সাহিত্যে নোবেলের অজানা পাঁচ

১৮৯৫ সালের ২৭ নভেম্বর। আলফ্রেড নোবেল তাঁর শেষ ইচ্ছা জানালেন। নিজের পাহাড়সম সম্পত্তির বেশির ভাগ অংশ দিয়ে একটি ফান্ড তৈরি করতে চান তিনি। সেই ফান্ডের টাকা দিয়ে প্রতিবছর সাহিত্যে অসামান্য অবদান রাখার জন্য দেওয়া হবে পুরস্কার। ১৯০১ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কারের নাম নোবেল। চলো, সাহিত্যে নোবেল সম্পর্কে পাঁচটি তথ্য জেনে নিই।

১.

২০২৩ সাল পর্যন্ত ১২০ জন ভিন্ন সাহিত্যিক নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে সাত বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়নি। ১৯১৪, ১৯১৮, ১৯৩৫, ১৯৪০, ১৯৪১, ১৯৪২ ও ১৯৪৩ সালে দেওয়া হয়নি সাহিত্যে নোবেল।

২.

সাহিত্যে সাধারণত প্রতিবছর একজনকে নোবেল দেওয়া হয়। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। চারবার দুজনকে ভাগাভাগি করে দেওয়া হয়েছে সাহিত্যে নোবেল। তাঁরা হলেন ফ্রান্সের ফ্রেদেরিক মিস্ত্রাল ও স্পেনের হোসে এচেগারাই (২০০৪), ডেনমার্কের দুই সাহিত্যিক কার্ল অ্যাডলফ গিয়েলেরুপ ও হেনরিক পন্টোপ্পিদান (১৯১৭), ইসরায়েলের স্যামুয়েল ইয়োসেফ আগনোন ও জার্মানির নেলি সাক্স (১৯৬৬) এবং সুইডেনের আইচিন্ড জনসন ও হ্যারি মার্টিনসন (১৯৭৪)।

রুডইয়ার্ড কিপলিং

৩.

সাহিত্যে সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পেয়েছেন ব্রিটিশ সাহিত্যিক রুডইয়ার্ড কিপলিং। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত বই দ্য জঙ্গল বুক। ৪১ বছর বয়সে ১৯০৭ সালে তিনি নোবেল পান।

৪.

সাহিত্যে সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের ডোরিস লেসিং। ৮৮ বছর বয়সে ২০০৭ সালে তিনি নোবেল পেয়েছেন।

৫.

এখন পর্যন্ত মোট ১৭ নারী সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন। তাঁরা হলেন সুইডিশ সাহিত্যিক সেলমা লাগেরলফ (১৯০৯), ইতালীয় সাহিত্যিক গ্রাজিয়া দেলেদ্দা (১৯২৬), নরওয়েজীয় সিগ্রিড উন্ডসেট (১৯২৮), যুক্তরাষ্ট্রের পার্ল এস বাক (১৯৩৮), চিলির গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল (১৯৪৫), সুইডিশ সাহিত্যিক নেলি সাক্স (১৯৬৬), দক্ষিণ আফ্রিকার নাডিন গর্ডিমার (১৯৯১), যুক্তরাষ্ট্রের টনি মরিসন (১৯৯৩), পোল্যান্ডের ভিশ্লাভা শিম্বোর্সকা (১৯৯৬), অস্ট্রিয়ার এলফ্রিডে ইয়েলিনেক (২০০৪), ব্রিটিশ সাহিত্যিক ডোরিস লেসিং (২০০৭), জার্মানের হের্টা মুলার (২০০৯), কানাডার এলিস মুনরো (২০১৩), বেলারুশের সভেতলানা আলেক্সিয়েভিচ (২০১৫), পোল্যান্ডের ওলগা তোকারচুক (২০১৮), যুক্তরাষ্ট্রের লুইজ গ্লিক (২০২০) ও ফ্রান্সের আনি এরনো (২০২২)।