কিশোর আলোর ঈদ সংখ্যা আসছে, কী আছে এই সংখ্যায়
ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। ঈদের খুশিতে এরই মধ্যে স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। শিশু-কিশোরেরা ঈদের ছুটিটা এবার পেয়েছে বেশ লম্বা, প্রায় ৪০ দিন। ছুটিতে সবার নিশ্চয়ই নানারকম পরিকল্পনা আছে। কেউ বেড়াতে যাবে, কেউ কেনাকাটা করবে। কেউ ভাবছে, বই পড়বে। যে যাই করুক, সবার সঙ্গে আছে কিশোর আলো। আসছে ঈদ, আসছে কিশোর আলো ঈদ সংখ্যা। ৬ মার্চ থেকে কিশোর আলোর ঈদ সংখ্যা পাওয়া যাবে বাজারে।
ইতিমধ্যে কিশোর আলোর ঈদসংখ্যার প্রচ্ছদ উন্মোচন করা হয়েছে কিশোর আলোর ফেসবুক পেজে। প্রচ্ছদে দেখা যাচ্ছে, আকাশে চাঁদ উঠেছে, শিশু-কিশোরের মুখে হাসি। চাঁদের নিচে এই সংখ্যার শিরোনামে লেখা, ‘চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে’। প্রচ্ছদ এঁকেছেন জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট মেহেদী হক।
ঈদসংখ্যা হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই সংখ্যাটা একটু বিশেষ। তাই প্রচ্ছদ রচনা হিসেবে আছে তারকাদের ঈদস্মৃতি। এখনকার জনপ্রিয় কয়েকজন তারকার ছেলেবেলায় ঈদ কেমন কাটত, তা জানা যাবে এই লেখা থেকে। কোন কোন তারকাকে নিয়ে লেখা থাকছে, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৬ তারিখ পর্যন্ত। চমক হিসেবে থাকল।
আমাদের দেশে ঈদ মানে আনন্দ হলেও পৃথিবীর সবখানে ঈদ আনন্দ নিয়ে আসে না। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধের মুখোমুখি গাজা শহর। এই শহর ইতিমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মোজাহিদুল ইসলাম মণ্ডল লিখেছেন, ‘ধ্বংসস্তূপের মাঝে শিশুদের ঈদ যেভাবে আসে’। সেখানে বোমা হামলার ভেতরে ঈদ শিশু-কিশোরেরা ঈদ কীভাবে কাটায়, তা জানা যাবে এই লেখা থেকে।
এদিকে আবার কিআ মিম কনটেস্টের দ্বিতীয় মাস চলছে। প্রথম মাসে সেরাদের সেরা মিম কোনটি, জানতে আর বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। এর সঙ্গে আছে সেরা ১০ মিমারের মিম। তোমার পাঠানো মিমটি সেরা কিনা, জেনে নিতে পারবে।
এই সংখ্যায় বড় চমক হিসেবে আছে ১টি কিশোর উপন্যাস। লিখেছেন জনপ্রিয় লেখক ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবিব। এই উপন্যাস নিশ্চয়ই ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দেবে। যারা দাদুবাড়ি-নানুবাড়ি যাবে, তারা পথে যেতে যেতে এই উপন্যাসটা পড়তে পারবে। ট্রেনে চেপে গ্রামে গেলে ট্রেনের ঝিকিমিকির সঙ্গে উপন্যাসটা জমবে বেশ।
আছে দুইটি ছড়া, ৩টি গল্প। বুদুর দও লিখেছেন গল্পটি লিখেছেন নিয়াজ মেহেদী। ঘুড়ি লিখেছেন মাহমুদুর রহমান, ইন্ডোসমেন্ট লিখেছেন মাহবুবুল আলম কবীর। গল্পগুলো তোমার ভালো লাগবে। এই তিন গল্পের পরে আছে আব্দুল গাফফার রনির দুর্দান্ত একটি ফিচার। ফিচার বলতে ছবি তোলার গল্প। জঙ্গল ক্যাট বা বনবিড়ালের ছবি তুলেছেন তিনি। সেই বনবিড়ালের গল্প পাবে এই সংখ্যায়।
আবার আমরা তো এখন প্রচুর রিলস দেখি। একের পর এক কন্টেন্ট আমাদের সামনে আসে। আমরা প্রতি মুহূর্তে একটার পর একটা রিলস দেখার দরুণ আমাদের ভেতরে কিছু লক্ষণ আসে, যাকে বলে ব্রেন রট। ব্রেন রট নিয়ে একটি লেখা আছে। আছে মজার তথ্য আর কৌতুক। তোমাদের প্রিয় অ্যানিমে-কথন তো আছেই। অ্যানিমে-কথনের নিয়মিত লেখক প্রান্ত ঘোষ দস্তিদার লিখেছেন সবার আগে পরিবার সত্য! বুঝতেই পারছো, পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে বানানো অ্যানিমেগুলো নিয়ে লেখা হয়েছে এবারে অ্যানিমে-কথন।
নিজেকে জানো বিভাগ এই মাসে ফিরে এসেছে। এই পর্বে আছে তুমি কতটা রাগী। এই সহজ প্রশ্নটির উত্তর সহজে জানতে পারবে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে। নিজেই নিজের মূল্যায়ন করতে পারবে। এমনকি রাগের মাত্রা অনুযায়ী তোমার জন্য পরামর্শও দেওয়া আছে। সংখ্যা থেকে নিজের রাগের মাত্রা পরীক্ষা করে আমাদেরকে চিঠি লিখে জানাতে ভুলো না।
এদিকে আবার কিআ মিম কনটেস্টের দ্বিতীয় মাস চলছে। প্রথম মাসে সেরাদের সেরা মিম কোনটি, জানতে আর বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। এর সঙ্গে আছে সেরা ১০ মিমারের মিম। তোমার পাঠানো মিমটি সেরা কিনা, জেনে নিতে পারবে। মিম কন্টেস্টের দ্বিতীয় মাসে অংশ নিতে আছে মিমের টেমপ্লেট। তোমরা মিমের ক্যাপশন লিখে পাঠাতে ভুলো না।
কেমন হতে যাচ্ছে ২০২৫ সালের কে-পপ-এর দুনিয়া, জানতে তোমাকে চোখ রাখতে হবে কিশোর আলো ঈদসংখ্যার বিনোদন বিভাগে। আছে ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেরা ম্যাচগুলোর গল্প।
ধারাবাহিক কমিকস জাদুশিলা রহস্য, কেমন করে উড়তে হয় না, তাতা, অ্যাডভেঞ্চার অব ইলুবিলু তো থাকছেই। এর বাইরে আরও থাকছে দুইটি বিশেষ কমিকস। নতুন কমিকস নিয়ে তোমাদের ভালো-মন্দ প্রতিক্রিয়া জানতে চাই।
নিয়মিত বিভাগ যেমন চিঠিপত্তর, শব্দের খেলা, অরিগ্যামি, গণিতের ধাঁধা, বুদ্ধির ব্যায়াম বা কুইজ, সবই আছে এই সংখ্যায়। ৯৯তম কিআ মিটিংয়ের খবরটা আমরা ছাপিয়েছি। আছে কিছু আপডেট। উইকি লাভস ফোকলোর ছবি তোলা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার খোঁজখবর পাবে এই সংখ্যায়। তোমার তোলা ছবি নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারো।
আঁকা ছবি, এআই ব্যবহার করে বানানো ছবি, দুইই আছে এবারের সংখ্যায়। সব মিলে সংখ্যাটা কেমন লাগল, চিঠি লিখে আমাদের জানাতে ভুলো না।