ফ্লাইওভারের ওপরে নিয়মিত বিরতিতে ফাঁক থাকে কেন?

রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের নিউ ইস্কাটন থেকে মগবাজার ওয়্যারলেস পর্যন্ত এক কিলোমিটার উড়ালসড়ক। ছবিটি নিউ ইস্কাটন এলাকা থেকে তোলা।ছবি : আবদুস সালাম

তোমরা কি খেয়াল করেছ, বড় সেতুর মাঝখানে জায়গায় জায়গায় জোড়া। মহাখালি ফ্লাইওভারে এই রকম জোড়ার মাঝখানের রবারটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই সেখানে গাড়ি চলে ধীরে। বা খেয়াল করে দেখেছ, বড় টানা স্কুলভবনের বারান্দার কোনো একটা জায়গায় জোড়া। পুরো ভবনটা দুই বা তিনভাগে ভাগ করা?

২২ অক্টোবর ২০২৪ প্রথম আলো পত্রিকার শেষের পাতায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর এক্সপ্যানশন জয়েন্টের মেরামতের কাজ করা হবে। এ জন্য ২৮ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর ২০২৪ এবং ১৩ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত মহাসড়কের ওই জায়গায় যানচলাচল ধীর হতে পারে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বড় সেতু বা বড় ফ্লাইওভার বা বড় ভবন অভিন্ন কাঠামো না বানিয়ে খণ্ড খণ্ড করে বানানো হয় কেন? আর এই রকম দুই খণ্ডের মাঝখানে ফাঁক রাখা হয় কেন? সেতুর মাঝখানে রাস্তায় এই রকম ফাঁকে গাড়ি ঝাঁকি খায়, শব্দ হয়, তাহলে এই ফাঁক না রাখলে কি চলত না?

এই ফাঁক রাখা হয় সেই কারণে, যে কারণে রেললাইনের দুই পাতের মধ্যে ফাঁক রাখা হয়।

রোদে, চাকার ঘর্ষণে, গরমের কালে লোহার পাত আয়তনে বাড়ে। শীতে কমে। যখন লোহার পাত আয়তনে বাড়ে, তখন যদি দুই পাতের মধ্যে ফাঁক রাখা না হয়, তাহলে রেললাইন বেঁকে যাবে। তেমনি সেতুর কংক্রিটের পাতও শীতে-গরমে, তাপমাত্রার হ্রাসবৃদ্ধির কারণে ছোট বা বড় হয়। সে জন্য সড়কে, সড়কসেতুতে, ভবনে দুই অংশের মধ্যে ফাঁক রাখা হয়। এগুলোকে বলে এক্সপ্যানশন জয়েন্ট।

সেতুতে, সড়কে এই ফাঁক বন্ধ রেখে যান চলাচল মসৃণ রাখতেও ব্যবস্থা আছে।

আরও পড়ুন