আমাদের এই রান্নাঘরের কাজকারবারের ফাঁকে আমরা বেশ কিছু সমস্যার কথা শুনতে পাই, তার মধ্যে একটা বড় সমস্যা হলো, ছেলে আর মেয়ে আলাদা করে এঁকে বোঝাতে পারি না। মানে দুইটা একই রকম হয়ে যায়। এটা অবশ্যই একটা বি-রা-ট সমস্যা। এই পর্বে আমরা দ্রুত কিছু কৌশল শিখে ফেলি। একেবারে প্রথমটা হলো:
ছেলেদের আঁকার ক্ষেত্রে তুলনামূলক কোনাকাঞ্চিওয়ালা লাইন বেশি রাখা। মানে কি না জিগজ্যাগ টাইপ। উল্টোদিকে মেয়েদের আঁকার ক্ষেত্রে লাইন কিছুটা ঢেউয়ের মতো করে আঁকা। নিচের ছবি দুইটা দেখলে কিছুটা বোঝা যাবে আশা করি।
এর পরেরটা আরও সহজ, ছেলেদের মুখে তুলনামূলক দাগ বেশি দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু মোটামুটি একই বয়সের একটা মেয়েকে আঁকলে তার মুখে আঁকার জন্য দাগ কম হবে। যেমন পাশের ছবিটায় ছেলেটার (অথবা লোক) নাক মোটামুটি পুরো লম্বা একটা ইংরেজি ‘এল’ অক্ষরের মতো করে আঁকা, অপরদিকে মেয়েটার নাক প্রায় আঁকা হয়নি বললেই চলে। আর একটা ব্যাপার খেয়াল রাখা যেতে পারে সেটা হলো চোখ আর নাক মিলিয়ে যে কাল্পনিক ত্রিভুজ ভাবা যায়, সেটা। খেয়াল করলে দেখা যাবে ছেলেটার (বা লোকটার) সেই ত্রিভুজটা লম্বাটে আর মেয়েটার ক্ষেত্রে সেটা চাপা। বা আরেকভাবে বললে বলা যায় মেয়েটার চিবুক ছোট। আসলে এর ব্যতিক্রম যে নেই তা না। কিন্তু আমরা যেহেতু অত জটিলতায় যাব না, তাই কাজ চালানোর মতো এই কটা সহজ বুদ্ধি মনে রাখলেই আপাতত চলবে।
এবার সেই অ্যানাটমির গন্ডগোল। না এবারেরটা অত ঝামেলার নয়। খুবই সহজ। মেয়েদের কোমর ছেলেদের চেয়ে চওড়া হবে, ব্যস। খেয়াল করলে দেখা যাবে প্রথমে যে কঙ্কাল বা স্টিক ফিগার যাই বলি না কেন, যেটা আঁকা হয়েছে সেটায় দ্বিতীয়টার কোমরের হাড় প্রথমটার চেয়ে চওড়া। আমরা যদি এবার কঙ্কালে আস্তরণ চড়াই, তবে দেখতে পাব দ্বিতীয়টা এমনিতেই মেয়ে বলে বোঝা যাচ্ছে। তাই শুধু চুল বড় করে মেয়ে আর দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে ছেলে আঁকার দরকার নেই। সেটা ছাড়াও আমরা এখন অন্তত তিনটা নিয়ম জেনে গেছি।
তবে চেহারায় দাড়ি-গোঁফ বা বড় বাহারি চুল দিতেও কেউ নিষেধ করেনি। আপাতত যা শিখলাম সেগুলোই চলুক সঙ্গে চুল-দাড়ির জোড়াতালি।