দেশসেরা বাংলাবিদ অভিষেক দাশ, পেলেন ১০ লাখের মেধাবৃত্তি
‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’-এর ষষ্ঠ বর্ষের দেশসেরা বাংলাবিদ হয়েছে চট্টগ্রামের অভিষেক দাশ। শীর্ষস্থান অধিকারী এই বাংলাবিদ পেয়েছে দশ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে ঢাকার রিফা তাসনিয়া। সে পেয়েছে তিন লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। আর তৃতীয় স্থান অধিকারী চট্টগ্রামের রশ্মি তুলতুল চৌধুরী। সে পেয়েছে দুই লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। গত ১৮ এপ্রিল শুক্রবার রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ষষ্ঠ বর্ষের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’-এর ষষ্ঠ বর্ষের প্রতিযোগিতায় প্রধান বিচারক হিসেবে বাংলাবিদে ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও ভাষাবিদ তারিক মনজুর এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ত্রপা মজুমদার। অতিথি বিচারক হিসেবে বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক মহোৎসবে উপস্থিত ছিলেন। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও ভাষা বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলী পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
ইস্পাহানি মির্জাপুরের উদ্যোগ, পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় শোটি আয়োজন করা হয়। মহোৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্পাহানি লিমিটেডের ডিরেক্টর জাহিদা ইস্পাহানি, ইমাদ ইস্পাহানি ও মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইস্পাহানি টি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ওমর হান্নান এবং চ্যানেল আই ও ইস্পাহানির অন্য কর্মকর্তারা।
দেশসেরা বাংলাবিদ অভিষেক দাশ হাতে শিরোপা পাওয়ার পর বলে, ‘এই মুহুর্তে আমার অনুভুতি তিনটি শব্দ প্রকাশ করতে চাচ্ছি—অভাবনীয়, অনির্বচনীয়, অবিশ্বাস্য।’
কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বাংলা ভাষাকে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে শুরু হয় এই মেধাভিত্তিক টিভি রিয়্যালিটি শো। পুথিগত এবং শ্রেণিকক্ষের ফলাফলমুখী পড়ালেখা এবং বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করে শিক্ষাকে আনন্দময় করে তুলতে কাজ করছে ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’। ‘বাংলায় জাগো ভরপুর’ স্লোগান সামনে রেখে প্রতিবছরই শুদ্ধ বাংলার চর্চাকে নতুন প্রজন্মের কাছে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে ইস্পাহানি মির্জাপুর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
দেশজুড়ে অঞ্চলের বাছাই পরীক্ষা এবং স্টুডিও পর্বের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশব্যাপী লক্ষাধিক শিক্ষার্থী থেকে বাছাই করে নেওয়া হয় শীর্ষ প্রতিযোগীদের। মহোৎসব বেশ জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মধ্যে দিয়ে আয়োজন করা হয়। এবারের আয়োজনের একটি আকর্ষণীয় দিক ছিল প্রতিযোগীদের গান পরিবেশনা। সবাই বেশ উপভোগ করেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চূড়ান্ত পর্বের লড়াইয়ে অংশ নেওয়া ১০ জন প্রতিযোগীর প্রত্যেকে পেয়েছে একটি ল্যাপটপসহ ব্যক্তিগত লাইব্রেরি করার জন্য ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের বই ও বইয়ের আলমারি।