ছোট্ট ছেলেটা তখন কম্পিউটারে গেমস খেলা আর মুভি দেখা ছাড়া কিছুই পারত না। একদিন বড় ভাইয়ের কাছে জানতে পারল, চাইলে সে নিজেই গেমস বানাতে পারবে, যা কিনা অন্যরা খেলতে পারবে। সে সময়ই প্রোগ্রামিংয়ের হাতেখড়িটা হয় তার বড় ভাইয়ের কাছে। বলছি ১৫ বছর বয়সী মওদুদ হাসানের কথা। ২০১৫ সালের ২৯ মে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা’য় সারাদেশ থেকে প্রায় ৯৯৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ছিল জুনিয়র (ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি) ও সিনিয়র (দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) বিভাগের ১৭০ জন। এ প্রতিযোগিতায় জুনিয়র বিভাগে সবাইকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মওদুদ। শুধু প্রোগ্রামিং নয়, মওদুদের আগ্রহ রয়েছে গণিত আর বিজ্ঞানের প্রতিও। ২০১১ সালে প্রথম আলো এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক আয়োজিত বিভাগীয় গণিত অলিম্পিয়াডে প্রাথমিক বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খেতাব অর্জন করে সে। ২০১৪ সালে মওদুদ পিএইচপি গ্রুপ আয়োজিত বাংলাদেশ অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে সিনিয়র বিভাগে ব্রোঞ্জপদক জিতে নেয়। বন্ধুদের সঙ্গে সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে মওদুদের। আর অবসর সময়টা কাটাতে পছন্দ করে ঘুমিয়ে কিংবা গেমস খেলে। তার পছন্দের খাবার চকলেট আর আইসক্রিম। কোডিংপ্রেমী মওদুদ বড় হয়ে গবেষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। সেই সঙ্গে ভালো মানের গেমার হওয়ার সুপ্ত বাসনাও রয়েছে মনের মধ্যে!
মওদুদের সাক্ষাৎকার
প্রশ্ন :
এত কিছু থাকতে প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহ জন্মাল কেন?
প্রোগ্রামিং করতে কষ্ট কম হয় বলে...
প্রশ্ন :
তোমার স্কুলের সবচেয়ে ভালো লাগা আর খারাপ লাগা দিক...
স্কুলের ভালো লাগা দিক আড্ডা দেওয়া, খারাপ লাগার কিছু নেই।
প্রশ্ন :
প্রোগ্রামিং-বিষয়ক জাতীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি...
অনুভূতি আনন্দের, তবে এখন সবাই ‘ট্রিট’ চায়!
প্রশ্ন :
আমাদের দেশে প্রোগ্রামিং চর্চার সুযোগ কতটুকু?
ইন্টারনেট থাকলে সুযোগটা অনেক। সবকিছুই অনলাইনে আছে।
প্রশ্ন :
রাত জেগে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা করে সকালে স্কুলে যেতে দেরি হলে কি বাসায় বকা খেতে?
বাসায় কেন, বকা খাওয়ার জন্য তো স্কুল আছে!
প্রশ্ন :
যে কাজটি করতে চেয়ে এখনো করা হয়নি?
ভালো করে পড়ালেখা।