সূর্যঘড়ির সূত্র (চতুর্থ পর্ব)

সময় যেন থেমে গেছে হঠাৎ করে। কিছুক্ষণ কেউ কোনো কথা বলল না। তারপরেই হলি চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘মি. ডিকন! এসবের মানে কী? আপনি কি ঠাট্টা করছেন আমাদের সঙ্গে?’

হুমকির ভঙ্গিতে পিস্তলটা নাড়ল ডিকন। ‘এটাকে ঠাট্টা মনে হচ্ছে?’

‘আ...আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। হঠাৎ পিস্তল দেখাচ্ছেন কেন?’

‘রত্নগুলো কবজা করতে চাইছেন উনি,’ শান্ত গলায় বলল অয়ন। ‘ধাঁধার সমাধান হয়ে গেছে কি না, তাই নিজের আসল চেহারা দেখাচ্ছেন।’

‘নাহ, এই ছেলের মাথায় সত্যিই বুদ্ধি আছে,’ কপট সুরে বলল ডিকন। ‘কিছুই বলে দিতে হয় না। সব এমনিতে বুঝে ফেলে।’

‘কিন্তু... কিন্তু আপনি আমার উকিল!’ ব্যাপারটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না হলি। ‘আপনি এ কাজ করতে পারেন না।’

‘কেন পারি না?’ ভুরু নাচাল ডিকন। ‘লাখ লাখ ডলারের কালেকশন, হাতে এলে বাকি জীবন রাজার হালে কাটিয়ে দেওয়া যাবে।’

‘ওগুলো আপনার নয়!’

‘কে বলেছে? পাথরগুলোর গায়ে কারও নাম লেখা নেই। আমি যদি নিজের বলে দাবি করি, কে আপত্তি করবে?’

‘আমি করব। অয়ন-জিমি সাক্ষ্য দেবে। পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেব আপনাকে, আদালতে মামলা ঠুকব।’

‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, সেই সুযোগ কোনো দিনই পাবেন না আপনারা।’

‘তার মানে... তার মানে...’ লোকটার মতলব বুঝতে পেরে মুখের ভাষা হারালেন হলি। তাঁদের খুন করতে চাইছে শয়তানটা!

‘এখন বুঝতে পারছি, কেন রত্নগুলো লুকিয়ে রেখে গেছেন মি. হ্যালোরান,’ বলল অয়ন। ‘নিশ্চয়ই আপনার কুমতলব টের পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বুঝতে পেরেছিলেন, ওগুলো চুরি করতে চাইছেন আপনি।’

‘চুরি বললে ভালো শোনায় না,’ উদাস গলায় বলল ডিকন। ‘আত্মসাৎ বলতে পারো। ভেবেছিলাম, বুড়োটা মরে গেলে আসল উইল সরিয়ে একটা নকল উইল বানাব, সেখানে রত্নের কথা লেখা থাকবে না। ওগুলো গায়েব করে দেব; কিন্তু কীভাবে যেন বুঝে ফেলল বুড়ো, সন্দেহ করতে শুরু করল আমাকে। তবে আমার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ ছিল না তার হাতে, তাই কিছু করতে পারেনি। শেষমেশ চোখ ফাঁকি দিয়ে লুকিয়ে ফেলল রত্নগুলো। এমন লুকানোই লুকাল, কিছুতেই খুঁজে পেলাম না।’

‘পাবেন কী করে?’ রাগী গলায় বলল জিমি। ‘আপনার মাথাভর্তি যে গোবর, তা নিশ্চয়ই জানতেন মি. হ্যালোরান। তাই এমনভাবে ধাঁধার সাহায্যে লুকিয়েছেন ওগুলো, যাতে আপনার মতো গোবরগণেশ সেগুলো জিন্দেগিতে খুঁজে না পায়।’

‘আর আপনিও সে জন্য বদলাতে পারেননি উইলটা,’ যোগ করল অয়ন। ‘আসল উইলটাই দিতে বাধ্য হয়েছেন হলিকে, কারণ, ওতে রয়েছে গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার সূত্র। সন্দেহ নেই, খুবই বুদ্ধিমান ও দূরদর্শী মানুষ ছিলেন মি. হ্যালোরান।’

‘দূরদর্শী না কচু! এত বুদ্ধি খাটিয়ে কী লাভ হলো?’ মুখ বাঁকাল ডিকন। ‘রত্নগুলো তো শেষ পর্যন্ত আমার হাতেই এল। মাঝখান থেকে আয়ু কমল তার মেয়ের। ব্যস, যথেষ্ট খোশগল্প হয়েছে। এবার ভালোয় ভালোয় তোমাদের ফোনগুলো দিয়ে দাও আমাকে।’

মুখ চাওয়াচাওয়ি করল অয়ন, জিমি আর হলি। তারপর পকেট থেকে বের করে আনল নিজেদের সেলফোন। সেগুলো নামিয়ে রাখল সেন্টার টেবিলের ওপরে।

‘গুড,’ সন্তুষ্ট গলায় বলল ডিকন। ‘এখন হাঁটতে শুরু করো... তিনজনেই।’

‘কোথায় যাব?’ জিজ্ঞেস করল অয়ন।

‘বেজমেন্টের সেলারে। হলি, আপনি পথ দেখান।’

কিছুই করার নেই, হুকুমটা পালন করতে বাধ্য হলো তিন বন্দী। হলি সামনে থাকলেন, পেছনে অয়ন-জিমি। করিডরের শেষ প্রান্তে গিয়ে একটা দরজা খুললেন তিনি, ওপাশে ধাপে ধাপে সিঁড়ি নেমে গেছে মাটির তলায়।

‘নেমে যান,’ নির্দেশ দিল ডিকন।

‘কেন?’ ভয়ার্ত গলায় জানতে চাইলেন হলি। ভাবছেন, সেলারে নিয়ে তাঁদের গুলি করবে লোকটা।

‘ভয় নেই, আপাতত আটকে রাখব আপনাদের,’ বলল ডিকন। ‘রত্নগুলো পেয়ে নিই, তারপর ভেবে দেখব আপনাদের নিয়ে কী করা যায়। যান।’

একে একে সিঁড়িতে নেমে গেলেন হলি, অয়ন আর জিমি। পেছনে দরজাটা আটকে দিল ডিকন। শোনা গেল ছিটকিনি লাগানোর আওয়াজ। লোকটার পায়ের শব্দ মিলিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করল অয়ন, তারপর গিয়ে পরীক্ষা করল দরজাটা। পাল্লাটা বেশ মজবুত, ভাঙা সম্ভব না। হতাশ হতে হলো ওকে।

উল্টো ঘুরল ও। বলল, ‘দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই। নিচে নামা যাক। এখান থেকে বেরোনোর অন্য কোনো রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে।’

‘লাভ নেই, অয়ন,’ হতাশ গলায় বললেন হলি। ‘সেলার থেকে বেরোনোর দ্বিতীয় কোনো পথ নেই। ডিকন সেটা জানে, তাই এখানে এনে আটকেছে আমাদের।’

‘এত সহজে হাল ছাড়ছি না। আগে সেলারটা দেখতে দিন আমাদের।’

নিচে নেমে দেয়াল হাতড়ে বাতির সুইচ টিপলেন হলি। ছাতে লাগানো পুরোনো একটা বাল্ব জ্বলে উঠল, ম্লান আলোয় উদ্ভাসিত হলো সেলারের অভ্যন্তর। খুব বড় নয় ঘরটা, দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ৩০ ফুটের মতো। দেয়ালের গায়ে কাঠের তাক লাগানো আছে, সেখানে রাখা হয় কিচেনের বিভিন্ন জিনিসপত্র, এখন অবশ্য খালি। এ ছাড়া আছে গরম পানির বয়লার আর ওয়াশিং মেশিন।

পুরো ঘরের ওপর চোখ বোলাল অয়ন। এক পাশের দেয়ালে একটা চৌকো কাঠের খোপ নজরে পড়ল ওর। পাল্লা লাগানো।

‘কী ওটা?’ জানতে চাইল ও।

‘ডাম্বওয়েইটার,’ বললেন হলি।

ডাম্বওয়েইটার সম্পর্কে জানা আছে দুই বন্ধুর। একধরনের লিফট, তবে আকারে অনেক ছোট। সেলার থেকে কিচেন বা ডাইনিং রুমে বিভিন্ন জিনিস নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।

‘ওটা কি চলে?’

‘হ্যাঁ।’

‘কী মতলব তোর?’ জিজ্ঞেস করল জিমি। ‘ওখান দিয়ে ওপরে যেতে চাইছিস?’

‘আগে দেখতে দে,’ বলে এগিয়ে গেল অয়ন। ডাম্বওয়েইটারের পাল্লা খুলে পরখ করল ভেতরটা। কার্টটা খুবই ছোট—দেড় ফুট চওড়া, দুই ফুট উঁচু, গভীরতা দেড় ফুট। ওটায় চড়ে ওপরে ওঠা সম্ভব নয়।

জিমিও একই কথা ভাবছে। বলল, ‘আমাদের কারও জায়গা হবে না ওটার ভেতরে। কোনোভাবে যদি ঢুকতেও পারি, আমাদের ওজন নিতে পারবে না।’

‘তা ঠিক,’ স্বীকার করল অয়ন। ‘কার্টে চড়ে হয়তো ওপরে যাওয়া যাবে না, কিন্তু শ্যাফট বেয়ে তো যাওয়া যাবে।’ হলির দিকে তাকাল। ‘ওপরে কী আছে?’

‘কিচেন,’ জানালেন হলি।

‘ওখানেই কি শেষ?’

‘না, দোতলা পর্যন্ত গেছে লিফটটা, মাস্টার বেডরুম পর্যন্ত। কিচেন থেকে যাতে বেডরুমে খাবার পাঠানো যায়, তাই এই ব্যবস্থা।’

‘গুড, তাহলে তো হয়েই গেল।’ দেয়ালে লাগানো সুইচ টিপল অয়ন। লিফটটা রওনা হয়ে গেল ওপরে, মাস্টার বেডরুমের দিকে। সেলার থেকে কিচেন পর্যন্ত উন্মুক্ত হয়ে গেল শ্যাফট। ফাঁকা জায়গাটায় মাথা ঢুকিয়ে ওপরে তাকাল ও। আবছাভাবে দেখতে পেল কিচেনের পাল্লা।

‘বেশি দূর যেতে হবে না,’ মাথা বের করে জানাল ও। ‘বড়জোর ১৫ ফুট।’

‘ওই শ্যাফটে কোনো মানুষের জায়গা হবে না, অয়ন,’ বললেন হলি।

‘বড় কেউ ঢুকতে পারবে না, তবে আমরা ছোট মানুষ, আমরা ঠিকই পারব। একজন যেতে পারলেই চলে, কিচেন দিয়ে বেরিয়ে সেলারের দরজা খুলে দেবে।’

কপালে ভাঁজ দেখা দিল জিমির। ‘বলছিস আমরা; কিন্তু তাকিয়ে আছিস আমার দিকে। কারণটা কী?’

‘সেটাও বলে দিতে হবে?’

দীর্ঘশ্বাস ফেলল জিমি। তর্ক করে লাভ নেই, শারীরিক পরিশ্রমের কাজ যেহেতু, ওকেই করতে হবে।

‘সরে যা, এবার আমাকে দেখতে দে,’ বলে ও এগিয়ে গেল। ফোকরে মাথা ঢুকিয়ে দেখল ভেতরটা। খানিক পর সোজা হয়ে বলল, ‘সম্ভব না। দেয়াল একদম মসৃণ, কোনো কিছু ধরা যাবে না। বাইবো কীভাবে? তা ছাড়া শ্যাফটটাও খুব ছোট, শরীর আটকে যেতে পারে।’

‘আটকালেই তো ভালো,’ যুক্তি দেখাল অয়ন। ‘পড়ে যাওয়ার ভয় নেই। বরং শরীর বাঁধিয়ে উঠে যেতে পারবি ওপরে।’

‘পাঠিয়েই ছাড়বি আমাকে?’

‘এখানে বসে থাকলে ডিকনের গুলি খেতে হবে। না গিয়ে উপায় নেই। পারলে আমিই যেতাম, কিন্তু এসব কাজে আমার চেয়ে তুই বেশি দক্ষ। দেরি করিস না, লোকটা কখন ফিরে আসে কোনো ঠিক নেই। ঈশ্বরের নাম নিয়ে জলদি ঢুকে পড়।’

অকাট্য যুক্তি। কাঁধ ঝাঁকিয়ে কাজে নামল জিমি। শ্যাফটের দিকে পিঠ দিয়ে মাথা আর কাঁধ ঢুকিয়ে দিল ফোকরের ভেতর। এরপর সাপের মতো পিছলে আস্তে আস্তে ঢোকাল পুরো শরীরটাই। শ্যাফটটা খুব সংকীর্ণ, গোঁজের মতো আটকে গেল ও। তবে অয়নের কথা ঠিক, আটকে যাওয়ায় ভালোই হলো, নিচে পড়ে গেল না। ইঞ্চি ইঞ্চি করে উঠতে শুরু করল ওপরে।

মাত্র ১৫ ফুট উঠতে হবে, কিন্তু সেটিই যেন অনতিক্রম্য এক দূরত্ব। চারদিক থেকে শরীরকে চেপে ধরেছে দেয়াল, এগোতে হচ্ছে শরীর ঘষে ঘষে। খুব শিগগির ব্যথা ধরে গেল পেশিতে, হাঁপাতে শুরু করল জিমি। চোখেমুখে অন্ধকার দেখছে; কিন্তু থামল না। জানে, থামলে আর এগোতে পারবে না। তাই শরীরের সমস্ত শক্তি একত্র করে শ্যাফট ধরে উঠে চলল ও।

কতক্ষণ পেরিয়েছে জানে না...হঠাৎ সামনে দেখতে পেল, কিচেনের ফোকরের পাল্লাটা। তাড়াতাড়ি আঁকড়ে ধরল পাল্লার চারদিকের ফ্রেম, ঠেলা দিয়ে খুলে ফেলল পাল্লা। দেখতে পেল কিচেনের কাউন্টার, চুলা, ওয়াল ক্যাবিনেট আর চেয়ার-টেবিল। হাঁপাতে হাঁপাতে ফোকর গলে শ্যাফট থেকে বেরিয়ে এল জিমি। ঘেমে চুপসে গেছে শার্ট, বুক ওঠানামা করছে হাঁপরের মতো। মেঝেতে কতক্ষণ শুয়ে রইল, উঠে দাঁড়াল দম ফিরে পাওয়ার পর। তাড়াতাড়ি করিডরে বেরোল, ছুটে গিয়ে খুলে দিল সেলারের দরজা। কয়েক মুহূর্ত পর সেখান দিয়ে হলিকে নিয়ে বেরিয়ে এল অয়ন।

‘দারুণ দেখালে,’ প্রশংসার সুরে বললেন হলি। ‘ডিকন বোধ হয় কল্পনাও করেনি, ওই ডাম্বওয়েইটারের রাস্তা দিয়ে বেরোতে পারবে কেউ। সত্যি বলতে কি, আমিও ভাবিনি।’

‘এসব নিয়ে পরে কথা বলা যাবে,’ বলল অয়ন। ‘আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ঠেকাতে হবে ডিকনকে।’

‘পুলিশে খবর দেব। এসো।’

লিভিং রুমে ঢুকল তিনজন। সেন্টার টেবিলে নিজেদের সেলফোনগুলো পাবেন ভেবেছিলেন হলি; কিন্তু ওগুলো ওখানে নেই। ডিকন সতর্ক লোক, কোনো ঝুঁকি নেয়নি, নিয়ে গেছে ফোনগুলো।

‘ল্যান্ডফোন আছে এ বাড়িতে?’ জিজ্ঞেস করল জিমি।

মাথা নাড়লেন হলি, মুখ কালো হয়ে গেছে তাঁর।

‘তাহলে যা করার আমাদেরই করতে হবে,’ বলল অয়ন। ‘আমরাই ঠেকাব বদমাশটাকে।’

‘তোমার কি মাথা খারাপ হলো?’ চোখ কপালে তুললেন হলি। ‘ওর কাছে পিস্তল আছে! খালি হাতে কীভাবে লড়বে ওর সঙ্গে? তার চেয়ে চলো, থানায় গিয়ে পুলিশ ডেকে আনি।’

‘কীভাবে?’ ভুরু নাচাল অয়ন। ‘গাড়ি নিতে পারব না আমরা। কারণ, গাড়ির আওয়াজ শুনলেই পিস্তল বাগিয়ে ছুটে আসবে শয়তানটা। আর যদি হেঁটে যাই, পুলিশ নিয়ে ফেরার আগেই রত্ন নিয়ে পালিয়ে যাবে সে।’

‘তাই বলে খালি হাতে লড়তে যাবে একটা সশস্ত্র বদমাশের সঙ্গে?’

‘আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, কিচ্ছু ভাববেন না। তা ছাড়া একেবারে খালি হাতে যাব না। জিমি, দৌড়ে কিচেনে যা। দেখ কিছু পাস কি না।’ কথা বলতে বলতে চারদিকে চোখ বোলাচ্ছে অয়ন। ফায়ারপ্লেসটার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসি ফুটল ঠোঁটে। ‘আর হ্যাঁ, বড় দেখে একটা বয়ামও নিয়ে আসিস।’

চলে গেল জিমি। ফিরে এল একটু পরেই। এক হাতে বয়াম, অন্য হাতে একটা লম্বা ঝুলঝাড়ু—ছাদ থেকে মাকড়সার জাল পরিষ্কার করা হয় ওটা দিয়ে। অয়নকে বয়ামটা দিয়ে ঝাড়ুর অংশটা খুলে ফেলল ও, হাতে রইল কেবল কাঠের তৈরি লম্বা লাঠিটা। বয়াম নিয়ে অয়ন চলে গেল ফায়ারপ্লেসের পাশে। মুঠোয় মুঠোয় ভেতর থেকে ছাই বের করে আনল ও, ভরতে শুরু করল বয়ামে।

হাঁ করে দুই বন্ধুর কাণ্ডকারখানা দেখছেন হলি। বিস্মিত গলায় বললেন, ‘লাঠি আর ছাই? এ-ই তোমাদের অস্ত্র?’

বয়াম ভরে গেছে। উঠে দাঁড়াল অয়ন। বলল, ‘জি। খুবই কার্যকর অস্ত্র। আশা করি, খুব শিগগির তার প্রমাণ পাবেন। চলুন, রওনা হওয়া যাক। ডিকন কিছু টের পাওয়ার আগেই হামলা করতে হবে আমাদের।’

‘ওর কাছে যাওয়ারই সুযোগ পাবে না। পুকুরের ধারটা একদম খোলা, দূর থেকে দেখে ফেলবে তোমাদের।’

‘না, দেখবে না,’ আত্মবিশ্বাসের সুরে বলল অয়ন। ‘চারদিকে প্রচুর গাছপালা আছে, সেগুলোর পেছন দিয়ে যাব আমরা। চলুন।’

চলবে...