আমি জানি, লোকজন আমার কথা বিশ্বাস করবে না। করবেই-বা কেন? সত্যি কথার কী দাম আছে এই দেশে? আমি নাহয় অন্য দশজনের মতোই মাঝেমধ্যে বানিয়ে-টানিয়ে দু-একটা কথা বলি। তাই বলে যা বলি, সবই কি বানানো? জানি, এ ক্ষেত্রে অনেকেই আমাকে দুষ্টু রাখাল বালক আর নেকড়ে বাঘের কাহিনি শোনাবে। আরে, দুষ্টু রাখাল বালকের কাহিনিটাই যে মিথ্যা নয়, সে নিশ্চয়তাই-বা কে দেয়?
তোমাদের বললে তোমরাও নিশ্চয়ই অবিশ্বাস করবে না। কেননা ছোটরা বড়দের মতো সব সময় সবকিছু সঙ্গে সঙ্গেই অবিশ্বাস করে বসে না। তাদের দেখার বাইরেও যে একটা জগৎ নেই, তাদের জানার বাইরেও যে কিছু থাকতে পারে না—এ চিন্তা পুরোপুরি বদ্ধমূল হয় না তাদের মাথায়।
তখন গ্রামে থাকতাম। দুরন্ত ছিলাম। লেখাপড়ায় মন ছিল না। আসলে আমার স্কুলের পড়া পড়তে ভালো লাগত না। তোমরাই বলো, এই যে এখনকার দুনিয়ায় যত বিখ্যাত লোকজন—জাকারবার্গ, বিল গেটস বা স্টিভ জবস—তাঁরা কি ড্রপ আউট হননি? কিংবা আমাদের রবীন্দ্রনাথ বা নজরুলও কি প্রথাগত লেখাপড়ায় খুব এগিয়ে ছিলেন?
ম্যাট্রিকের রেজাল্ট দিল। তৃতীয় বারও ফেল। উফ্! আর হচ্ছে না। বাড়িতে আগেই বলেছি, এসব আমার দ্বারা হবে না। তারপরও খানিক উত্তম-মধ্যম দিয়ে বাবা বের করে দিলেন।
না না, হবে না। এই বাড়িতে আর থাকা হবে না। আমি যে নিয়মিত লেখালেখি করি, আর আমার লেখা গল্প যে শুধু মাসিক স্বদেশ আলোতে এসেছে, তা-ই না, বাড়িতেও স্বদেশ আলো থেকে পার্সেল করে সম্মানী আর সৌজন্য সংখ্যা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা কি কেউ দেখে না?
যাক, এ বাড়িতে আর থাকব না। এখানে কেউ প্রতিভার দাম দেয় না। কী করা যায়? বাড়ি পালাব? চিরতরে? নাকি অল্প কিছুদিনের জন্য? ঘর থেকে বেরিয়ে দুদিন না ফিরলে বোধ হয় সবাই বুঝবে, আসলেই আমার সঙ্গে এমনটা করা উচিত হয়নি। যেদিকে আমার স্বপ্ন, সেদিকেই আমায় এগোতে দেওয়া উচিত।
কিন্তু যাবটা কোথায়? আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে তো কোনোভাবেই না। তাহলে তো আর বাড়ি পালানো হলো না। আর দুই দিন পরে যখন সেই আত্মীয়স্বজন বাড়িতে এসে বাবা-মায়ের কাছে টুপ করে বসিয়ে রেখে যাবে, তখন?
নাহ্। অন্য প্ল্যান ধরে এগোতে হবে। হাঁটতে হাঁটতে ওই শেওলাতলার মাঠে গিয়ে একটা জারুলগাছের পাশে বসলাম। বিকেলবেলা। হাওয়া বইছে ঝিরঝির করে। এই বাতাসেই তো প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন থাকে, যা মস্তিষ্কে গেলে চিন্তাভাবনা খুলে যায়।
ভাবছি কী করে, কেমন করে, কোথায় যাব, কীভাবে কী খাব, পেট চলার ব্যাপারটা নিয়েও তো চিন্তা করতে হবে। চিন্তা করতে করতে যখন একটার পর একটা জট ছিঁড়ে প্রায় সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছি, অমনি! ধপ!
ধপ! ধপ! ধপ!
মোট চারবার এই শব্দ হলো। আমি মাথা তুলে তাকিয়ে দেখি, আমার সামনে ঘোড়ায় বসা এক সৈন্য বলছে, ‘এই ছেলে করছ কী তুমি এখানে? বিনা ঢাল-তলোয়ারে যুদ্ধক্ষেত্রে এসেছ!’
এই বলে ছোঁ মেরে আমায় ঘোড়ায় তুলে দিল ছুট! আর ঠিক সেই সময়ই দেখলাম, তিন-চারটা বর্শা এসে আমি যে জায়গায় বসেছিলাম, ঠিক সেই জায়গাতেই বিদ্ধ হলো। বেশ অবাক হলাম। হ্যাঁ, আমিও—আমি নিয়মিত লেখালেখি করি, গল্প বানাই, এর চাইতেও কত উদ্ভট ব্যাপার থাকে সেখানে—সেই আমিও! কোথায় সে শেওলাতলার মাঠ, কোথায় জারুলগাছ, আর কোথায় সে বিকেলের ঝিরিঝিরি হাওয়া! কোথায় গেল সব?
এ এক কাঠফাটা দুপুর। যুদ্ধ চলছে দুটি রাজ্যের মাঝে। শত শত রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে এখানে-ওখানে। ওহ্! সে কী অসহ্য দৃশ্য! ভাবা যায়!
সৈন্যটা আমায় উঠিয়ে বেশ কিছুটা দূরে নিয়ে গেল। তারপরে নামিয়ে দিল একটা রাস্তার ধারে। বলল, ‘রণক্ষেত্রে কী করছিলি? গাধা নাকি তুই? ফের যেন এদিকে না দেখি। তাহলে ধড় থেকে মাথা একদম আলাদা করে দেব। পাগল কোথাকার!’
এই বলে গটগট করে সে চলে গেল। আমি রাস্তাটা ধরে এগোতে লাগলাম। চারদিকে সারি সারি দালান, তবে তার কোনোটাই দোতলার বেশি বড় না, স্থাপত্যও কেমন যেন অদ্ভুত ধরনের! তবে বড় বড় দালান দু-একটা যে একেবারেই দেখিনি, তা নয়। সেগুলো সম্ভবত উপাসনালয়। রাস্তায় পিচঢালা না ঠিক। ইট-সুরকি বসানো। রাস্তার ধারে বড় বড় দেবদারু।
কিছু পথ হাঁটার পরে দেখলাম, একটা বাজার। লোকজন বেশ ভালোই আছে সেখানে। তাদের পরনে অদ্ভুতদর্শন পোশাক। লোকগুলোর সবারই কথা বলার একটাই বিষয়। কুরুন্দাজ আর বিশ্বলঙ্কা রাজ্যের মাঝে যুদ্ধ। এই রাজ্যের নাম হলো কুরুন্দাজ। আর বিশ্বলঙ্কা রাজ্য নাকি এই কুরুন্দাজ রাজ্যকে আক্রমণ করেছে। যদিও তারা টিকতে না পেরে চলে গেছে। বুঝতে পারলাম, আমি ওই কুরুন্দাজ-বিশ্বলঙ্কা যুদ্ধের মাঝখানেই পড়ে গিয়েছিলাম। এবং কোনো এক কুরুন্দাজি সৈনিকের সহায়তায় মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসি।
বেশ বিস্ময়ের সঙ্গেই বুঝতে পারলাম, আমি বহু শতাব্দী পিছিয়ে গিয়েছি। আমার জানতে ইচ্ছা হলো রাজপ্রাসাদটা আসলে কেমন দেখতে। শুনেছি রাজারা উঁচু কুরসিতে বসে থাকেন, আর সামনে সারি সারি সভাসদেরা, সচরাচর রাজপুত্রদের মাঝে দেখা যায় অস্ত্র চালনায় পারঙ্গমতা, আর রাজকন্যারা নাকি দেখতে হন অসম্ভব রূপসী। রাজাদের পোশাক নাকি হীরা-জহরতে থই থই করে। অবশ্য এর বেশির ভাগ তথ্যই ইতিহাস নয়, বরং রূপকথার বই পড়ে জানা।
খানিকটা কৌতূহল থেকেই বাজারে একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আচ্ছা, এই কুরুন্দাজ রাজ্যের রাজপ্রাসাদটা কোথায়?’
যাকে জিজ্ঞেস করলাম, সে বলল, ‘আরে, কুরুন্দাজ রাজ্যে থাকেন, অথচ রাজপ্রাসাদটাই চেনেন না?’
পাশে দাঁড়ানো একজন বলল, ‘এই লোক মনে হয় এই রাজ্যের না।’
আরেকজন হাত নেড়ে নেড়ে বলল, ‘বাইরে থেকে এসেছে। পোশাক দেখেই তো মনে হয় বহিরাগত।’
প্রথমজন এবার বলল, ‘হুঁ, মনে হচ্ছে গুপ্তচর। ব্যাটা বিশ্বলঙ্কা রাজ্যের গুপ্তচর। এটাকে ধরিয়ে দিলে বেশ মোটা অঙ্কের নজরানা পাওয়া যাবে।’
তারপর ওই চারজন লোক আমায় পাঁজাকোলা করে নিয়ে গেল রাজার কাছে। রাজপ্রাসাদ কাছেই ছিল। অবশ্য দূরে হলেও সমস্যা ছিল না। কারণ, রাজার দেওয়া নজরানা তো কম নয় একেবারে!
রাজা বললেন, ‘গুপ্তচর নাকি?’
আমি বললাম, ‘না, রাজামশাই!’
‘কত বড় সাহস, মিথ্যা কথা বলে! আর এই রাজ্যে কেউ রাজাকে রাজামশাই বলে না। বলে “রাজাসাহেব”। গুপ্তচরবৃত্তি করতে এসেছ আর এটাও জেনে আসো নাই? যত্ত সব গেঁয়ো বর্বর রাজ্যের অশিক্ষিত গুপ্তচর!’
‘রাজাম...সাহেব, আমি আসলেই বাইরের, তবে গুপ্তচর না। আমি সময় পরিভ্রমণ করে ফেলেছি।’
‘কী? সোমনাথপুর? তুমি সোমনাথপুরের গুপ্তচর? নাহ্। এটাকে তো আর বাঁচিয়ে রাখা যাবে না।’, মন্ত্রীকে বললেন, ‘এক্ষুনি অস্ত্র, সৈন্য—সব প্রস্তুত করো। আমি এই মুহূর্তে সোমনাথপুরের প্রতি যুদ্ধ ঘোষণা করলাম! আর এই ব্যাটাকে শূলে চড়ানোর ব্যবস্থা করো। আর এই চারটা লোককেও ছেড়ো না। ওরাও যে সর্ষের মাঝে ভূত নয়, সে নিশ্চয়তা কে দেবে।’
আমায় রাখা হয়েছে একটা বন্দিশালায়। চারদিকে মাকড়সার জাল। শেওলা জমা দেয়ালে উড়ন্ত তেলাপোকা। টিকটিকি সারা দিনই টিকটিক করে যাচ্ছে। একে তো অন্ধকার, তার ওপরে আবার ভ্যাপসা গরম। একদম যাচ্ছেতাই অবস্থা! একটা ইঁদুরকে দেখলাম দৌড়ে গর্তে ঢুকতে। তবে ইঁদুর সাধারণত একা থাকে না। তাই সম্ভবত এখানে আরও ইঁদুর আছে। কিছুক্ষণ পরেই আমাকে শূলে চড়ানো হবে, তাই এক্ষুনি একটা বুদ্ধি বের করতে হবে। কী করব ভাবছি।
ঠিক এমন সময়ই দেখলাম, আমার পাশে একটা ইঁদুর। বেশ মোটাসোটা গড়ন। সামনের দাঁত দুইটা বের করা। মনে হচ্ছে হাসছে। আমি ধাওয়া দিলাম, ‘ধুর ব্যাটা যাহ্!’
ইঁদুরটা তো সরলই না, বরং আমার দিকে খিলখিল করে হেসে বলল, ‘কী, ভয় করছে?’
আমি তো অবাক! এই নেংটি ইঁদুর আবার কথা বলা শিখল কীভাবে। নিশ্চয়ই ভুল শুনছি। ভুল, ভুল, ভুল! মৃত্যুভয়ে ভুল শুনছি সব। কিন্তু ইঁদুরটা আমাকে আবার অবাক করে দিয়ে বলল, ‘ভয় পাবেন না। ভয়ের কিছু নেই। দুনিয়াতে কত কিছুই হয়! আপনি যে সময় থেকে এসেছেন, সেখানে তো চাঁদেও নাকি মানুষ পা রেখেছে। আর একটা ইঁদুরের কথা বলা দেখে এত ভড়কে যাচ্ছেন?’
‘না, ইয়ে মানে...’
‘শোনেন, ভয় পাবেন না। আপাতত আপনার কাজ হলো ভয় না পেয়ে কাজ শুরু করা। আমি এখন এই গরাদটা কেটে ফেলব। আর আপনি...’
‘বলছ কী! পাগল হয়ে গেছ?’
‘নাহ্। পাগল হইনি। আমার এই দাঁত দিয়ে পৃথিবীর সব ধাতু কাটা সম্ভব...আপনাদের সময়কার বিজ্ঞানীরা আমার খোঁজ পেলে...’, খানিকক্ষণ থেমে ইঁদুরটা বলল, ‘আচ্ছা। এবার কাজের কথায় আসি। জেলখানা থেকে বেরিয়েই দেখবেন সামনে একটা বড়সড় কামান এবং আপনি সেটার মাঝে ঢুকে পড়বেন। গোলা ইতোমধ্যে সেটার মাঝেই আছে।’
‘হায় হায়! এ কী জীবন বিধ্বংসী কথা বলছ তুমি।’
‘উহ্, থামেন তো। তারপরে আমি পেছন থেকে আগুন ধরিয়ে দেব...’
‘না। না। এটা তুমি করতে পারো না।’
‘এই জন্যই মানুষের উপকার করতে হয় না। শূলে চড়ে মরার চাইতে একবার চেষ্টা তো করে দেখেন। পড়াশোনা করেন নাই? আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি? চলমান আর স্থির রেফারেন্স ফ্রেমে কী হয়?’
অগত্যা আর কোনো উপায় না পেয়ে আমি ইঁদুরটার কথা শুনে বেরিয়ে এসে কামানের মাঝে ঢুকে পড়লাম। তারপর ইঁদুরটা চকমকি পাথর ঘষে আগুন ধরিয়ে দিল কামানে। আমি কামানের গোলায় বসে গরগর গরগর শব্দ করে রকেটের মতো ছুটতে শুরু করলাম। অবশ্য যাত্রা শুরুর আগে সে আমায় বলে দিল, ‘আর হ্যাঁ, আমার নাম টিকু। ইঁদুরসরদার টিকু। ভুলবেন না, কেমন? উপকারী বন্ধুদের নাম ভুলতে হয় না। ভবিষ্যতে এ রাজ্যে এলে যেকোনো ইঁদুরকে জিজ্ঞেস করবেন। আমার ঠিকানা বলে দেবে।’
আমি ছুটতে ছুটতে প্রথমে তালগাছটার সমান উঁচুতে গেলাম। তারপরে গেলাম আরও ওপরে...একদম মেঘের রাজ্যে। আর তোমরা অনেক সময়ই বলো, তুলার মতো মেঘ। বাস্তবিক পক্ষে এই কথা মোটেও সত্যি না। মেঘ আসলে ঘন কুয়াশা ছাড়া আর কিছুই না। তারপরে আমি আরও ওপরে উঠতে লাগলাম। একসময় মহাশূন্যে পৌঁছে গেলাম। আহ্! সে কী অন্ধকার। কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে এই গাঢ় অন্ধকার একদম ছুরি দিয়ে কাটা যাবে! আর আমি তাকে প্রতিনিয়তই ভেদ করে যাচ্ছি। কতক্ষণ এভাবে চলেছি, জানি না।
এতক্ষণ কামানের গোলার ওপরে বসেই ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ পিছলে পড়ে গেলাম। পুরোপুরি পপাত ধরণিতল হইনি অবশ্য, আমি সেটা ধরে কোনোমতে ঝুলে রইলাম। কিন্তু একটা গোলগাল জিনিস ধরে কতক্ষণ এভাবে ঝুলে থাকা যায় বলো? একটা হাতল পর্যন্ত নেই! আর গরমে আমার হাত ঘেমে ক্রমেই পিচ্ছিল হয়ে যেতে লাগল।
এবং...
এবং একসময় সেটা আমার হাত দিয়ে ফসকেই গেল। আর আমি নিচে পড়ে যেতে লাগলাম। গাঢ় অন্ধকারকে আমি যেন হাত-পা দিয়ে ফালি ফালি করে কেটে নিচে নামছি। একসময় মেঘের দেখা পেলাম। তারপরে যখন আরও নিচে নেমে এলাম, তখন ওপর থেকেই দেখলাম, শেওলাতলার মাঠটা। দারুণ লাগছিল। নামতে নামতে একসময় দেখতে পেলাম ওই জারুলগাছটাও। ঠিক মাটিতে পড়ার আগ মুহূর্তেই সেই জারুলগাছের একটা ডাল ধরে ফেললাম। তাই তেমন একটা ব্যথা পাইনি আরকি।
কিন্তু আমি এককথার মানুষ। বাড়িতে যাব না। যে বাড়িতে প্রতিভার দাম দেওয়া হয় না, সেখানে যাবই-বা কেন? সারারাত ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ঠিক করলাম শেওলাতলার মাঠে বসে। ভোররাতে ছাতা আর হারিকেন হাতে বাবা আমায় খুঁজে পান। বাড়িতে যাওয়ার পরে সবাই আমায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য পড়ার জন্য ম্যাট্রিক পাসের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কমবেশি জ্ঞানদান করল।
সেদিন শেওলাতলার মাঠে কীভাবে কী ঘটল, আমি সব খুলে বলি। কিন্তু বড়দের কেউই বিশ্বাস করতে চায় না। তাদের মতে আমি কেঁদেকেটে অভিমান করে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু ওই রাতে আমি একটুও ঘুমাইনি।
ছোটরা যদিও কেউ কেউ বেশ আগ্রহ নিয়ে শুনত। অবশ্য তাদের মাঝে যারা একটু বড়, তারাও এটাকে স্বপ্ন বলে উড়িয়ে দিতে চাইত। পাশের বাড়ির আকমল চাচা তো বহুদিন খোয়াবনামায় এই স্বপ্নের অর্থ খুঁজেছেন।