হাসাহাসি

হাসতে পারে না এমন মানুষ কমই আছে। গোমড়াথেরিয়ামদের কথা আলাদা, আমরা তো আর সে দলের নই। তাই হাসাহাসি ছাড়া আমাদের থাকা চলে না। হাসা যেমন সোজা, সে হাসি সহজে আঁকতে পারা অনেকের কাছেই অত সোজা না। কার্টুনের রান্নাঘরে আমরা চট করে সেই হাসি কীভাবে আঁকা যায় সেটা দেখে ফেলি। শুরু করা যাক।

একেবারে সেই আগের বেসিক। একটা গোল্ল্লার মাঝে দুইটা বিন্দু দিয়ে চোখ আর নিচে একটা অর্ধেক চাঁদ। ব্যস হয়ে গেল হাসিমুখ। এবার সেই চাঁদটা যদি সাইজে দুই দিকে বাড়াতে থাকি তাহলে? তাহলে সেটা আস্তে আস্তে আরও বেশি হাসি হয়ে যাচ্ছে। আর হ্যাঁ একটু হেসে দেখো, খুব করে, অনেক করে হাসতে গেলে কিন্তু চোখ খুলে রাখা কঠিন হয়। গালের ভাঁজে পড়ে সেটা হয়ে যায় ছোট আকৃতির। সহজে কার্টুনের মতো করে আঁকতে চাইলে তাই ওপরের একেবারে ডান দিকের শেষ দুইটার মতো করে উল্টা তিরচিহ্ন করে চোখ এঁকে ফেলা যায়।

এবার ছোট্ট একটা ডিটেইল দিলে এই সামান্য হাসিমুখের থেকে আরেকটা মজার কাজ করা যায়। হাসিটা কি ভালো হাসি না মন্দ হাসি? মানে ভিলেনের দুষ্টুমি হাসিও হাসি আবার আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে আপনমনে বা মজার কিছু দেখে হাসাটাও হাসি। সেগুলো আলাদা করে কীভাবে আঁকব? এটা আর কিছুই না। শুধু একটা ভুরুর চিহ্ন যোগ করা। ওপরে দেখো, চোখের ওপর যেই ভুরু আঁকা সেটা ওপরের দিকে বাঁকানো। এতে করেই যেন মনে হচ্ছে এটা আসল আনন্দে হাসি, মনে কোনো দুষ্টুমি নেই মানুষটার। এবার নিচে গিয়ে দেখি, ভুরুটা উল্টে দিলে কী হয়?

যা হয় সেটা ভয়ের! একেবারে চেহারা পাল্টে গেল। মনে হচ্ছে প্রথম থেকেই বাজে কোনো ফন্দি আঁটছে মানুষটা। এবং আস্তে আস্তে কীভাবে বাজে কাজটা করবে সেটা ভেবে বের করে ফেলে দারুণ কুটিল আনন্দে সে অট্টহেসে উঠল! যা-তা ব্যাপার।

তার মানে হাসি আঁকার পরের ধাপটা মানে সেটাকে দুষ্টুমি হাসি আর ভালো হাসি বানানো আসলে শুধু ভুরুর প্যাঁচের খেলা। ইচ্ছামতো কয়েক পৃষ্ঠা জুড়ে এবার এমন আরও যতভাবে সম্ভব একটু চেষ্টা করে দেখবে নাকি আর কী কী হাসি বানানো যায়?

এবার আরও কিছু হাসি আঁকা যাক। প্রথমটা কেঁদো হাসি, পরেরটা দেঁতো হাসি, এর পরেরটা? বলো তো?

এবার আবার একগাল হাসি, অবাক হাসি আর গদগদ হাসি। আসলে একভাবে হাসাহাসি আঁকা গেলে এর পরে খালি ডান-বাঁ করে এঁকে যাওয়া। গোল্লা দিয়ে এঁকে যাদের মন ভরছে না তাদের জন্য নিচে আরও কিছু একেক রকমের হাসি আঁকা হলো।

বাচ্চাদের হাসি আঁকার ক্ষেত্রে একটা ছোট্ট টিপস হলো, হাসিটা বেশি দাগাদাগি করে বা বড় করে না এঁকে একেবারে সাধারণ সহজ করে ছোটভাবে আঁকাই ভালো। তো হাসাহাসি চলতে থাকুক। সেইসঙ্গে চলতে থাকুক আঁকাআঁকিও।