২০০৬ সালে ‘বেইজি’ নামের এক প্রজাতির ডলফিনের শেষ সদস্য মারা গেছে চীনের ইয়াংঝু নদীতে। বিলুপ্ত সেই প্রজাতির ডলফিনের মরদেহ ভেসে এল কক্সবাজারে। কোত্থেকে এল? কক্সবাজার মেরিন অ্যাকুয়ারিয়ামের জারে পাওয়া গেল বিরল দুইটি রেড হ্যান্ড ফিশ। এগুলোই বা এল কোথা থেকে? বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সিজিএস শ্যামল বাংলা পেট্রল ভেসেল ছিন্ন ভিন্ন করে দিল বুদ্ধিমান প্রাণী অক্টোপাস। যার আটটি শুঁড়ে আটটি মস্তিষ্ক। এছাড়া আরেকটি কেন্দ্রীয় মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে বাকি মস্তিষ্ককে। এই বুদ্ধিমান প্রাণী কি মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান? সমুদ্রের প্রাণী কিংবা জারে থাকা রেড হ্যান্ড ফিশ, একসঙ্গে কাজ করছে। জার থেকে সমুদ্রে এরা যোগাযোগ করছে কীভাবে?
একনজরে
বইয়ের নাম: সমুদ্র এক ধূসর সিন্দুক | লেখক: তানজিনা হোসেন | প্রকাশক: বাতিঘর | প্রচ্ছদ: সব্যসাচী মিস্ত্রি | পৃষ্ঠা: ১১২ | দাম: ২৬০ টাকা
বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে নিরীহ প্রাণীগুলো হামলা করছে পর্যটকদের ওপর। একের পর এক মানুষ মারা যাচ্ছে। কক্সবাজারে মেরিন বায়োলজিস্ট রুনা খন্দকার ও স্থানীয় সাংবাদিক অর্জুন মারমা চেষ্টা করছে এই সমস্যার কিনারা করার। তারা কি আদৌ সফল হবেন?
সায়েন্স ফিকশনে সাধারণত ঘুরে ফিরে আসে রোবট, আধুনিক প্রযুক্তি। কিন্তু তানজিনা হোসেনের লেখায় এসেছে প্রকৃতি ও জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়। নতুন ধারার সায়েন্স ফিকশন পড়তে চাইলে এই বইটি তোমার জন্য। প্রাণ ও প্রকৃতির প্রতি মানুষের নির্মম আচরণ বুঝতে পারবে এই বই থেকে। গল্পের চেয়েও অদ্ভুত বাস্তবতার সঙ্গে পরিচিয় ঘটবে এই বইটি পড়ে। তানজিনা হোসেনের সমুদ্রের ধূসর সিন্দুক তোমারর জন্য, যদি তুমি সায়েন্স ফিকশন পছন্দ করো। বইমেলায় বাতিঘর-এর স্টলে ও বাংলামোটর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনের আউটলেটে বইটি পাবে। এছাড়া অনলাইন ও অফলাইন বুকশপগুলোতেও থাকছে সায়েন্স ফিকশন সমুদ্র এক ধূসর সিন্দুক।