মনের সুখে প্যাডেল মারছ। ব্রেক কষতে গিয়ে হঠাৎ টিং করে আওয়াজ। দেখলে ডান হাতের ব্রেক লিভার কাজ করছে না। সাইকেল থেকে নেমে আবিষ্কার করলে ব্রেকের কেবল গেছে ছিঁড়ে। অথবা বলা নেই কওয়া নেই একখানা পেরেক ঢুকে গেল চাকায়। মুহূর্তের মধ্যে চাকা ফুস, চুপসে এই এতটুকু। এখন উপায়! আশপাশে সাইকেল সারাইয়ের দোকান খুঁজে গলদঘর্ম হতে হবে তোমাকে।
সুতরাং কষ্ট কিছু হলেও লাঘব করতে জেনে রাখা চাই সাইকেল মেরামতের দোকান কোথায় কোথায় আছে। কারণ, এমটিবি ও রোড বাইক রাস্তার পাশে বসা রিকশার মিস্ত্রি ঠিক করতে পারবে না। চাকা পাংচার হয়ে গেলে সেটা হয়তো রিকশামিস্ত্রিকে দিয়ে সারানো যাবে। কিন্তু আর সব কাজে এমটিবি সারাই করে এমন দোকান বেছে নিতে হবে।
ঢাকাসহ সারা দেশেই রয়েছে অসংখ্য সাইকেল সারাইয়ের দোকান। তবে ঢাকায় সাইকেল মেরামতের যে কয়টি দোকান আছে, তার মধ্যে অন্যতম পান্থপথের ক্যাফেসাইক্লিস্টস। এখানে সাইকেল মেরামতের পাশাপাশি স্ন্যাকস জাতীয় খাবার ও জুস পাওয়া যাবে। ক্যাফেসাইক্লিস্টসের প্রধান কারিগর আল আমিন জানালেন, উত্তরা, তেজগাঁও, গুলশানসহ বেশ কিছু জায়গায় এমটিবি ও রোড বাইক মেরামতের ব্যবস্থা আছে। উত্তরায় আছে বাইক ওয়ার্কজ, গুলশানে বাইসাইকেল শপ বিডি লিমিটেড, মহাখালীতে আছে চেইন অ্যান্ড গিয়ার, ফার্মগেটে ব্রাদার্স সাইকেল, নিউমার্কেট সাইকেল হাব, সিদ্ধেশ্বরীতে এসওএস। এগুলোর ঠিকানা? একেবারে সোজা। ফেসবুকে ঢুকে নাম লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবে।
ডিজিটাল সারাইখানা
দ্বিচক্র যানকে এ জমানার তরুণদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলার ও সাইকেল চালানোকে মজাদার ও উপভোগ্য করে তোলার পেছনে কৃতিত্ব যে সংগঠনটির তার নাম বিডিসাইক্লিস্টস। বর্তমানে ৫৩ হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছে এর। এত এত সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে, কোনো ইভেন্টের কথা জানাতে বিডিসাইক্লিস্টসের রয়েছে ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ। এখানে কেউ একজন একটা সমস্যা নিয়ে লিখলে অন্য সাইক্লিস্টরা তাৎক্ষণিক সেটার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে। এই যেমন, তোমার আজ নিউমার্কেটে যেতে হবে। সাইকেল নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছ। কিন্তু সাইকেলটা লক করে কোথায় রেখে যাবে, আদৌ সেটা নিরাপদ কি না জানো না। সে ক্ষেত্রে তুমি ওই গ্রুপে গিয়ে তোমার সমস্যাটার কথা বলে দাও। দেখবে কেউ না কেউ সেটা সমাধান করে দিচ্ছে। এ ছাড়াও এখানে নতুন-পুরোনো সাইকেল ও সাইকেলের খুচরা যন্ত্রাংশ কেনাবেচার পোস্ট দেওয়া যায়।