২০১৮ সালের ২০ আগস্ট। সুইডেনের স্টকহোমে সংসদ ভবনের পাশে একটা ১৫ বছর বয়সী মেয়ে বসে ছিল, পাশে একটা প্ল্যাকার্ডে সুইডিশ ভাষায় লেখা, ‘স্কুল স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট’। পরের সপ্তাহেও মেয়েটা একই রকম একটা প্ল্যাকার্ড নিয়ে সংসদ ভবনের পাশে বসে থাকল। শুক্রবার স্কুলে গেল না। প্রথম দফায় মেয়েটার ইচ্ছা ছিল ৯ সেপ্টেম্বর সুইডেনের সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত স্কুল বর্জন করে এই প্রতিবাদ করে যাবে, যাতে সুইডিশ পার্লামেন্ট পরিবেশকে বাঁচাতে ক্ষতিকর কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু নির্বাচনের পরও মেয়েটা প্রতিবাদ চালিয়ে যায়, যা থেকে জন্ম হয় ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বা ভবিষ্যতের জন্য শুক্রবার নামের আন্দোলন। এই আন্দোলন এখন ছড়িয়ে পড়েছে ১৫০টি দেশে।
সারা বিশ্বে পরিবেশ আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া এই মেয়ের নাম গ্রেটা থুনবার্গ। জন্ম সুইডেনে। জলবায়ু যে পরিবর্তিত হচ্ছে, গ্রেটা প্রথম শুনেছিল আট বছর বয়সে। তখন বিশ্বাসই করেনি। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলতে যাচ্ছে। অথচ এটা নিয়ে তেমন কারও মাথাব্যথা নেই। এমন ভয়াবহ একটা হুমকির মুখে পৃথিবী থাকলে সবার তো সারা দিন এটা নিয়েই আলোচনা করার কথা। সব কটি টিভি, রেডিও, পত্রিকার তো এটাই আলোচনা করার কথা। কিন্তু তা তো করছে না। তাহলে এমন একটা কথা সত্য হয় কী করে?
এসব ভেবে একটা সময় থুনবার্গ হতাশ হয়ে গেল। কিন্তু সে নিজে কীই-বা করতে পারে। আর দশটা বাচ্চার মতো সে-ও দিন কাটাতে লাগল। একসময় সে নিরামিষাশী হয়ে গেল, বাদ দিল মাছ-মাংস খাওয়া। এরপর বাদ দিল বিমানে চড়াও। কারণ, বিমান চলতে গিয়ে পরিবেশে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে। নিউইয়র্ক থেকে ক্যালিফোর্নিয়া যেতে একটা বিমান একটা গাড়ির সারা বছরের নিঃসরিত কার্বনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ কার্বন নিঃসরণ করে।
এই পর্যন্তও গ্রেটা থুনবার্গ সাধারণ একটা মেয়েই ছিল। ২০১৮ সালে সুইডেনের একটা পত্রিকার জলবায়ু নিয়ে নিবন্ধ প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছিল সে। এই ঘটনা মে মাসে। তখনো গ্রেটা সাধারণ একটা মেয়ে। সে বছরের জুন মাসে গ্রেটা যখন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খোলে, তখনো কিন্তু বোঝার উপায় নেই, গ্রেটার মধ্যে কী আগুন সুপ্ত হয়ে আছে। কারণ, ১৫ বছরের সাধারণ একটা মেয়ের মতো গ্রেটা তখন তার প্রিয় কুকুর রক্সির ছবিই পোস্ট করে। নানা ভঙ্গিতে তোলা রক্সির ছবি। তারপরই কী থেকে কী ঘটে গেল, গ্রেটার মনে হলো, শুধু ‘স্যাড’ হয়ে বসে থাকলেই হবে না, একাই প্রতিবাদ জানাতে হবে। এরপরই সে এক শুক্রবার স্কুল বাদ দিয়ে গিয়ে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসে গেল সংসদের সামনে।
স্কুল স্ট্রাইকের সময় সে তার বন্ধুদের অনেককেই ডেকেছে। মাঝেমধ্যে কেউ সঙ্গ দিয়েছে, মাঝেমধ্যে একাই বসে ছিল। কিন্তু এই বয়সী একটা মেয়ে তো শুধু স্ট্রাইকই করবে না। ছবি তুলেছে। সেই ছবি আবার ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে পোস্ট করেছে। গ্রেটার লক্ষ্য ছিল সংবাদমাধ্যমের যত নজরে আসা যায়। গ্রেটার ছবি দেখে, খবরে শুনে আস্তে আস্তে গ্রেটার সঙ্গে অনেকেই যোগ দিতে শুরু করল। এরপর আসলে শুধু গ্রেটার বিখ্যাত হওয়ার গল্প। কিন্তু গ্রেটা তো বিখ্যাত হতে আসেনি। ভাইরাল হতে আসেনি। গ্রেটা এসেছে সবাইকে শুনতে বাধ্য করতে, যেমনটা সে বলে, ‘উই উইল মেক আওয়ার ভয়েস হার্ড।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমরা সবাই যেভাবে এগোচ্ছি, ২০৩০ সালের মধ্যেই পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা শিল্পবিপ্লবের আগের তাপমাত্রার থেকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি বেড়ে যাবে। আর ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়ে গেলে পরিবেশের, জলবায়ুর যে ক্ষতি হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হবে। আমাদের বাংলাদেশের মতো সমুদ্র উপকূলের দেশ ডুবে যাবে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে। বিশ্বব্যাপী খরা বেড়ে যাবে। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাবে। খাদ্য উৎপাদনে বিপুল ঘাটতি দেখা দেবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাবে ভয়াবহ রকম। বিজ্ঞানীরা এগুলো বলছেন। কিন্তু রাজনীতিবিদেরা এগুলো গায়েই মাখছেন না। বড়দের মধ্যেই এসব নিয়ে বেশি অসচেতনতা। গ্রেটার মতে, এর কারণ হলো বড়রা ভাবছে, যখন জলবায়ুর এই প্রভাব পড়বে, তখন তো তারা থাকবে না, থাকব আমরা ছোটরা। যারা মাত্রই জন্ম নিয়েছি। আমাদের সন্তানেরা। আমাদের সন্তানদের সন্তানেরা। অথচ এই ক্ষতি করার পেছনে আমাদের ভূমিকা নেই, সব ভূমিকা বড়দের, পূর্বের প্রজন্মের।
গ্রেটা কিন্তু আর দশটা মানুষের মতো নয়। সে প্রচণ্ড রকম ইন্ট্রোভার্ট। ডাক্তাররাই জানিয়েছেন, তার আছে অ্যাসপারজারস সিনড্রোম। এই সমস্যা থাকলে মানুষ একদম ঘরকুনো হয়ে যায়। মানুষের সঙ্গে মিশতে পারে না। কথা বলতে লজ্জা পায়। এককথায় নিজের মধ্যেই গুটিয়ে থাকে। সেই মেয়ে দিচ্ছে এমন আন্দোলন? গ্রেটা নিজে টুইট করে জানিয়েছে, তার অ্যাসপারজারস থাকাতে ভালোই হয়েছে। এ জন্যই সে এমন শক্তি নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পেরেছে।
গ্রেটা যেহেতু বিপুল একটা আন্দোলন করছে, তোমাদের মনে হতে পারে, গ্রেটা নিশ্চয় খুব জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিতে পারে। আসলে তা কিন্তু নয়। গ্রেটা কথা বলে খুব আস্তে আস্তে। বেশির ভাগ সময় তো নিচের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু তার কথাগুলো সব মাথায় গিয়ে আঘাত করে। খুব সহজ ভাষায় সে বলে ফেলে, ‘তোমরা বড়রা যা বলো, আমরা ছোটরা তা করি না। বরং তোমরা যা করো, আমরা তা-ই করি। তোমরা যেহেতু জলবায়ুকে কোনো পাত্তাই দিচ্ছ না, আমিও তোমাদের পাত্তা দিই না।’ এই বলে সে কিন্তু শুক্রবার স্কুলে যাওয়া বাদ দিয়ে দিয়েছে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরেই গ্রেটা যোগ দেয় জাতিসংঘের ক্লাইমেট চেঞ্জ কনফারেন্সে, পোল্যান্ডে। সেখানে গিয়ে সে বলে, আমাদের তো প্রথমে মানতে হবে যে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে। তারপর সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
এরপর এ বছর ১৫ মার্চ গ্রেটা ডাক দেয়, শুক্রবার স্কুল থেকে বেরিয়ে আসতে, রাস্তায় নেমে দাবি জানাতে যে পৃথিবীকে আমাদের বাসযোগ্য করে রাখতে তোমরা বড়রা এখনই কিছু একটা করো। কতটি দেশে ছেলেমেয়েরা বেরিয়ে এসেছিল, জানো? ১২৩টা দেশে! দেড় কোটির বেশি ছেলেমেয়ে শুক্রবার স্কুল থেকে বেরিয়ে পড়ে। পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পরে গ্রেটার আন্দোলন।
তারপর এ বছরের এপ্রিলে ভ্যাটিকানে গ্রেটা যায় পোপের সঙ্গে দেখা করতে। পোপ সমর্থন জানান, এবং গ্রেটার জন্য প্রার্থনাও করেন। কিছুদিন পর গ্রেটা যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টেও বক্তৃতা দিয়েছে। ফ্রেঞ্চ পার্লামেন্টেও গিয়েছে তার কথা শোনাতে।
সবশেষে এবার তার ডাক পড়ে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে, নিউইয়র্কে গিয়ে ইয়ং ক্লাইমেট চেঞ্জ কনফারেন্সে বক্তৃতা দিতে। আগেই বলেছি, গ্রেটা তো প্লেনে চড়ে না। ইউরোপে সাধারণত চলাফেরা করে ট্রেনে। কিন্তু নিউইয়র্ক যেতে হলে পাড়ি দিতে হবে আটলান্টিক। কী আর করা, গ্রেটা সিদ্ধান্ত নেয়, নৌকায় করেই যাবে। গ্রেটাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন ক্যাপ্টেন বরিস হারমান, তাঁর সৌরবিদ্যুৎ এবং বাতাসে পাল তুলে চলা নৌকা মালিজিয়া ২ নিয়ে। পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে, কার্বন–ফ্রি নৌকায় চড়ে ১৩ দিনে গ্রেটা পাড়ি দেয় আটলান্টিক। সঙ্গে তার বাবাসহ আরও তিনজন ছিলেন।
নিউইয়র্কে গ্রেটা পৌঁছায় ২৮ আগস্ট ২০১৯। এরপর থেকেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। আগে থেকেই যারা গ্রেটার ফ্রাইডেস ফর ফিউচার আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল, তাদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রটেস্টে যোগ দিচ্ছে। একদিন তো হোয়াইট হাউসের সামনেও আন্দোলন করে এসেছে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিতে হচ্ছে, টক শোতে অংশ নিতে হচ্ছে। এর মধ্যেই ওয়াশিংটনে গিয়ে দেখা করে এসেছে বারাক ওবামার সঙ্গেও। বারাক ওবামা থুনবার্গের সঙ্গে দেখা করার একটা ভিডিও–ও ছেড়েছেন ইউটিউবে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওবামা গ্রেটার সঙ্গে খুব আনন্দের সময় কাটাচ্ছেন। গ্রেটাকে নিয়ে ওবামা টুইট করেছেন, ‘Just 16, @GretaThunberg is already one of our planet’s greatest advocates।’
ওবামার সঙ্গে দেখা করে গ্রেটা গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে, একটা শুনানিতে অংশ নিতে, যেখানে কংগ্রেসম্যান-উইম্যানরা তাকে জেরা করবে। শুনানিতে নিয়ম হলো, তুমি যে বিষয়ে কথা বলবে, সেটা নিয়ে প্রথমে একটা স্টেটমেন্ট দিতে হবে। গ্রেটার স্টেটমেন্ট দিতে এক মিনিটও লাগেনি। সে শুধু জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ২০১৮ সালের রিপোর্টটা উপস্থাপন করে বলেছে, আমার কথা তোমাদের শুনতে হবে না, তোমরা বরং সায়েন্টিস্টদের কথা শোনো।
এর পরদিন ছিল শুক্রবার। আগে থেকেই ঘোষণা ছিল, এদিন সারা পৃথিবীতে প্রটেস্ট করতে হবে। এই প্রটেস্টে অংশ নিয়েছে ১৫৬টা দেশের প্রায় সব বড় শহরের মানুষ। গ্রেটা যোগ দিয়েছিল নিউইয়র্কে। কত মানুষ এই প্রটেস্টে যোগ দিয়েছে, তার অফিশিয়াল হিসাব এখনো জানা যায়নি। তবে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আন্দোলন এটাই ছিল বলে মনে করছেন সবাই। তবে ওই দিনই শেষ নয়, এই সপ্তাহজুড়েই পালিত হচ্ছে #WeekforFuture। ২০-২৭ সেপ্টেম্বর চলে এই সাপ্তাহিক আন্দোলন।
এর পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভাষণ দেয় গ্রেটা। গ্রেটা এখন প্ল্যান করেছে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো যাবে। সেখান থেকে ডিসেম্বরে যোগ দেবে চিলির সান্তিয়াগোতে হতে যাওয়া জাতিসংঘের কনফারেন্স অন ক্লাইমেট চেঞ্জে (কোপ ২৫)। মানুষের কাছে গিয়ে বলবে জলবায়ু পরিবর্তনের কথা। এখনই যে কিছু করতে হবে! সবাইকে বোঝাতে পারলে, গ্রেটা বিশ্বাস করে, সবাই ঝাঁপিয়ে পড়বে। তারপর সে আবারও ফিরে যাবে স্কুলে।
ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য গ্রেটার এই দরদ, গ্রেটার এই উদ্যোগের জন্য তাকে এ বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্যও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, কে জানে, হয়তো এবার নোবেল পেয়ে ২০১৪ সালে করা ১৭ বছর বয়সে নোবেল পাওয়া মালালার রেকর্ড ভেঙে ফেলবে ১৬ বছরের গ্রেটা! এর মধ্যে ২০১৯ সালের টাইমস–এর ১০০ বিশ্বব্যক্তিত্বের একজন নির্বাচিত হয়েছে গ্রেটা থুনবার্গ।
গ্রেটা তারপর থেকে প্রতি শুক্রবার এই প্রতিবাদ চালিয়ে যায়। অনেকেই যোগ দেয় গ্রেটার সঙ্গে। সেখান থেকেই জন্ম নেয় ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ আন্দোলন। এই আন্দোলনের সবকিছুর মূল কেন্দ্র এখন একটা ওয়েবসাইট। fridaysforfuture.org। এই সাইটে পৃথিবীর নানা প্রান্তে নানাজন একসঙ্গে হয়ে আন্দোলন করে। আন্দোলনের রিপোর্ট তুলে দেয় এই ওয়েবসাইটে। চাইলে তুমিও এমন একটা আন্দোলন গড়ে তুলতে পারো বন্ধুদের নিয়ে, তোমার আশপাশে কোথাও। একটা প্ল্যাকার্ড নিয়েই দাঁড়িয়ে যেতে পারো। শোনাতে পারো তোমার ভয়েসও। আনন্দের খবর হলো, বাংলাদেশ থেকে এর মধ্যেই অনেকে সাড়া দিয়েছে। যোগ দিয়েছে এই আন্দোলনে। এই লেখার সময় ঢুঁ মেরে দেখলাম, ওই ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ৬৯টা আলাদা আন্দোলনের তথ্য নিবন্ধিত হয়েছে, এই আন্দোলন শুধু ঢাকাতেই নয়, ঠাকুরগাঁও, মেহেরপুর, জামালপুর বা সাতক্ষীরার শ্যামনগরেও হয়েছে।
এখনই শেষ সুযোগ, পৃথিবীকে আমাদের বাসযোগ্য রাখার। নাহয় হঠাৎ দেখা যাবে, মহাবিলুপ্তি শুরু হয়ে গেছে। এর আগে এক মহাবিলুপ্তিতে হারিয়ে গেছে ডাইনোসরের মতো অতিকায় প্রাণী। মানুষের সামনের এই বিপর্যয় ঠেকাতে তাই আমাদের প্রজন্মকেই এগিয়ে আসতে হবে। কী করতে হবে, তার সুন্দর একটা ফর্মুলা বের করেছে গ্রেটা। প্রটেক্ট, রিস্টোর, ফান্ড। তিন শব্দের ফর্মুলা।
প্রটেক্ট—বাঁচাতে হবে প্রাকৃতিক পরিবেশ। রিস্টোর—ইতিমধ্যে ধ্বংস করে ফেলা, পৃথিবীর বারোটা বাজানো থেকে আগের অবস্থায় ফিরতে লাগাতে হবে অনেক অনেক গাছ। এবং ফান্ড—পরিবেশকে ক্ষতি করে, এমন যেকোনো উদ্যোগকে ফান্ড করা বন্ধ করতে হবে।
আজ থেকে শুরু হোক প্রতিবাদ। বড়দের শুনতেই হবে আমাদের কথা। কারণ, ওই যে, সামনের পৃথিবীতে আমরাই থাকব।