কালুর বাজিমাত

ভরাট করা বালুর মাঠে ক্রিকেট খেলায় মগ্ন শিশুরা। ছয় ঘড়িয়া, বটিয়াঘাটা, খুলনাছবি: সাদ্দাম হোসেন

পাড়ার সেরা ক্রিকেটার মফিজের অসুস্থতার কারণে দলে নিতে হয়েছিল কালুকে। তবে শেষমেশ সে এমন এক পরিস্থিতিতে পড়বে, কেউই কল্পনা করেনি। কারণ, একে একে দলের ৯ উইকেট পড়ে গেছে। তূর্য, জেসিম, অভিরা আউট হওয়ার পর ক্রিজে পাঠানো হলো কালুকে। তবে কালু তো ঠিকমতো ব্যাটটাই ধরতে পারে না। খেলবে কী করে? সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ। একে ফাইনাল ম্যাচ, তার ওপর ব্যাটসম্যান কালু। কালু মাঠে নামার সময় তার দলের প্রয়োজন ২ বলে ৫ রান। কালুর দলের সবাই চিন্তিত। কেউ আবার ম্যাচ জেতার আশাই ছেড়ে দিয়েছে। ভাবছে, তাদের ২ বলে ৫ রান করা অসম্ভব। পরাজয় শুধু সময়ের ব্যাপার।

কিছু একটা করতেই হবে কালুকে। গুটি গুটি পায়ে কালুর দিকে আসছে প্রতিপক্ষের সেরা বোলার নাভিদ। এরপর দৌড়ে এসে একটা বাউন্সার ডেলিভারি দিল নাভিদ। কালু কিছু বোঝার আগেই বল চলে গেল পেছনে, সোজা উইকেটরক্ষকের হাতে। এখন দলের প্রয়োজন ১ বলে ৫ রান। ছয় মারা ছাড়া উপায় নেই। দলের এ অবস্থা দেখে হাতে থাকা পানির বোতল ছুড়ে ফেলে দিল ক্যাপ্টেন তূর্য। সেও পরাজয়ের প্রহর গুনছে।

খেলার শেষ বল করতে আসছে নাভিদ। জিততে হলে মারতে হবে ছয়। তীব্রগতিতে ছুটে এসে কালুর দিকে বল ছুড়ে দিল নাভিদ। কালু চোখ বন্ধ করে সপাটে ব্যাট চালাল। চোখ খুলে দেখল, বল চলে গেছে মাঠের বাইরে। বিরাট ছয়। সঙ্গে জিতে গেল কালুর দল। ছয় মারার পরপরই দলের অন্যরা এসে কাঁধে তুলে উঁচিয়ে ধরল কালুকে।

লেখক: শিক্ষার্থী, অষ্টম শ্রেণি, ধোবাউড়া সরকারি বহুমুখী মডেল উচ্চবিদ্যালয়