বাসার সুইচবোর্ডগুলো মলিন হয়ে পড়ে আছে দেখে ভাবলাম, এগুলোকে রঙিন করে তুলি। যেই ভাবা, সেই কাজ। কাজে নেমে পড়লাম। ‘মিশন সুইচবোর্ড’ চালু হলো।
তিনটি সুইচ বোর্ডের পেছনেই আলাদা আলাদা গল্প আছে। প্রথম সুইচবোর্ডের (যেটি থেকে গাছপালা বের হয়েছে) গল্পটি হলো, মলিন, একা সুইচবোর্ডটির কাছে কখনো কেউ আসে না। তাই তার মনে অনেক দুঃখ ছিল। একদিন সে তার গাছবন্ধুকে বলল, তুমি তোমার সব সৌন্দর্য দিয়ে আমাকে এমন ভাবে সাজিয়ে তোলো, যাতে সবাই আমাকে দেখে অবাক হয়ে যায়। গাছবন্ধু তাকে ঠিক সেভাবেই সুন্দর করে সাজিয়ে দিল। এমনকি সুন্দর দেখতে একটি দোলনাও বানিয়ে ফুল দিয়ে সাজিয়ে দিল। এখন সুইচবোর্ডটি শুধু অপেক্ষা করছে, কখন কেউ এসে তার দোলনায় ঝুলবে এবং তার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবে।
দ্বিতীয় সুইচবোর্ডটির (প্রজাপতি যেটিকে নিয়ে যাচ্ছে) গল্প: এই সুইচ বোর্ডটিতে অনেক সুন্দর একটি বাগান তৈরি হয়েছে। একটি প্রজাপতির সেটি দেখে ইচ্ছা হলো, সব ফুলের মধুগুলো নিয়ে নিতে। কিন্তু তাতে তো অনেক সময় লাগবে। তাই সে ভাবল, পুরো বাগান যদি সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যায়, তাহলে অনেক ভালো হবে। যেই ভাবা, সেই কাজ। প্রজাপতিটি তখন তার পিঠে পুরো সুইচবোর্ডের বাগানটি তুলে নিয়ে চলে যায়।
তৃতীয় সুইচবোর্ডের (দুটি স্পেসশিপের লড়াই) গল্প: পৃথিবী থেকে সব প্রাণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। পুনরায় পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন উদ্ভিদের। কিন্তু আর একটিমাত্র উদ্ভিদই টিকে রয়েছে। আর টিকে রয়েছে দুটি স্পেসশিপ। এই দুটি স্পেসশিপের মধ্যে যেটি টিকে থাকতে পারবে এবং জয়ী হবে, সেই স্পেসশিপটি শেষ উদ্ভিদকে নিয়ে পুনরায় পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তুলবে এবং পুরো পৃথিবীকে শাসন করবে। তাই তুমুল লড়াই চলছে জয়ী হওয়ার জন্য এবং পৃথিবীকে শাসন করার জন্য দুটি স্পেসশিপের মধ্যে। ফলাফল? কেউ জানে না। হতে পারে, কোনো একটি স্পেসশিপ জয়ী হয়ে পৃথিবীকে পুনরায় বাসযোগ্য করে তুলবে কিংবা হতে পারে, দুটি স্পেসশিপই ধ্বংস হয়ে যাবে। হতে পারে পৃথিবী নামের গ্রহেরও সমাপ্তি এর মধ্য দিয়ে ঘটে যাবে।
আপাতত এই তিনটি সুইচবোর্ডে রং করা হয়েছে। বাসার বাকিগুলো এখনো বাকি আছে। কিন্তু সেগুলোতে আমি কী কী ধরনের প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে রং করতে পারি, সে বিষয়ে কোনো কিছু মাথায় আসছে না। তোমরা কি আমাকে একটু সাহায্য করবে? নতুন কয়েক ধরনের ডিজাইনের কথা আমাকে জানালে দারুণ হতো। নতুন কয়েক ধরনের ডিজাইন এবং সেই সঙ্গে এগুলো কেমন হয়েছে, তা আমাকে তোমরা সবাই জানিয়ো কিন্তু!
দশম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা