হাসি থেকে মহাকাশে
নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) নাইট্রাস, নাইট্রো বা এনওএস নামেও পরিচিত। বর্তমানে রকেটের জ্বালানি ও মোটর রেসিং কারের ইঞ্জিনের শক্তি বৃদ্ধিতে নাইট্রাস অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। ১৯১৪ সালে আমেরিকান রকেট গবেষক রবার্ট গডার্ড নাইট্রাস অক্সাইড ও গ্যাসোলিন রকেটের তরল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব করেন। ২০০৪ সালে পৃথিবীর প্রথম বেসরকারি মহাকাশ যান স্পেসশিপওয়ানে জ্বালানি হিসেবেও এই গ্যাসের ব্যবহার করা হয়।
ওরে, কত হাসি হাসে রে!
একজন মানুষ সারা জীবনে কত সময় হাসে? বিভিন্ন গবেষণায় হরেক রকম ফলাফল দেখে তোমাদের অনেকের চোখ মাথায় উঠে যেতে পারে। ডেইলি মিরর-এর এক জরিপে প্রকাশ করা হয়, একজন ৭০-ঊর্ধ্ব বয়সের মানুষ সারা জীবন ১১৫ দিন সময় হাসির পেছনে ব্যয় করে থাকেন। এই হিসাবে আমরা সবাই প্রতিদিন গড়ে ছয় মিনিট করে হাসি। গবেষকেরা শুধুই দিন আর সময় বের করেননি, তাঁরা আমরা কতবার হাসি, সেটাও বের করেছেন। আমরা সারা জীবনে দুই লাখ ৯০ হাজার বার হেসে থাকি। সর্বনিম্ন পাঁচ সেকেন্ড থেকে শুরু করে নাকি মিনিট দশেক সময় পর্যন্ত হাসা যায়।
সূত্র: ডেইলি মিরর
মানুষকে হাসাতে কোবিয়ান রোবট
প্রকৌশল গবেষকদের উদ্ভট এক উদ্ভাবন রোবট কোবিয়ান। এই রোবটের অদ্ভুত কাজগুলোর একটি হলো মানুষকে হাসানো। রোবটটি নিখুঁতভাবে স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানদের মতো জোকস বলে হাসাতে পারে। শুধুই কি হাসানো, কোবিয়ান মানুষের মতো সাত প্রকারের আবেগ তার মুখমণ্ডলের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে। কখনো মুখ কুঁচকে দুঃখী হয়, কখনো হাঁ করে অবাক হয়, কখনো ভুরু কুঁচকে বিভ্রান্ত হয় কোবিয়ান। জাপানের ওয়াসেদা গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব অ্যাডভান্স সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষকেরা এ রোবট তৈরি করেন।
রোবটটি কী করে মানুষ হাসায় তা স্মার্টফোনে দেখতে ক্লিক করো এই লিংকে।
হাসির জোর কত?
মানুষের হাসির শব্দের জোর কত বলো তো? মানুষ সাধারণত ৫০০ থেকে ২০০০ হার্টজ শব্দতরঙ্গে হাসে। নারীরা সাধারণ কথার শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ শব্দে হাসে নিয়মিত। অন্যদিকে পুরুষেরা মাত্র আড়াই গুণ জোরে হাসতে পারে! পুরুষেরা গড়ে এক হাজার হার্টজ শব্দতরঙ্গে হাসে। অন্যদিকে নারীরা দুই হাজার হার্টজ শব্দতরঙ্গে হাসে।
সূত্র: দ্য হিন্দু
বিজ্ঞানীর হাসি
অনেকের অভিযোগ, বিজ্ঞানীরা নাকি রসকষহীন। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের হাসি দেখে তা বোঝার কি উপায় আছে?
মহাকাশে গেলেও মানুষের হাসি বদলায় না। চন্দ্রবুকে প্রথম পা রাখা মানব নিল আর্মস্ট্রংয়ের হাসি দেখলে তা বোঝা যায়। ছবিটি চন্দ্রজয়ের পথে অ্যাপোলো ১১ নভোযানে তোলেন বাজ অলড্রিন।