১১টার মধ্যে ওরা ছোট্ট টিলাটা পার হয়ে প্রথম পাহাড়ের চূড়ায় উঠে গেল। তিনজনের হাতেই তিনটি লাঠি, বুবলী আর অপুর কাঁধে ঝোলা ব্যাগ, বুবলীর মাথায় একটি লাল রঙের বারান্দাওয়ালা টুপি। নব মাথায় বেঁধেছে রুমাল। ওদের দেখতে এখন মনে হচ্ছে, একদল অভিযাত্রী চলেছে কোনো জটিল অ্যাডভেঞ্চারে। নবর কাঁধেই কোনো ব্যাগ নেই। তবে পকেটে ছোট্ট একটা ছুরি আছে। আর গজখানেক নাইলনের দড়ি কোমরে বেঁধে নিয়েছে। দড়িটা কেন নিয়েছে সে নিজেও জানে না। বাসায় ছিল, কী মনে করে নিয়ে রওনা হয়েছে।
‘আহ! কী সুন্দর দৃশ্য। দাঁড়া একটা ছবি তুলি।’ বুবলী দাঁড়িয়ে গেল। চারদিকে পাহাড়ের দৃশ্য দেখে সে রীতিমতো মুগ্ধ। ধবধবে সাদা মেঘের চলমান কালো ছায়া পাহাড়ের ওপর পড়ে একটা অপার্থিব পরিবেশের সৃষ্টি করে চলেছে ক্রমাগত। মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই যেন।
‘তুই ক্যামেরা এনেছিস?’ ওরা দুজনেই অবাক হয়।
‘না, বড় আপুর আই ফোনটা এনেছি। আইফোনে ছবি ওঠে ভালো।’
‘তোর আপু জানে?’ উত্তর দিল না বুবলী। সে প্রকৃতির ছবি তোলায় ব্যস্ত।
‘এখানে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিই।’ বলে বুবলী একটা হেলে পড়া গাছের গুঁড়িতে শুয়ে পড়ল, আইফোনে তোলা ছবিগুলো দেখতে লাগল এক এক করে। অপু তার ব্যাগ থেকে একটা লম্বা টাইপ পিস পিস করে কাটা কেক বের করল। সত্যি বলতে কি কেকটা খেতে বেশ লাগল। এখন মনে হচ্ছে ওদের কেনাকাটা করাটা খুব বুদ্ধিমানের কাজ হয়েছে। বুবলীর কেকটাও খেতে হবে, ভাবে নব।
‘তোর পেয়ারার বাগানটা কোন দিকে রে?’ বুবলী জানতে চায়।
‘পাহাড় থেকে নামার সময় ডান দিকে নজর রাখতে হবে আমাদের।’
‘পাহাড় থেকে নামব মানে?’
‘বাহ্! সেকেন্ড পাহাড়টায় উঠতে হবে না, ওখান থেকে প্রাকৃতিক দৃশ্য আরও মারাত্মক। সেটা থেকে নামার সময় বাঁ দিকে একটা ছোট্ট ঝিরি পড়বে, তার ঠিক ডানেই...’
‘তার মানে দ্বিতীয় পাহাড় থেকে নামার সময় পেয়ারার বাগান আর ঝিরি?’
‘হ্যাঁ তা–ই।’ অপু তার নোট বইয়ে কী সব নোট করল। অপু অবশ্য সঙ্গে করে একটা নোটবুক আর কলম এনেছে। তখন থেকে কী সব নোট করছে। ‘এত কী নোট করছিস?’ নব জানতে চেয়েছিল। ‘বুঝবি না’ গম্ভীর হয়ে জবাব দিল অপু।
‘বেশ, সেলিম তুই এখানে থাক। আমি ছোড়াটাকে নিয়ে যাই।’ বিনয় স্যার হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলেন। এসব কী হচ্ছে? অপু আর বুবলীও বুঝতে পারছে না, নব ঠিক কী করতে যাচ্ছে? নব আগে আগে হাঁটছে পেছনে পিস্তল হাতে লোকটা।
অনেকক্ষণ হাঁটল ওরা, নবর সেই ঝিরি আর আসে না। হঠাৎ এক জায়গায় ঝপ করে একটা শব্দ হলো। বুবলী আর অপু হতভম্ব হয়ে আবিষ্কার করল, ওদের সামনে নব নেই, একটু আগেও ওদের সামনে নব হাঁটছিল, এখন নেই! মানে কী?
‘নব? নব??’ ওরা চিত্কার করতে লাগল।
‘আ-আমি এখানে।’ আওয়াজটা কোথা থেকে এল?
‘উ-উপরে তাকা।’ ওরা দুজনই ওপরে তাকিয়ে দেখে, ওপর থেকে নব ঝুলছে। এসবের মানে কী! বুবলি চেঁচিয়ে উঠল। ‘ট্র্যাপ!...ট্র্যাপ!... বুবি ট্র্যাপ!’ কেউ কোনো প্রাণী ধরার জন্য ফাঁদ পেতেছিল, নব ধরা খেয়েছে।’ বলে হি হি করে হাসতে লাগল। দাঁড়া ঝুলে থাক, তোর একটা ছবি তুলি...আচ্ছা এটা হাসার সময় না ছবি তোলার সময়? অবশ্য দৃশ্যটা সত্যিই বেশ হাসির উল্টো হয়ে নব ঝুলছে। তার এক পায়ে দড়িটা আটকে আছে। সবুজ রঙের শক্ত মোটা নাইলনের দড়ি দিয়ে একটা অদ্ভুত ট্র্যাপ মনে হচ্ছে। দড়ির উত্স খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হলো। তারপর গিট্টু খুলে অনেক কসরত করে নামানো হলো নবকে। বেশ একটা হাসির কাণ্ডই হলো, অবশ্য নবর পা ছিলে গেছে অনেকখানি।
‘তবে এটা স্বীকার করতেই হবে, বেশ একটা অ্যাডভেঞ্চার হলো কিন্তু, তাই না?’ বুবলী বলল।
‘ধুত তোর অ্যাডভেঞ্চার। আমি তো মরতে বসেছিলাম আরেকটু হলে। আর তোরা হাসছিস?’
‘আমি হাসিনি।‘ বলে ফ্যাকফ্যাক করে হাসতে লাগল অপু। নবর মেজাজটা গরম হয়ে গেল। এদের আনাই ভুল হয়েছে। রাজীবটা থাকলে ভালো হতো। রাজীবটা নিশ্চয়ই তার কোচিং মিস হবে বলে বাং মেরেছে। ফাজিল একটা।
তবে ওরা একটা কাজ করল, ফাঁদটা আগের মতো করে পেতে রাখল। দেখি কি প্রাণী আটকা পড়ে। পরে না হয় ছেড়ে দেওয়া হবে প্রাণীটাকে। ফের ওরা যাত্রা শুরু করল ঝিরির সন্ধানে। ঝিরির পাশেই নাকি পেয়ারাবাগান।
‘হায় আল্লাহ!’ হঠাৎ আর্তনাদ করে উঠল অপু।
‘কী হয়েছে?’ বুবলী আর নব ভয় পেয়ে যায়!
‘দেখ।’ অপুর হাতে একটা হলুদ কাপড়।
‘এটা কী?’
‘বুঝতে পারছিস না? এটা বিনয় স্যারের রুমাল। উনি ক্লাসে ডাস্টার ব্যবহার করতেন না। এই রুমালটা দিয়ে ব্ল্যাকবোর্ড মুছতেন। এই দেখ, এখনো সাদা চকের গুঁড়া লেগে আছে।’
‘আরে তাই তো। এটা এখানে কেন?’ তিনজন তিনজনের দিকে তাকায়!
বিনয় চন্দ্র দাস। ওদের অঙ্কের টিচার। খুব ভালো স্যার। হঠাৎ কিছুদিন ধরে তিনি স্কুলে আসছেন না। কেন আসছেন না কেউ জানে না। সবাই ভাবছে, স্যার বাড়ি গেছেন। স্যারের বাড়ি চট্টগ্রামে, সন্দ্বীপে। এখানে স্যার স্কুলের পাশেই একটা মেসে থাকেন। স্যার বিয়েথা করেননি। একা মানুষ। স্যার হঠাৎ করে আর স্কুলে আসছেন না। ওরা ক্লাস থেকে হেডস্যারের কাছে গেলে হেডস্যার বলেছেন, উনি কাউকে কিছু না বলে চলে গেছেন। কেন গেছেন কোথায় গেছেন, কেউ বলতে পারছে না। অবশ্য ওনার অনেক ছুটি পাওনা হয়েছে। ছুটি নিতেই পারেন; কিন্তু বলে তো যাবেন। বিষয়টা পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ বলেছে একজন বয়স্ক মানুষ আর কোথায় যাবে? কদিন পরেই ফিরে আসবে। আর ৪৮ ঘণ্টা না গেলে কাউকে নিখোঁজ বলে ঘোষণা দেওয়ার নিয়ম নেই।
‘তার মানে বুঝতে পারছিস? সারকে...’ অপু থেমে যায়।
‘আমার মনে হচ্ছে, স্যারকে সত্যিই কিডন্যাপ করা হয়েছে। স্যারকে এদিক দিয়ে ধরে নেওয়ার সময় স্যারের পকেট থেকে রুমালটা পড়ে গেছে।’ নব বলল।
‘আমারও তা–ই মনে হচ্ছে।’ ভীত চোখে এদিক–ওদিক তাকায় বুবলী। ‘এখন আমরা কী করব?’
‘আমার আরেকটা জিনিস মনে হচ্ছে।’ নব বলে।
‘কী?’
‘স্যারের পকেট থেকে রুমালটা পড়ে যায়নি। স্যার ইচ্ছে করে রুমালটা ফেলেছেন। সামনে হয়তো আরও কিছু ফেলে গেছেন।’
‘বাহ দারুণ বলেছিস। এ রকম একটা গল্প পড়েছিলাম ছোটবেলায়। ভাই–বোনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল একটা ডাইনি। ভাইটা ডাইনিকে বুঝতে না দিয়ে রুটি ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলে ফেলে যাচ্ছিল জঙ্গলের পথে পথে...’
‘হ্যাঁ, ঠিক বলেছিস, আমিও পড়েছি গল্পটা। দক্ষিণারঞ্জনের রূপকথায় গল্পটা আছে। চল, আমরা বরং আরেকটু এগোই।’
ওরা এগোতে থাকল। ওদের মাথায় এখন আর পেয়ারাবাগানটা নেই, ঝিরিও নেই। সে জায়গায় ঢুকে গেছেন বিনয় স্যার। নিখোঁজ বিনয় স্যার। হঠাৎ বুবলী বসে পড়ল। প্রায় চিত্কার করে উঠল, ‘পেয়েছি!’
‘কী পেয়েছিস?’
‘স্যারের কলম।’ ওরা আতঙ্কিত চোখে তাকিয়ে দেখে বুবলীর হাতে একটা কলম, নীল রঙের ফাউন্টেন পেন। যেটা স্যারের হাওয়াই শার্টের বাঁ পকেটে থাকত সব সময়। কিন্তু কলমের ক্যাপটা নেই।
‘ক্যাপটা নেই কেন?’
‘স্যার নিশ্চয়ই সামনে কোথাও ক্যাপটা ফেলেছেন। তাকে তো চিহ্ন রেখে রেখে যেতে হবে এক এক করে।’
‘তা–ই হবে।’
ওরা আরও সামনে এগোল। না, কলমের ক্যাপ নেই। ঠিক তখনই ওদের নজরে এল, আকাশের আলো কমে আসছে। ফিরতে হবে। কখন যে বিকেল হয়ে গেছে, ওরা টের পায়নি।
‘আমাদের ফিরতে হবে।’ অপু বলে।
‘হ্যাঁ, ফিরতে হবে।’ বুবলীও বলে।
‘কিন্তু স্যার?’ নব যেন একটু দ্বিধান্বিত। ‘স্যারের কী হবে?’
‘আমরা কলম আর রুমালটা থানায় জমা দেব। পরে পুলিশ এখানে এসে স্যারকে উদ্ধার করবে। একটা ক্লু তো পাওয়া গেছে যে স্যারকে এখানে ধরে এনেছে কেউ। আমি নিশ্চিত স্যারকে কেউ এখানে কিডন্যাপ করে এনেছে।’ অপু কেক খেতে খেতে বলে। তারা আবার খাবারের ঝাঁপি খুলে খেতে বসেছে, বুবলীর কেকটাও বেশ মজার। একটু শক্তি অর্জন করা দরকার। অনেকটা পথ হেঁটে ফিরতে হবে। সন্ধ্যার আগে আগে ফিরতেই হবে। ওরা ব্যাগট্যাগ গুছিয়ে উঠতে যাবে। নবর পায়ের নিচে কট করে একটা শব্দ হলো। পা উঠিয়ে দেখে জুতার নিচে ফাউন্টেন পেনের মুখটা, ওর পায়ের চাপে ফেটে গেছে।
‘এবার আমি একদম নিশ্চিত, স্যারকে কেউ কিডন্যাপ করে এখানে এনেছে।’ নবর হাতে স্যারের ফাউন্টেন পেনের ফাটা মুখটা শোভা পাচ্ছে।
‘তোমরা একদম ঠিক ধরেছ, তোমাদের স্যারকে কিডন্যাপ করা হয়েছে।’ ওরা তিনজন চমকে পেছনে তাকাল। দেখে কোমরে হাত দিয়ে একটা লম্বা চওড়া লোক দাঁড়িয়ে। লোকটার মুখটা হাসি হাসি। গলায় একটা লাল রুমাল বাঁধা। তিনজনের হৃৎপিণ্ডটা যেন গলার কাছে এসে একসঙ্গে ধক ধক করতে শুরু করেছে।
জায়গাটা অসাধারণ। দুই পাহাড়ের ঠিক মাঝখানে একটা ফাঁকা জায়গা, কিন্তু চারদিকে তাকালে মনে হবে একটা বিশাল খোলা গুহার মতো। তার মাঝখানে একটা নাম না জানা শক্তপোক্ত গাছ। তার সঙ্গে বিনয় স্যারকে বেঁধে রাখা হয়েছে। স্যার বসে আছেন। বিধ্বস্ত চেহারা। হাত দুটো পেছনে ওই গাছটার সঙ্গে বাঁধা। সামনে গুটিসুটি হয়ে বসে আছে ওরা তিনজন। তিনজনই ভয়ে অস্থির। পেছনেই দুটো লোক। গলায় লাল রুমাল বাঁধা লোকটা একটা সিগারেট ধরাল। তারপর হাসি হাসি মুখে বলল,
‘স্যার, আপনার তিন ছাত্রছাত্রীকে পাওয়া গেছে। ওরা নাকি আপনাকে উদ্ধার করতে এখানে এসেছে। হা হা হা।’ গলা ফাটিয়ে হাসল লোকটা। ওদের দেখে স্যারের হতভম্ব ভাব তখনো কাটেনি। কোনো কথা বলছেন না। এবার বললেন,
‘কিরে সত্যি নাকি? তোরা এখানে কীভাবে?’
নব কিছু বলার আগেই লোকটা বলল, ‘স্যার, এটা তো আমাদের জন্য শাপে বর হলো। এবার মুখ কিন্তু আপনাকে খুলতেই হবে। নইলে এদের একটা একটা করে মাথা ফুটো করে দেব, কী বলেন?’
‘দেখো বাছা, এসব মিথ্যা কথা। আমার ঠাকুরদার কোনো সোনার সিন্দুকফিন্দুক ছিল না, এগুলো মিথ্যা রটনা। তোমরা যদি বিশ্বাস না করো...’ বিনয় স্যারের কথা শেষ হওয়ার আগেই লোকটা অপুর একটা হাত ধরে হ্যাঁচকা টানে দাঁড় করাল। অপুর মাথায় পিস্তল ধরল। লোকটা এবার হিংস্র গলায় বলল, ‘আমি দশ পর্যন্ত গুনব। এর মধ্যে বলতে হবে সোনার সিন্দুকটা কোথায় আছে। আমি জানি এই পাহাড়ি এলাকায় কোথাও একটা পুরোনো মন্দির আছে, সেখানেই আছে সিন্দুকটা। জলদি বলুন, নইলে এই ছোড়ার মাথা ফুটো করে দেব...এক...’
‘দুই...তিন...’
নবর মাথা কাজ করছে না। বুবলী ভয়ে কুঁকড়ে গেছে। আর অপুর চোখ দুটো ঠিকরে বের হবে যেন।
লোকটা কর্কশ গলায় বলল, ‘...চার...পাঁচ...’ এই সময় চেঁচিয়ে উঠল নব। ‘থামুন থামুন...আমি জানি...মন্দিরটা কোথায়। আমরা ওখান থেকেই এলাম।’
সবাই অবাক হয়ে নবর দিকে তাকাল। স্যারও। নব বলল, ‘স্যার বলেই দিই...নইলে অপুকে মেরে ফেলবে।’
‘কোথায়? সিন্দুকের খবর তুই জানিস কীভাবে?’ লোকটা হুঙ্কার দিল।
‘সিন্দুকের কথা জানি না। তবে মন্দিরটা কোথায় জানি। চলুন আপনাকে নিয়ে যাই।’
‘কোনো চালাকি করলে তোর কিন্তু খবর আছে।’
‘না, কোনো চালাকি না। সত্যি বলছি।’
‘এখান থেকে কত দূর?’
‘বেশি না, এই ধরেন বিশ মিনিট লাগবে।’
‘বেশ, সেলিম তুই এখানে থাক। আমি ছোড়াটাকে নিয়ে যাই।’ বিনয় স্যার হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলেন। এসব কী হচ্ছে? অপু আর বুবলীও বুঝতে পারছে না, নব ঠিক কী করতে যাচ্ছে? নব আগে আগে হাঁটছে পেছনে পিস্তল হাতে লোকটা।
ওরা চলে যেতেই বিনয় স্যার কেশে গলা পরিষ্কার করলেন। বললেন,
‘তোরা কেন এই ঝামেলায় নিজেদের জড়ালি বল তো? তোরা বাচ্চা মানুষ!’
ওরা কী বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। একজন আরেকজনের দিকে তাকাল। বুবলী ভয়টা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে। সে বলল, ‘স্যার পানি খাবেন?’
‘পানি আছে? একটু দে তো।’ বুবলী পানির বোতলটা হাতে উঠে দাঁড়ায়। এই সময় পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটা চেঁচিয়ে উঠল। ‘একদম চুপ করে বয়া থাক। কোনো পানিপুনি খাওয়া চলব না।’
‘আচ্ছা, পানি খাওয়াব না। পা-টা ধরে গেছে একটু দাঁড়াই?’
‘না, দাঁড়াবি না, বয়া পড় কইতাছি...’
চলবে...