১ অক্টোবর দুপুর থেকে কিশোর আলো কার্যালয়ের সপ্তম তলায় ঘুরতে দেখা গেলে একদল শিশু-কিশোরকে। চারপাশে উৎসব উৎসব ব্যাপার। কেউ কম্পিউটারের সামনে উঁকিঝুঁকি মারছে, কেউ নেড়েচেড়ে দেখছে কিআর পুরোনো সংখ্যা। একদল আবার অপেক্ষা করছে গানের জন্য। একটু পরই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ঋতুরাজ গান গাইবেন। কিশোর আলোর স্বেছাসেবক, পাঠক, লেখক, আঁকিয়ে সবাই আসছে ধীরে ধীরে।
সবাই সেজেগুজে কিআ কার্যালয়ে এসেছিল কিশোর আলোর নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করতে। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই গমগম করছিল চারদিক। ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’ গান দিয়ে বেলা সাড়ে তিনটায় অনুষ্ঠান শুরু হয় ঋতুরাজের পরিবেশনা। একটু আগেই গমগম করা চারপাশ সুরের জাদুতে হয়ে গেল নীরব। টানা এক ঘণ্টা মুগ্ধ হয়ে গান শুনল সবাই। তখনো আরও অনেক আয়োজন বাকি।
একই ভবনের দশম তলায় আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল কেকসহ নানা আয়োজন। সপ্তম তলায় গান শোনা শেষে ঋতুরাজকে সঙ্গে করেই সবাই চলে আসে দশম তলায়। সবাই মিলে কেক কেটে শুরু হয় অনুষ্ঠানের আরেক পর্ব।
কিশোর আলোর নবম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কিশোর আলোর লেখকেরা। ছড়াকার রোমেন রায়হান, শেখ সালাহ্উদ্দীন আর অয়ন-জিমি সিরিজের লেখক ইসমাইল আরমান একে একে বললেন শিশুদের জন্য তাঁদের লেখার আনন্দের কথা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কবি সাজ্জাদ শরিফ, ছড়াকার আখতার হুসেন, গীতিকার কবির বকুল ও প্রথম আলোর নিউ ইনিশিয়েটিভ প্রধান পল্লব মোহাইমেন।
ময়মনসিংহের কলসিন্দুরে নারী ফুটবলারদের সঙ্গে কিআ সম্পাদক আনিসুল হক একই দিনে কিশোর আলোর জন্মদিন উদ্যাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে দেখানো হয় সেখানকার ভিডিওচিত্র। ভিডিও শেষে শুরু হয় খাওয়াদাওয়া পর্ব। এর মধ্যেই কলসিন্দুর থেকে মুঠোফোন কলের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন আনিসুল হক। শুভেচ্ছা জানান সবাইকে।
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসেছিল কিশোর আলোর কার্টুনিস্টরাও। নিয়মিত কার্টুনিস্ট রাকিব রাজ্জাক ও নাইমুর রহমান শোনান কিশোর আলোর সঙ্গে তাঁদের পথচলার গল্প। নতুন-পুরোনো স্বেচ্ছাসেবকেরাও শোনায় ৯ বছরের নানা অভিজ্ঞতা। কিশোর আলোর প্রথম দিন থেকেই এর সঙ্গে আছেন কিআর সহকারী সম্পাদক আদনান মুকিত ও পাভেল মহিতুল আলম। পাঠক ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে নিয়ে সামনের দিনগুলো আরও রঙিন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন আদনান মুকিত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কিশোর আলোর সহকারী সম্পাদক পাভেল মহিতুল আলম।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নন্দিতা এসেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। সবার অনুরোধে গেয়ে শোনান ‘দোল দোল দোল দিয়েছে’ গানটি। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে গান, আবৃত্তি ও ভেন্ট্রিকুলিজম পরিবেশন করে পাঠকেরা।