অনেক লেখক ঠিক করে নিতেন প্রতিদিন তিনি কী পরিমাণে লিখবেন। লেখকেরা অলস প্রকৃতির হন বলে এগুলো নিজেকে শাসন করার কৌশল।
জ্যাক লন্ডন তাঁর লেখকজীবনে প্রতিদিন ঠিক এক হাজার শব্দ করে লিখেছেন।
আর্থার কোনান ডয়েল, উইলিয়াম গোল্ডিং এবং নরম্যান মেইলারের বরাদ্দ ছিল প্রতিদিন তিন হাজার শব্দ।
রেইমন্ড চ্যান্ডলার কোনো দৈনিক কোটায় বিশ্বাস করতেন না। তবে শোনা যায়, তিনি প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার শব্দ লিখতেন।
ঘড়ি ধরে ভোর সাড়ে পাঁচটায় লিখতে বসতেন অ্যান্থনি ট্রোলোপ। প্রতি ১৫ মিনিটে ২৫০ শব্দ করে লেখার নির্দেশনা তিনি নিজে নিজেকে দিয়েছিলেন। সেটা মানা হচ্ছে কি না, দেখার জন্য পাশে ঘড়ি রাখতেন।
যা-ই ঘটুক না কেন, সারা দিনে অন্তত দুই হাজার শব্দ লেখেন স্টিফেন কিং।
টমাস উলফ নিজের জন্য ১ হাজার ৮০০ শব্দের কোটা ঠিক করে দিয়েছিলেন। এই কোটা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি লেখার টেবিল থেকে উঠতেন না।
জেমস জয়েস সারা দিনে দুটি বাক্য লিখতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করতেন।
সারা দিনে পাঁচটার বেশি শব্দ লিখতেই পারতেন না ডরোথি পার্কার। অনেক কষ্টে তিনি সেটাকে সাত শব্দে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন।