ভয়ংকর সাইক্লোন আসছে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়। ১৩ বা ১৪ মে তা আঘাত হানতে পারে উপকূলে। কক্সবাজার এলাকা দিয়ে চলে যেতে পারে মিয়ানমারের দিকে।
এখন এর নাম কী? ইংরেজিতে ‘Cyclone Mocha’। বাংলায় উচ্চারণ কী?
সাইক্লোনের নাম বিভিন্ন দেশ দিয়ে থাকে। আমরা সিডর, আইলা, নার্গিস, বুলবুল নানা নামের সাইক্লোনের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি।
এবারের সাইক্লোনের নাম এসেছে ইয়েমেন থেকে। ‘মোখা’ নামে ওদের একটা বন্দর আছে। আর কফির দোকানে যে মোকা কফি পাওয়া যায়, ইয়েমেনের দাবি, এই বন্দরের নাম থেকে সেই কফির নামটা এসেছে। কাজেই এই সাইক্লোনের নামের উচ্চারণ ‘মোকা’ হতেই পারে। বিশেষ করে ইংরেজিভাষীরা হয়তো মোকাই বলবে। কলকাতার কাগজগুলো একে বলছে ‘মোকা’।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর এর উচ্চারণ করেছে ‘মোখা’। ইয়েমেনি শব্দ। কাজেই ‘খ’ হতেই পারে। অনলাইনে উচ্চারণ শুনলে ‘খ’-এর মতোই শোনা যায়।
এরপর যে সাইক্লোন আসবে, তার নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। আর নামটি হলো, ‘বিপর্যয়’।
মোখা বা মোকা সাইক্লোনের নাম বাংলায় প্রথম প্রথম মোচাও লেখা হয়েছে। পরে গণমাধ্যমগুলো এই ভুল থেকে সরে এসেছে।
প্রচলিত আছে, কোকাকোলা যখন প্রথম এসেছিল, তখন আমাদের অঞ্চলে একে ‘চোকাচোলা’, ‘চোকাকোলা’, ‘কোচাচোলা’, ‘কোকাচোলা’, ‘কোচাকোলা’—নানাভাবেই ডাকার চেষ্টা করা হয়েছিল। সম্ভবত এটা কৌতুক।
কিন্তু সাইক্লোন ‘মোখা’ কোনো কৌতুকের ব্যাপার নয়। খুবই গুরুতর ব্যাপার। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, মোখা সুপারসাইক্লোনে পরিণত হতে পারে।
আমরা প্রার্থনা করি, যেন সাইক্লোন মোখা ভয়ংকর না হয়ে ওঠে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কথা শুনতে হবে। নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে।
এটা দুর্বল হোক। বৃষ্টি ঝরিয়ে বাংলাদেশকে শীতল করে ক্ষতির কারণ না হয়ে চলে যাক।
তবে জলবায়ুর পরিবর্তন এখন বাস্তবতা। পৃথিবী উষ্ণতর হয়ে উঠেছে। এ ধরনের ঝড়, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, খরা, গরম, দাবানল এখন বাড়বে।
পৃথিবীর নেতাদের এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত জলবায়ুর পরিবর্তন রোধ করতে। তোমরাও আওয়াজ তোলো—জলবায়ুর পরিবর্তন রোধ করুন। আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করুন।