পুরোনো তথ্য থেকে নতুন করে কিছু আবিষ্কার করা বিজ্ঞানে খুব স্বাভাবিক এক বিষয়। এই যেমন, ব্রাজিলের আররাকুয়ারা শহরে প্রায় চল্লিশ বছর আগে পাওয়া গিয়েছিল অজানা প্রাণীর পায়ের ছাপ। এই পায়ের ছাপগুলো আবার বহু বহু বছর আগের। সে সময় অবশ্য বিজ্ঞানীরা জানতেন, ছাপগুলো ডাইনোসরের। সেই ছাপ নিয়ে গবেষণা করে নতুন তথ্য বের করেছেন বিজ্ঞানীরা। দেখা গেছে, নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের। ডাইনোসর নিয়ে বহু খোঁজাখুঁজি হয়েছে। বহু গবেষণা হয়েছে। তবে এই প্রজাতিটি একদমই নতুন। আগে কখনো এর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ডাইনোসরের পায়ের ছাপগুলো ১৯৮০-র দশকে খুঁজে পেয়েছিলেন একজন ইতালীয় পুরোহিত এবং একজন পেলিএন্টোলজিস্ট। ডাইনোসর নিয়ে গবেষণা করেন যিনি, তাঁকে বলে পেলিএন্টোলজিস্ট। তাঁরা গবেষণার জন্য ১৯৮৪ সালে ব্রাজিলের আর্থ সায়েন্স যাদুঘরে তাঁদের খুজে পাওয়া ছাপ ও তথ্য দান করেন। এরপর অনেক দিন চলে গেছে। এখন যাদুঘরের বিজ্ঞানীরা টের পেয়েছেন, মানুষের রেকর্ডে থাকা অন্য কোনো ডাইনোসরের সঙ্গে এই ডাইনোসরের পায়ের ছাপ মেলে না৷
মরুভূমিতে বাস করত
মাংসাশী প্রাণী, শুধু মাংস খেয়ে বেঁচে থাকত
২ থেকে ৩ ফুট লম্বা
সর্বশেষ খুঁজে পাওয়া ডাইনোসরের প্রজাতি
গবেষককেরা মনে করেন, ডাইনোসরের নতুন প্রজাতি খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। যার নাম ফারলোউইচনাস র্যাপিডাস। এই প্রজাতির ডাইনোরগুলো ছিল আকারে বেশ ছোট। দ্রুত চলাফেরা করতে পারত। কিছু ডাইনোসর তৃণভোজি, কিছু ডাইনোসর মাংসাশী হয়। ফারলোউইচনাস র্যাপিডাস প্রজাতির ডাইনোসর পুরোপুরি মাংসাশী। শুধু মাংস খেয়েই বেঁচে থাকত। প্রাথমিক ক্রিটেসিয়াস যুগে মরুভূমিতে বাস করত এই প্রজাতি। প্রাথমিক ক্রিটেসিয়াস যুগ হলো ১০ থেকে ১৪.৫ কোটি বছর আগের সময়কাল।
ব্রাজিলের ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা এই আবিষ্কার নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ‘পায়ের ছাপের মধ্যে বড় দূরত্ব পাওয়া গেছে। যা থেকে অনুমান করা যায়, এটি খুব দ্রুতগতিতে দৌঁড়াত। প্রাচীনকালে ছোট পাহাড় বা টিলায় ছুটে বেড়াত এরা।’ পায়ের ছাপগুলো বেশ দূরে দূরে ছিল। এভাবে গবেষকেরা অনুমান করেছেন, এই ডাইনোসর মরুভূমিতে থাকা উঁচু টিলার ওপরে খুব দ্রুত দৌড়াতে পারত।
তাই এখন কারও হাতে থাকা তথ্য নতুন কোনো ব্যাখ্যা না দিতে পারলেও, পরে এই তথ্য থেকে নতুন আবিষ্কার হবে কি না, কে বলতে পারে!