আনতাসুম মুনতাজেরিন
দশম শ্রেণী, ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ধানমন্ডি, ঢাকা।
একটা ব্রাউজারে সর্বোচ্চ কয়টা ট্যাব খোলা যায়? প্রশ্নটা মাথায় আসতেই মজিলা ফায়ারফক্সে একটার পর একটা ট্যাব খুলতে থাকে মেয়েটি। ১১৮ নম্বর ট্যাবটি খোলার সঙ্গে সঙ্গেই হ্যাং করল কম্পিউটার, নিজ দায়িত্বে রিস্টার্টও নিয়ে নিল।
ছোট ছোট এ রকম অনেক উদ্ভট কৌতূহল মেটাতে গিয়েই আনতাসুম মুনতাজেরিন এখন রীতিমতো একজন খুদে বিজ্ঞানী। হেসে উড়িয়ে দিয়ো না, সে কিন্তু একদম পুরস্কার পাওয়া বিজ্ঞানী! নটর ডেম কলেজ আয়োজিত জাতীয় বিজ্ঞান উত্সবে জীববিজ্ঞানবিষয়ক প্রজেক্টে প্রথম রানারআপ এবং ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ আয়োজিত জাতীয় বিজ্ঞান উত্সবে তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রজেক্টে দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে সে। এসব উত্সবের বিজ্ঞানভিত্তিক কুইজ ও অলিম্পিয়াডে বাগিয়ে নিয়েছে প্রথম পুরস্কার।
মুনতাজেরিনের ডাক নাম আবৃত্তি। নামের সঙ্গে মিল রেখে সে আবৃত্তিতেও বেশ পটু। বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় মুন্সিগঞ্জ জেলার দ্বিতীয় স্থানটি তার দখলে। শিশু একাডেমীর চিত্রাঙ্কনেও সে প্রথম। এ ছাড়া গিটার, আর মাউথ অর্গান বাজাতেও সে পারদর্শী। পারে সাইকেল চালাতে আর সাঁতার কাটতে।
পড়াশোনায় কিন্তু একদমই ফাঁকি দেয় না সে। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত মেয়েটি ২০০৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে নির্বাচিত হয়েছে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে। বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন থেকেও পরপর তিন বছর পেয়েছে মেধাবৃত্তি।
জীবনের আদর্শ
স্টিফেন হকিং। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে যিনি হার মানিয়েছেন তাঁর কাজের মাধ্যমে।
শখ
বই পড়া।
অপছন্দের কাজ
সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা।
প্রিয় লেখক
ড্যান ব্রাউন।
প্রিয় শিক্ষক
ছোটবেলার ইংরেজি শিক্ষক মেহেরুন নেসা ম্যাডাম।
যারা তোমাকে অনুপ্রেরণা দেয়
কেউ না। আমি একাই এক শ!
স্কুলে ভালো লাগে
পড়ালেখার পাশাপাশি স্কুল ক্লাবগুলোর কাজ করতে।
স্কুলে খারাপ লাগে
পর্যাপ্ত খেলার জায়গা না থাকা।