অ্যাকুরিয়ামের নানা মাছ

অ্যাকুরিয়ামে অনেক রকমের মাছ রাখা যায়। চলো জেনে নিই কয়েকটি মাছের কথা।

গোল্ডফিশ

যাদের বাসায় অ্যাকুরিয়াম নেই, তারাও চেনে এই মাছটিকে। বলা যায়, গোল্ডফিশ অ্যাকুয়ারিয়ামের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাছ। বাজারে নানা রকমের গোল্ডফিশ পাওয়া যায়। প্রজাতি ও আকারভেদে গোল্ডফিশের জোড়া ৫০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা।

অ্যারোয়ানা ফিশ

অ্যারোয়ানা লম্বায় অনেক বড় হয়। খুব তাড়াতাড়ি বড় হয় মাছটি। তবে তার জন্য ভালোভাবে যত্ন করা প্রয়োজন। অ্যারোয়ানার জোড়া ৩ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।

কচ্ছপ

অ্যাকুরিয়ামে কচ্ছপও রাখা যায়। তবে কচ্ছপ অনেক সময় অন্য মাছ খেয়ে ফেলে। এ জন্য কচ্ছপের সঙ্গে মাছ না রাখাই ভালো। থাই কচ্ছপের জোড়া ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।

অস্কার ফিশ

অস্কার সাধারণত সাদা ও কালো রঙের হয়। তার শরীরে অনেক ছোপ ছোপ রং থাকে। এ মাছের জোড়া ৪০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এ মাছের সঙ্গে ব্রাজিরে ফুটবলার অস্কারের কো মিল খুঁজতে যেয়ো না আবার।!

গাপ্পি

অ্যাকুরিয়ামপ্রেমীদের কাছে গাপ্পি বেশ জনপ্রিয় একটি মাছ। ছোট এ মাছটির প্রধান সৌন্দর্য লেজে। নানা রঙের লেজ হয় এ মাছের। গাপ্পির জোড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকা। তেমন কোনো ঝামেলা ছাড়াই গাপ্পি বেশ সহজেই রাখা যায় অ্যাকুরিয়ামে।

অ্যাঞ্জেল ফিশ

গম্ভীর এই মাছটি দেখতে রূপচাঁদা মাছের মতো। এ মাছের গায়ে কাঁটা থাকে। তবে সে কারও ক্ষতি করে না। অ্যাঞ্জেলের জোড়া ২০০ থেকে ৫০০ টাকা।

ফ্লাওয়ারহর্ন ফিশ

এ মাছের গায়ে ফুলের মতো অনেক দাগ থাকে। এ জন্য একে বলা হয় ফ্লাওয়ারহর্ন। মাছটি খুবই সুন্দর। তবে অ্যাকুরিয়ামে রাখতে হলে সঙ্গে অন্য কোনো মাছ রাখা যাবে না। অন্য কোনো মাছ রাখলে ফ্লাওয়ারহর্ন তাকে মেরে ফেলবে। শুধু তা–ই নয়, একটি ফ্লাওয়ারহর্ন অন্য একটি ফ্লাওয়ারহর্নের সঙ্গেও রাখা যায় না। অর্থাৎ ফ্লাওয়ারহর্ন রাখতে চাইলে একটি অ্যাকুরিয়াম বা জারে শুধু একটি মাছ আছে, তা দেখার মানসিকতা রাখতে হবে। এ মাছটির দাম ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা।

টাইগার শার্ক

খুব রঙিন না হলেও র্দীর্ঘদিন বাচেঁ টাইগার শার্ক। পানিতে অনেক জোরে সাঁতার কাটে বলে অক্সিজেন তৈরি করে, যা অন্য মাছের জন্য উপকারী। এ মাছের জোড়া ৮০ থেকে ১৬০ টাকা।

মলি

মলিও গাপ্পির মতো ছোট আকৃতির একটি মাছ। কালো, সাদা, লাল ইত্যাদি রঙের মলি পাওয়া যায়। আকৃতিভেদে এ মাছের জোড়া ৮০ থেকে ১৫০ টাকা।

লেখক: শিক্ষার্থী, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকা।