‘মন খারাপ হলে ডায়েরি লিখি’ — অর্ণব কান্তি সিংহ

২০১৩ সালের কথা। অর্ণবের শরীরটা অসম্ভব খারাপ করেছিল। কোনো কাজই ঠিকমতো করতে পারছিল না। সবাই যখন ওর শরীরের সুস্থতা নিয়ে চিন্তিত, তখন ছেলেটি অংশ নেয় ‘বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা’য়। সেখানে সবাইকে তাক লাগিয়ে জিতে নেয় দেশাত্মবোধক গানে প্রথম পুরস্কার। ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র অর্ণব গান করতে ভালোবাসে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত ‘জাতীয় গণসংগীত প্রতিযোগিতা’য় সিলেট বিভাগ থেকে সে জিতে নেয় প্রথম পুরস্কার। ঢাকা পর্বেও হয় যুগ্মভাবে প্রথম। শুধু তা-ই নয়, ২০১৫ সালে সে চ্যানেল আই আয়োজিত ‘ক্ষুদে গানরাজ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম ২৫ জনের মধ্যে জায়গা করে নেয়। বিজ্ঞানমনস্ক অর্ণব ২০১৪ সালে ‘৩৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলা’য় অংশ নিয়ে সিলেট বিভাগে প্রথম আর ঢাকা পর্বে চতুর্থ হয়। এখন সে চিকিত্সক হওয়ার স্বপ্ন দেখে; তাই পড়াশোনাটাও ঠিকমতোই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৩-তে বৃত্তি লাভ করে ট্যালেন্টপুলে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে কুইজ, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় সে জিতে নিয়েছে স্বর্ণপদকসহ নানা পুরস্কার। অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী অর্ণব বর্তমানে একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছে। তার প্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রিয় বই ইস্টিশন। অবসরে ভালোবাসে গল্পের বই পড়তে আর ছবি আঁকতে। মায়ের হাতের সরষে-ইলিশ এই তারকার সবচেয়ে পছন্দের খাবার।

অর্ণবের সাক্ষাৎকার

প্রশ্ন :

তোমার স্কুলের সবচেয়ে ভালো লাগা এবং খারাপ লাগা দিক কোনটি?

ভালো লাগা: শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।

খারাপ লাগা: শিক্ষার্থীদের মধ্যে একতার অভাব।

প্রশ্ন :

জীবনের অনুপ্রেরণা জোগায় কে?

বাবা ও মা।

প্রশ্ন :

যে কাজটি করতে চেয়ে এখনো করা হয়নি?

বাগান করতে চাই, কিন্তু করতে পারি না।

প্রশ্ন :

ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে যে স্থানে?

পাহাড় ও গাছপালায় ঘেরা জায়গায়।

প্রশ্ন :

প্রিয় ব্যক্তিত্ব?

মাদার তেরেসা।

প্রশ্ন :

তোমার স্কুলের মজার কোনো ঘটনা...?

আমি একদিন ভুল করে আমার পাশের বন্ধুর ওপর জলরং ঢেলে দিয়েছিলাম, যখন সে বেঞ্চের নিচে ঝুঁকে কলম খুঁজছিল।

প্রশ্ন :

এখন পর্যন্ত তোমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া কী?

টিভিতে অভিনয় করতে পারা।

প্রশ্ন :

টেলিভিশন চ্যানেলে যখন নিজেকে দেখো, তখন কেমন লাগে?

এক্সাইটেড লাগে।

প্রশ্ন :

গায়ক অর্ণবের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেলে কী করতে?

অবশ্যই অনেক আনন্দিত হতাম। চিন্তা করেই এক্সাইটেড লাগছে।

প্রশ্ন :

নিজের যে পাঁচটি প্রিয় বস্তু ছাড়া তোমার চলা অসম্ভব?

বই, কলম, খাতা, হারমোনিয়াম, রংপেনসিল।

প্রশ্ন :

মন খারাপ হলে কী করো?

ডায়েরি লিখি।

(কিশোর আলোর আগস্ট ২০১৫ সংখ্যায় প্রকাশিত)