‘এমন চিন্তা এর আগে কেউ করেছে বলে মনে হয় না। এ কারণেই আমি করলাম।’ কথার শুরুতেই নাবিদ সালেহীন দৃঢ় কণ্ঠে বললেন কথাটি। যে কারণে তাঁর মুখোমুখি বসা, তা এরই মধ্যে বেশ আলোচিত। বিশ্বের ১২টি ভাষায় গাওয়া হয়েছে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি। ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে গানটি ফেসবুক ও ইউটিউবের কল্যাণে দেখেছেন সবাই। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখা ও আলতাফ মাহমুদের সুরের এ গানটি নতুন করে ১২ ভাষায় গাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন নাবিদ সালেহীন নামের এই তরুণ। যাঁর ডাক নাম নিলয়। আর ১২ ভাষার মধ্যে কিন্তু বাংলাও রয়েছে। ১২ ভাষায় গানটি তৈরির পেছনের গল্পটি শোনাতেই মুখোমুখি বসেছিলেন তিনি। বললেন, ‘আমার ভেনোমাস নামে একটি গানের দল আছে। কাঁঠালবাগানে নিয়মিত অনুশীলন করি। অমর একুশের এই গানটি নিয়ে ২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে পরিকল্পনা করি। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই শুরু থেকেই ইচ্ছে ছিল দেশের শিল্পীসহ দেশের বাইরের শিল্পীদের কীভাবে যুক্ত করা যায় এই দিবসের সঙ্গে। সে অনুযায়ী পরিকল্পনাটা সাজাই। শুরুতে বাংলাদেশ ছাড়াও ১৬টি দেশের শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সেখান থেকে ১১ জন আমার ডাকে সাড়া দেন। ওই অনুভূতিটা আসলে অন্য রকম। আমার মতো একটা তরুণের ডাকে বিভিন্ন দেশের শিল্পী সাড়া দেবেন এটা চিন্তাতেও ছিল না। এর মধ্যে আবার জাতিসংঘের ছয়টি অফিশিয়াল ভাষার শিল্পীরাও রয়েছেন। এটা একটা বড় ব্যাপার। জাতিসংঘের কাছে গানটি সহজে পৌঁছে দেওয়াও একটা উদ্দেশ্যে।’
গানটি তৈরির শুরুতে সেই ভাষায় অনুবাদ করেছেন নাবিদ। তারপর মিউজিকসহ পাঠিয়ে দিয়েছেন শিল্পীদের কাছে। শিল্পীরা সে অনুযায়ী গেয়ে ভিডিওসহ পাঠিয়ে দিয়েছেন নাবিদের কাছে। নাবিদ সে সব জড়ো করে সমপাদনা শেষে আপলোড করেছেন ফেসবুক ও ইউটিউবে।
জানালেন, বাংলা ছাড়া বাকি ১১টি ভাষা হলো মালয় (মালয়েশিয়া, আরবি (লেবানন), জার্মান (জার্মানি), নেপালি (নেপাল), হিন্দি (ভারত), ফ্রেঞ্চ (ফ্রান্স), সপ্যানিশ (ভেনেজুয়েলা), রাশান (রাশিয়া), ইংলিশ (ইংলিশ), চায়নিজ (হংকং) এবং ইতালিয়ান (ইতালি)। গানটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছে আজব রেকর্ডস।
তোমরা গানটি শুনতে পাবে https://youtu.be/seaacRKtjF0 এই ঠিকানায়।