উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা আছে নাইমার। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে তৃতীয় হয়ে আগ্রহটা বেড়ে যায় আরও। শুধু উচ্চাঙ্গসংগীতই নয়, নাচ, লোকসংগীত, আবৃত্তিতেও সে দেখাতে থাকে দারুণ পারদর্শিতা। ২০১১ সালে জাতীয় মৌসুমি প্রতিযোগিতায় তার নেতৃত্বাধীন দল নৃত্যে জেলা পর্যায়ে প্রথম ও বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় হয়। দ্বিতীয় হয় জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতায় সাধারণ নৃত্য বিভাগেও। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় সে জেলা পর্যায়ে হয় প্রথম। পঞ্চম শ্রেণিতেও ধারা অব্যাহত রেখে আবৃত্তি ও লোকনৃত্যে প্রথম এবং সাধারণ নৃত্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করে সে। পরের বছর উচ্চাঙ্গ সংগীতে হয় তৃতীয়। ২০১৫ সালে অষ্টম শ্রেণিতে উঠে শুরু করে বিতর্ক। শিক্ষকেরা জেএসসি পরীক্ষার জন্য তাকে দলেই নিতে চাননি। অথচ ‘সমকাল বিতর্ক প্রতিযোগিতায়’ তার দল জেলা পর্যায়ে হয় চ্যাম্পিয়ন। ২০১৬ সালে শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত মাদকবিরোধী রচনা আর সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে জেলা পর্যায়ে প্রথম হয় নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী। নাটোরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা হওয়ার পর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ বলেন, তিনি নাঈমাকে ভবিষ্যতে সংসদের স্পিকার হিসেবে দেখতে চান। সে বছরই ‘সমকাল বিতর্ক প্রতিযোগিতায়’ তার দল বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। স্কুলে বরাবর প্রথম হওয়া নাইমা পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় পেয়েছে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি।
নাঈমার সাক্ষাৎকার
প্রশ্ন :
ভূতে বিশ্বাস করো?
না, তবে ভূত কল্পনা করে ভয় পেতে ভালো লাগে।
প্রশ্ন :
স্কুলের ভালো লাগা...
বিরাট বড় উন্মুক্ত মঞ্চ।
প্রশ্ন :
প্রিয় লেখক...
মুহম্মদ জাফর ইকবাল, হুমায়ূন আহমেদ, সত্যজিৎ রায়সহ অনেকে।
প্রশ্ন :
প্রিয় কবিতার লাইন...
‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর...’
প্রশ্ন :
শক্তি আর দুর্বলতা...
সবচেয়ে বড় শক্তি বাবা-মায়ের সহযোগিতা। আবার দুর্বলতাও তারাই। তাদের ছাড়া আমি একটা কাজও করতে পারি না!
প্রশ্ন :
কোনো ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চাইলে যে ঘটনাটি বেছে নেব...
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ।
প্রশ্ন :
যদি জানতে পারতাম...
জীবনের প্রকৃত রহস্য।
প্রশ্ন :
কেউ সমালোচনা করলে...
গান গেয়ে আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে দেব!