ওয়াশিংটনে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণে ২০টি বিড়ালজাতীয় প্রাণীর মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রেরন ওয়াশিংটনের শেলটনে অবস্থিত ওয়াইল্ড ফেলিড অ্যাডভোকেসি সেন্টারে গত নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বার্ড ফ্লুর কারণে ২০টি বড় বিড়ালজাতীয় প্রাণী মারা গেছে। সেন্টারটির পরিচালক মার্ক ম্যাথিউস জানান, মৃত প্রাণীদের মধ্যে ছিল একটি বেঙ্গল টাইগার, যার নাম পেবলস, চারটি কুগার (হুলিগান, হলি, হার্লি, এবং হান্না ওয়াইওমিং), একটি হাফ-বেঙ্গল টাইগার টাবি, কানাডিয়ান লিনক্স চাকি ও পুচ'ব, আফ্রিকান কারাকাল ক্র্যাকল, ইউরেশিয়ান লিনক্স থাম্পার, জিওফ্রয় বিড়াল মাউস, চারটি ববক্যাট এবং পাঁচটি আফ্রিকান সার্ভাল।
ম্যাথিউস জানান, এই ভাইরাসের প্রকোপ একদমই সাধারণ নয়। সাধারণত প্রাণীরা বার্ধক্যের কারণে মারা গেলেও এবার এই মারণ ভাইরাস প্রাণঘাতী প্রভাব ফেলেছে। যদিও তিনটি বড় বাঘ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে, একটি এখনও গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।
বার্ড ফ্লু প্রথম কুগারদের মধ্যে নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গের মাধ্যমে দেখা দেয়। ২৩ নভেম্বর প্রথম কুগারটি মারা যায় এবং ১৩ ডিসেম্বর সর্বশেষ আফ্রিকান সার্ভালের মৃত্যু ঘটে। ভাইরাসটি কীভাবে কেন্দ্রে প্রবেশ করল তা নিশ্চিত নয়। এটি হয়তো বন্য পাখির মলের মাধ্যমে বা খাবারের মাধ্যমে আসতে পারে। নিরাপত্তার জন্য ৮,০০০ পাউন্ড খাবার সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রটি কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। জীবাণুমুক্ত প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ এবং কঠিন। প্রতিটি ঘর পরিষ্কার করে জৈব পদার্থ সরিয়ে তা পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিড়ালজাতীয় প্রাণী বার্ড ফ্লুতে সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। ২০২০ সালের নতুন রূপের H5N1 (এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা) ভাইরাস দ্রুত বিস্তার লাভ করেছে। ওয়াইল্ড ফেলিড অ্যাডভোকেসি সেন্টার অবহেলিত বাঘজাতীয় প্রাণীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলেও এই সংক্রমণ তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ম্যাথিউস জানান, 'এখন মনে হচ্ছে সংক্রমণ শেষ হয়েছে। আমরা শুধুমাত্র অসুস্থ প্রাণীটির সেবা করছি।'