ফোন নিয়ে গেল স্যার। রাফি দেখল এরই মধ্যে টেবিলে মোট ৯টি মোবাইল ফোন জমা পড়েছে।
‘আর পারা যাচ্ছে না। মোবাইলের নেশা ভূতের বাচ্চাদের সর্বনাশ করে ছাড়ল। দিন-রাত মোবাইল নিয়ে থাকলে পড়া করবে কখন এরা!’ স্যার রাগে গজগজ করতে করতে ফোনগুলোসহ ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেল।
স্যারের ভয়ে কিটুপির মুখটা শুকিয়ে এতটুকু হয়ে গেছে। কিটুপির পাশে বসেছে চশমা পরা এক ভূতের বাচ্চা। চশমার নিচ দিয়ে তাকিয়ে মুচকি হেসে সে কিটুপিকে বলল, ‘কী রে কয় সাবজেক্টে ফেল করেছিস? কোথায় ছিলি এতক্ষণ?’ রাফির মনে পড়ে গেল মুস্তাফিজের কথা। বুঝল এখানেও আছে মুস্তাফিজরা।
কিটুপির ক্লাস থেকে বেরিয়ে আরেকটি ক্লাসে ঢুকল রাফি। সেখানকার অবস্থা আরও খারাপ। ভূতের বাচ্চাকাচ্চারা সেখানে মুখ গোমড়া করে অঙ্ক করছে। ওদিকে এক ভূত ম্যাডাম ব্ল্যাকবোর্ডে অঙ্ক করতে গিয়ে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। কিছুতেই অঙ্কের উত্তর মেলাতে পারছে না। অনবরত ঘামছে ভূত ম্যাডাম।
সেখান থেকে বেরোতেই ভূত স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বসার জায়গা চোখে পড়ল। সেখানে প্রধান শিক্ষিকা চাকচিলা কামান্ডা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। সামনে কয়েকজন স্যার-ম্যাডামকে বসে থাকতে দেখল। ওরা কিসব আলোচনা করছে। ভূত স্কুলশিক্ষা কারিকুলাম নাকি বদলে গেছে, নতুন সব বই এসেছে। এসব বইয়ের নাকি কিছুই বুঝছে না টিচাররা। সবাই ছুটে আসছে চাকচিলা কামান্ডার কাছে। কিন্তু কামান্ডার কাছে তেমন কোনো সমাধান নেই এসব সমস্যার। সব মিলিয়ে ভয়াবহ অবস্থা।
ভূত স্কুলের এত এত সমস্যা দেখে একেবারে হাঁপিয়ে উঠল রাফি। সে বুঝল, সবখানেই আছে পড়াশোনার যন্ত্রণা। বরং ভূতদের স্কুলের চেয়ে ওর স্কুল অনেক ভালো। সেখানে অন্তত টিচাররা এত চেঁচিয়ে কথা বলে না।
স্কুল ছুটির বেল বাজতেই কিটুপির সঙ্গে সেই পার্কে ফিরে এল রাফি। কিটুপি ফিরে যাবে। কিন্তু ওর সঙ্গে এরই মধ্যে দারুণ ভাব জমে গেছে রাফির। রাফি বলল, ‘আমি তোমাকে ফোন দিব নিয়মিত।’
কিটুপি হাসতে হাসতে রাফিকে বলল, ‘এখন আবার আমাকে ফোন দিয়ো না কিন্তু। মোবাইল ফোন স্কুল থেকে ফেরত পেতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।’
ফিরে গেল কিটুপি। ওদিকে রাফিও রিপোর্ট কার্ড হাতে বাড়ির পথে পা বাড়াল। এবার মন দিয়ে পড়তে হবে।