মাউস একদিনে কতটা পথ পাড়ি দেয়

কম্পিউটারের মাউস

কম্পিউটারে কাজ করার জন্য আমরা যে জিনিসগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি, তার একটি মাউস। প্রতিদিন মাউসটা যে কতবার কত দিকে নড়াচড়া করে, তার হিসেব নেই। তবে কম্পিউটারের মাউস টেবিলের ওপর কতটা পথ পাড়ি দিচ্ছে, তা চাইলে জানা সম্ভব। আরও সহজ করে বললে, তুমি প্রতিদিন মাউস কতটা নড়াচড়া করো, এ সময় মাউস কতটা দূরত্ব পাড়ি দেয় মিটার বা কিলোমিটার হিসেবে, তা বের করা যায়। এই হিসাব করার জন্য বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার আছে। এগুলো মাউস ও কিবোর্ডের মতো ইনপুট যন্ত্র পর্যবেক্ষণ করতে পারে। কতটা ব্যবহার হচ্ছে, কতদূর পথ পাড়ি দিচ্ছে—এসব হিসাব দেখাতে পারে এসব সফটওয়্যার।

যুক্তরাজ্যের কম্পিউটারবিজ্ঞানী ও লেখক পিটার বেন্টলি তাঁর নিজের কম্পিউটারের মাউস কতটা নড়াচড়া করে, তা জানার একটা ছোট্ট পরীক্ষা করেছেন। মাউসের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য একটা সফটওয়্যার ইনস্টল করেন তিনি। তাতে দেখা যায়, নিরবচ্ছিন্ন কাজের সময় ঘণ্টায় তাঁর মাউস ১২৩.৭৬ মিটার পথ ঘুরছে। মানে পিটার তাঁর টেবিলের ওপর মাউসটা যতবার নড়াচড়া করেছেন, তা দূরত্ব হিসেবে হিসাব করলে প্রায় ১২৩ মিটার হয়। এক সপ্তাহে দূরত্বটা দাঁড়ায় ২.৫ কিলোমিটার। এই সময়ের মধ্যে তিনি মাউসে ১০ হাজার ৬৯৫টি ক্লিক করেন। তাঁর এই হিসাব থেকে আমরা বছরের হিসাব বের করতে পারি। দূরত্বটা হবে ১৫০ কিলোমিটারেরও বেশি। ঢাকা থেকে প্রায় নেত্রকোনার সড়ক দূরত্বের সমান!

মাউসের এই দৌড়াদৌড়ির হিসেবটা তুমিও করতে পারো। মাউসট্রন (Mousetron) নামে ছোট্ট একটা সফটওয়্যার ইনস্টল করে কাজটি করা সম্ভব। ইনস্টল করাসহ বাকি কাজ কীভাবে করতে হবে, তার বিস্তারিত জানা যাবে নিচের ঠিকানায়: blacksunsoftware.com/mousotron.html।

আরও পড়ুন

এবার সতর্কতা। মাউসট্রনের মতো সফটওয়্যারগুলো তোমার মাউসের গতিবিধি ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। ফলে এখানে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বেহাত হওয়ার আশংকা থাকে। হয়তো তোমার প্রাইভেসি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। এ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ কাজ না করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। চাইলে মজা করার জন্য বা বন্ধুকে একটু চমকে দেওয়ার জন্য মাউসের ভ্রমণপথটা বের করতেই পারো। তবে মজা করতে গিয়ে যেন নিজের কম্পিউটারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।

সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস

আরও পড়ুন