এক স্কুলপড়ুয়া মেয়ের নিশ্চিন্ত অভিযান

ই-সেকাই।

একি! শব্দটা শুনে ভুরু কুঁচকে গেল নাকি? তা অবশ্য যেতেই পারে। হাল আমলে অ্যানিমে রাজ্য দখল করে নিয়েছে এই ধারার অ্যানিমের দঙ্গল। আর সেসবের সর্বোপরি অভিজ্ঞতা যে বিশেষ সুখকর কিছু নয়, তা সচেতন ভক্ত মাত্রই জানে। এ ধরনের গল্পের একপর্যায়ে মূল চরিত্র বা চরিত্রগুলো চিরচেনা পৃথিবী থেকে হুট করে চলে যায় ভিন্ন কোনো সময়ে বা অচেনা কোনো জগতে। ব্যাপারটা ঠিক গ্রহান্তর পাড়ি দেওয়ার মতো নয়; বরং জাদুমন্ত্রের মতো। আর এই যাত্রার আছে কতই–না উপায়! তোমরা ভিনজগতে যাওয়ার কতগুলো উদ্ভট প্রক্রিয়া দেখেছ জানি না। তবে আমি কিন্তু গ্রন্থাগারে কোনো বই খুলে, শৌচাগারের কমোডে ফ্ল্যাশ হয়ে, জাদু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে, দেবতার পাল্লায় পড়ে, গুলি খেয়ে, গাড়ি চাপা পড়ে, মাথায় ফার্নিচারের আঘাত খেয়ে, ঘরের সাদামাটা দরজা খুলে, ধূমকেতুর আঘাতে, এমনকি বার্ধক্যজনিত কারণে স্বাভাবিক মৃত্যুর পরেও অ্যানিমে চরিত্রদের অবলীলায় ‘ই-সেকাই’ বা ‘ভিন্ন জগৎ’-এ যেতে দেখেছি।

ওই দেখো, কথায়–কথায় আসল কথাটাই যে বলা হলো না! যে কাহিনি ধারাটির এত দীনহীন দশা, তাতেই বানানো একখানা আস্ত অ্যানিমে নিয়ে বলতে এলাম কেন? এর পেছনে সত্যি বলতে দুটি সাধারণ কারণ আছে। প্রথমত, এই অ্যানিমেতে বড় অনায়াস একটা ব্যাপার আছে। যেমনটা তুমি পাবে ‘ওয়ান পাঞ্চ ম্যান’ কিংবা ‘মব সাইকো ১০০’ অ্যানিমের প্রধান চরিত্রগুলোর মধ্যে। তাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দেখে যাওয়া যায়। আর দ্বিতীয়ত, কাহিনির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম মারপ্যাঁচে জর্জরিত হওয়ার বালাই নেই এতে; মূলত কাহিনির চেয়ে এখানে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে অভিযানের সামগ্রিক আনন্দ। নতুন নতুন ক্ষমতা আবিষ্কারের উৎসবে সময় কখন কেটে যাবে, টেরটিও পাবে না।

বলছিলাম, বোফুরি অ্যানিমেটি নিয়ে। ই-সেকাই অ্যানিমের গতানুগতিক ধারা রক্ষা করে এই ধারাবাহিকটিরও একটি বিরাট গালভরা নাম আছে, সেই নামটা মূলত হিরাগানায়। পক্ষান্তরে বোফুরি নামটি কাঞ্জি-তে লেখা। যাদের কাছে ব্যাপারটা গোলমেলে লাগছে, তাদের জন্য আরেকটু ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে বোধ হয়। ‘হিরাগানা’, ‘কাতাকানা’ আর ‘কাঞ্জি’ জাপানিজ লেখার তিনটি ভিন্ন পদ্ধতি। হিরাগানা পদ্ধতিতে বাংলার অ, আ, ক, খ-এর মতো অক্ষরভিত্তিক লেখা সাজানো হয়। অন্যদিকে ‘কাঞ্জি’ পদ্ধতিতে একটি অক্ষর একটি গোটা শব্দকে অথবা শব্দের বেশ খানিকটা অংশকে নির্দেশ করে। তাই কাঞ্জি বা এর সঙ্গে কিঞ্চিৎ হিরাগানা মিশিয়ে লেখা জাপানিজ শব্দ হয় ছোটখাটো। অন্যদিকে কাতাকানা ব্যবহার হয় মূলত পারিভাষিক শব্দ জাপানিজে লিখতে; কিংবা বিবিধ উদ্ভিদ, বৈজ্ঞানিক নাম লিখতে, অথবা কোনো শব্দের গুরুত্ব বাড়াতেও এই ধরনের অক্ষর ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। নামের বড় অংশটা উহ্য রইল, তোমরা BOFURI (বোফুরি) নামে খুঁজলেই অনায়াসে পেয়ে যাবে এর ঠিকানা।

এই গল্প শুরু হয় একটি স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে দিয়ে। মেয়েটির নাম ‘কায়দে’। বান্ধবী ‘রিসা’র সঙ্গে ওর পরিকল্পনা থাকে একত্রে একটা অনলাইন ভার্চ্যুয়াল রিয়ালিটি গেম খেলবে। কিন্তু যথাদিনে দেখা গেল রিসা পড়ালেখা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত, কারণ সামনেই এক বিশেষ পরীক্ষা। অগত্যা এ ধরনের গেমস খেলার তেমন পূর্ব–অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও কায়দে ঢুকে পড়ল ‘নিউওয়ার্ল্ড অনলাইন’ নামের জনপ্রিয় গেমটিতে। ‘কায়দে’ শব্দটির ইংরেজি অর্থ ‘ম্যাপেল’; তোমরা কানাডার পতাকায় এই গাছের পাতা দেখেছ! মেয়েটিও এই ‘ম্যাপেল’ ছদ্মনামেই যোগ দিল খেলায়। তবে আঘাত পেতে ভীষণ ভয় হয়, তাই খেলার শুরুতে যে কয়টি ‘স্কিল-পয়েন্ট’ তাকে দেওয়া হলো, সব ঢেলে দিল নিজের প্রতিরক্ষা আর স্বাস্থ্য মজবুত করতে। নিজের ‘লাইফ’ অর্থাৎ ‘জীবনীশক্তি’ বৃদ্ধিই হলো ওর একমাত্র লক্ষ্য। যার জন্য কমিয়ে দিতে হলো বাকি সব ক্ষমতা। যেমন ওর দৌড়ের গতি হয়ে গেল অন্যদের হাঁটার থেকেও কম। তলোয়ায়ের বদলে ওর ঢাল হলো বেশি মজবুত। জাদু ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে। এমন বিদঘুটে আঙ্গিকে গঠিত চরিত্র নিয়ে রোল-প্লেইয়িং গেম খেলার কথা কোনো অভিজ্ঞ গেমার কস্মিনকালেও ভাববে না। কিন্তু কায়দে তাতে থোড়াই পরোয়া করে! ওর তো জানাই নেই এ ধরনের গেম কীভাবে খেলতে হয়। তাই ওর লক্ষ্য একটাই, আনন্দ লাভ; আর সেই সঙ্গে কীভাবে আঘাত এড়িয়ে চলা যায় চেষ্টা রাখল তাতেও।

অচেনা জগৎ, অসংখ্য অপরিচিত মানুষ, তারই ভিড়ে ম্যাপেল খুঁজে চলল অভিযান। প্রথমেই একজনকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিল কোন দিকে গেলে কিছু লড়াই করার সুযোগ পাওয়া যাবে। কাছাকাছিই সেই গন্তব্য। খুদে দানবে ঠাসা জঙ্গল। এখানে গিয়ে প্রথম লড়াইতে ম্যাপেল আবিষ্কার করল ওর জীবনীশক্তি এতই বেশি যে পাতিদানবের গুঁতোয় স্বাস্থ্যের কোনো হেরফের হয় না। একপ্রকার দাঁড়িয়ে থেকেই কিছুক্ষণের মধ্যে জয় পেয়ে গেল ও। খানিকক্ষণ লড়াই করার পর ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেল মেয়েটা। জেগে দেখে একগাদা খুদে জীব ওকে কামড়ে আঁচড়ে যাচ্ছে। ঘাবড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত তলোয়ার এলোপাতাড়ি চালাতে শুরু করল ম্যাপেল। দেখতে দেখতে ভবলীলা সাঙ্গ হলো বিচিত্র জীবগুলোর। লড়াই করে যা পয়েন্ট মিলল, সব ও ঢেলে দিল জীবনীশক্তি আরও পোক্ত করতে। আর দেখা গেল এদের পরাজিত করে বিশেষ দ্রব্যও প্রাপ্তিযোগ হচ্ছে। যেমন এক পতঙ্গকে হারিয়ে একটা আংটি পেল, যা পরলে সময়ের সঙ্গে হারিয়ে ফেলা স্বাস্থ্য উদ্ধার হয় কিছু কিছু করে। আবার কোমর বেঁধে একাই হানা দিল গহিন গুহায়। সেখানে বহুমুণ্ডু এক সর্পিল হাইড্রার কবলে পড়ে তো একেবারে নাস্তানাবুদ দশা! কোনোক্রমে প্রাণদায়ী পানীয় গিলে গিলে বিষের প্রকোপ থেকে নিজেকে বাঁচাতে বাঁচাতে একপর্যায়ে ম্যাপেল দেখল সব ধরনের বিষ থেকে সুরক্ষা গড়ে উঠেছে ওর শরীরে। তখন আর হাইড্রার ভয়াল বিষ ওর কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারল না। উল্টো ও চিবিয়ে চিবিয়ে হাইড্রাকে খেয়ে ফেলল। তখন হাইড্রার থেকে বিশেষ ক্ষমতা পেল ও। আর ওই গুহার ভয়ালতম দানব হাইড্রাকে পরাজিত করার পুরস্কারস্বরূপ গেম থেকে ও পেল বিশেষ এক সিন্দুক। আর সেখান থেকে উদ্ধার করল অনন্য বর্ম, বিশেষ ঢাল, একখানা খাপবন্দী ছোরা! এই জিনিসগুলো পরবর্তী সময়ে বহু কাজে দিয়েছে ম্যাপেলের বিচিত্র অভিযানে।

বোফুরি ধারাবাহিকে বহু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র থাকলেও মনোযোগ অধিকাংশ সময় কেড়ে রাখে ম্যাপেল। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রটি অবশ্যই ম্যাপেলের সেই বান্ধবী ‘রিসা’, যে পরবর্তী সময়ে গেমে যুক্ত হয় ‘স্যালি’ ছদ্মনামে। স্যালির সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেকগুলো মিশন পেরিয়ে যায় ম্যাপল। যেহেতু ম্যাপেলের গতি তুলনামূলক কম, তাই স্যালি নিজের চরিত্রটি সাজায় গতিশীল হিসেবে। অনেক সময়ই দেখা যায় ম্যাপেলকে পিঠে চাপিয়ে দুর্বার ছুটে চলছে স্যালি। আবার স্যালির সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে শত্রুর আঘাত সামাল দিচ্ছে ম্যাপল। পুরো গেম দুনিয়ায় এই জুটি এভাবেই বিখ্যাত হয়ে যায়। তা ছাড়া স্যালির পূর্ববর্তী নানান গেম খেলার অভিজ্ঞতা বিভিন্ন আঙ্গিকে ওদের কাজে আসে দল গঠনে, কিংবা কঠিন সব লক্ষ্য অর্জনে।

সিরিজে নারী চরিত্রের আধিক্য লক্ষণীয়, তবে ক্ষমতার ক্রমে শীর্ষ খেলোয়াড়দের বেশ কয়েকজন পুরুষ চরিত্র। নিউ ওয়ার্ল্ড অনলাইন গেমসের সবচেয়ে ক্ষমতাধর চরিত্র হচ্ছে পেইন। শক্তির ক্রমবিচারে সবার থেকে এগিয়ে আছে সে। যদিও ম্যাপেলের প্রতিরক্ষাক্ষমতা অপ্রতিরোধ্য, কিন্তু পেইনের মতো আক্রমণাত্মক সে নয়। এ ছাড়া আছে আগুনের শক্তিধারী মেয়ে ‘মি’, পুরো গেমে তার অনুসারীদের সংখ্যাই বোধ হয় সর্বাধিক। ওপরে ওপরে একাগ্র নেতা হলেও ভেতরে ভেতরে সে বেশ লাজুক। চরিত্রের এই দ্বৈততা বিশেষ করেছে তাকে।

একটি বহুমাত্রিক রোল প্লেয়িং গেম থেকে তোমরা যা যা আশা করতে পারো, এই পরাবাস্তব অ্যানিমে গেমটিতে তার অনেক কিছুই রয়েছে। যেমন বিভিন্ন স্তর বা লেভেল আছে। এক স্তরের বসকে নিকেশ করে খেলোয়াড়েরা যেতে পারে উচ্চতর স্তরে। সেখানে গিয়ে দেখে পরিবেশ পুরো ভিন্ন। বোফুরির প্রথম সিজনে গোটা তিনেক লেভেল পার হতে পারে ম্যাপেলরা। দ্বিতীয় সিজনে পেরিয়ে যায় আরও কতগুলো।

আরেকটি দিক থেকে বোফুরি অন্য অনেক ই-সেকাই অ্যানিমে থেকে আলাদা। এখানে খেলোয়াড়েরা হুড়ুত করে এসে পড়েনি, এসেছে স্বেচ্ছায়। আর চাইলে তারা লগ আউট করে ফিরে যেতে পারে নিত্যজীবনে। সেখানে ম্যাপেল আবার হয়ে যায় কায়দে। আবার স্কুলের হোমওয়ার্ক সেরে অভিভাবকদের সন্তুষ্ট রাখতে হয় রিসাকে। আবার নিত্য জীবনে গেমের প্রভাবে নিজেকে শক্তিশালী ভেবে জাদু প্রয়োগের চেষ্টা করে ম্যাপেল এবং বেশ কয়েকবার হাসির পাত্র হয়।

মজার এই অ্যানিমেটি কিন্তু সরাসরি মাঙ্গা থেকে রূপান্তরিত হয়নি। জাপানের ‘শোশেৎসুকা নি নারো’ নামক একটি গল্প লেখার ওয়েবসাইটে স্বাধীন গল্পকথক হিসেবে কাহিনিটির সূত্রপাত করেন লেখক ‘ইউমিকান’, আর এর জন্য কিছু ছবি আঁকেন চিত্রকর ‘কোইন’। গল্পধারার বিচারে একে লঘু উপন্যাস বলা চলে। জাপানে এ ধরনের সচিত্র ছোট আঙ্গিকের উপন্যাস বেশ জনপ্রিয়। পরবর্তী সময়ে ‘ফুজিমি শোবো’ প্রকাশনী লেখাটির স্বত্ব সংগ্রহ করে এবং তা প্রকাশ করতে থাকেন নিয়মিত। লঘু উপন্যাসের পাশাপাশি মাঙ্গা হিসেবেও এটি রূপান্তরের কাজে হাত দেন আঁকিয়ে ‘জিরোও ওইমোতো’। এরও অনেক পর সিরিজটির ইংরেজি স্বত্ব কেনে আমেরিকার ‘ইয়েন প্রেস’ এবং ইংরেজিতে পাঠক-পাঠিকাদের পড়ার সুযোগ করে দেয়। এযাবৎ ১২ পর্ব করে দুটি সিজনে মোট ২৪টি পর্ব মুক্তি পেয়েছে অ্যানিমেটির।

তবে বোফুরি কেন ভালো লাগবে, তা বুঝতে এর ইতিহাসে চোখ না রাখলেও চলে। সিরিজের প্রধান চমক হলো ম্যাপেলের অজেয় সব ক্ষমতাপ্রাপ্তির ঘটনাগুলো। ধরা যাক, হাঁটতে হাঁটতে টুক করে একটা খাদে পড়ে গেল ম্যাপেল। সেখান থেকে যখন উঠে এল, এমন সব ক্ষমতা সে পেয়ে গেছে, যা ওই গেম দুনিয়ায় দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তির নেই। একই সঙ্গে বিবিধ অসম্ভব ক্ষমতা ধারণ করে মহাক্ষমতাধর কিংবদন্তি সব দানবকে পরাজিত করে ধাপে ধাপে পেয়ে যায় আরও বড় কোনো ক্ষমতার স্পর্শ, যা নিয়ে গেমের ব্যবস্থাপকেরা পর্যন্ত জেরবার। প্রতিবার তারা অসম্ভব এক একটি দানব বানায় ম্যাপেলকে রুখে দিতে, কিন্তু দেখা যায় তাদের পুরোপুরি চমকে দিয়ে বিশেষ আঙ্গিকে জয় হাসিল করে নিয়েছে ম্যাপেল। তখন তাদের ফ্যাল ফ্যাল করে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। সীমাবদ্ধতা দিয়েও রোখা যায় না তাকে, চ্যালেঞ্জ ছুড়েও বিচলিত করা যায় না। ম্যাপেল যেন গেমের প্রধান বদমাশের থেকেও বেশি শক্তিধর, নিজেই হয়ে উঠছে পরাবাস্তব জগতের বৃহত্তম হুমকি!

শুধুই কি গেম ব্যবস্থাপকেরা এসব নিয়ে পেরেশান? উঁহু। জল্পনাকল্পনার জাল ছড়ায় বাকি খেলোয়াড়েরাও। প্রতি পর্বের শেষেই গেমের বিশেষ মেসেঞ্জারে দেখা যায় সতীর্থদের কথোপকথনের ঝলক। সেখানে তারা নিয়মিত ম্যাপেল আর ওর বন্ধুদের নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত। ওর উত্থান দেখে কেউ কেউ হতাশ, কেউবা শঙ্কিত, আবার কেউ অনুপ্রাণিত।

সব মিলিয়ে জমজমাট অ্যাডভেঞ্চারে ঠাসা এক আয়োজন বোফুরি। গম্ভীর আর জটিল অ্যানিমে দেখে ক্লান্ত হয়ে পড়লে এ ধরনের অনায়াস অ্যানিমের সঙ্গী হতে পারো তোমরা। এ হলো বিরাট ভূরিভোজের পর শেষ পাতে আইসক্রিমের মতো। পেট যতই ভরা থাক, দেখবে ওটুকু ঠিক পেটে চালান হয়ে গেছে! অন্তত এই ব্যস্ত সময়ে অগণিত অদেখা অ্যানিমের সমুদ্রে হাবুডুবু খেতে খেতেও আমি এর মধ্যেই বার তিনেক দেখে ফেলেছি প্রথম সিজনটি। প্রতিবারেই আনন্দ পেয়েছি। তবে হ্যাঁ, খুব বেশি আশা নিয়ে দেখতে বোসো না কিন্তু তাহলে আবার আমার ওপর রাগ হতে পারে! নিশ্চিন্ত অভিযানে বেশি আশা রাখতে নেই; শুধু পাহাড় থেকে ঝরনার মতো গড়িয়ে পড়তে হয়, বাকিটা প্রাকৃতিক নিয়ম ঠিক সামলে নেবে।