সপ্তাহে কয়টা ডিম খাওয়া ভালো
এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গবেষণায় পরস্পরবিরোধী তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথম দিকে আমরা জানতাম, বয়স্কদের প্রতিদিন ডিম খেলে কোলেস্টরেল বেড়ে যেতে পারে। এতে হৃদ্রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। পরে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষায় দেখলেন, প্রতিদিন একটা ডিম নিরাপদ। এমনকি প্রতিদিন দুইটি ডিমও চলে। কিন্তু সম্প্রতি জামায় (দ্য জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন) ডিম খাব কি না, এ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।
২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল দ্য নিউইয়র্ক টাইমস–এ এই বিষয়ে একটি লেখায় সেই সূত্রে উল্লেখ করা হয় যে সপ্তাহে প্রতিদিন অর্ধেকটি করে ডিম খেলে বা সপ্তাহে তিন-চারটি ডিম খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে (পুরো লেখাটি ইন্টারনেটে পড়ার জন্য দেখুন, https://www.nytimes.com)। তবে লেখায় এটাও উল্লেখ করা হয় যে গবেষণা তথ্যের অর্থ এই নয় যে ডিম খাওয়া একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে। কতজনের ওপর কোন অবস্থায় গবেষণা পরিচালিত হয়েছে, সে কথাও সেখানে উল্লেখ করা হয়। এটা সবাই জানেন, শিশু ও কম বয়সীদের জন্য ডিম খুব প্রয়োজন। বরং চর্বিসমৃদ্ধ মাংস কম খেলে কোলেস্টরেল জমে রক্তনালিতে ব্লক সৃষ্টির আশঙ্কা অনেক কমে।
ডিমে কোলেস্টরেলের মাত্রা বেশি থাকলেও সম্পৃক্ত চর্বি তুলনামূলক কম। তা ছাড়া ডিমে আছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান। মুরগির একটি বড় ডিমের ৭২ ক্যালরির মধ্যে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন ও প্রায় ৫ গ্রাম অসম্পৃক্ত চর্বি থাকে। ফসফরাস, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ ও ডি, বিভিন্ন বি ভিটামিন এবং আরও অনেক পুষ্টিকর উপাদানের একটি ভালো উৎস ডিম। ডিমের কুসুমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা মস্তিষ্কের বিকাশ ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন। তাই আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশু ও যুবসমাজের জন্য প্রতিদিন একটি ডিম খুব দরকার। বেশি বয়সে হয়তো সপ্তাহে একটি-দুটি ডিম খেলে চলে।