নভেম্বরের ১ তারিখে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আড়াই শ দিন পূর্ণ হলো। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কতসংখ্যক সাধারণ মানুষ মারা গেছে, তার হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। কোনো কোনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, এই সংখ্যা ১০ হাজার। আবার কেউ বলছে, এই সংখ্যা আসলে আরও বেশি। সব ছাপিয়ে একটি প্রশ্ন এখন জোরালো হয়ে উঠেছে। সেটা হলো, এই যুদ্ধ শেষ হবে কবে? এই প্রশ্ন যেমন উঠছে, তেমনি প্রশ্ন উঠছে, এই যুদ্ধ কি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে বা এই যুদ্ধ কি পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নেবে?
যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে অনেক দেশ রাশিয়া থেকে ঠিকঠাক জ্বালানি আমদানি করতে পারছে না। আবার ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানি কঠিন হয়ে পড়েছে যুদ্ধের কারণে।
যুদ্ধের শেষ কবে, এই আলোচনায় যাওয়ার আগে যুদ্ধের ভয়াবহ রূপ নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। এই যুদ্ধের একপর্যায়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি তাঁর সর্বশক্তি প্রয়োগ করবেন এই যুদ্ধে। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। তবে যাঁরা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, তাঁরা বলছেন, পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পথে হাঁটবেন না। এমনকি পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, পুতিন এ পথে হাঁটবেন না। আসলেই কি তা–ই?
পশ্চিমা দেশগুলো যদি মনে করেই থাকে, পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন না, তাহলে ইউরোপে পারমাণবিক অস্ত্র ঠেকিয়ে দেওয়ার মহড়া করল কেন ন্যাটো? যদিও ন্যাটোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা তাদের নিয়মিত মহড়ার অংশ; কিন্তু সেটা কতটা বিশ্বাসযোগ্য?
বিশ্বাস-অবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন করার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। সেটা হলো, অক্টোবরের শেষে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা দপ্তরের বিবৃতিতে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডার ইন চিফ ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বের আওতায় স্থল, নৌ ও আকাশপথে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দায়িত্বে থাকা বাহিনীগুলোর মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়ায় ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। রাশিয়াও দাবি করেছে, এটা নিয়মিত মহড়ার অংশ। দুই পক্ষ যদি যুদ্ধ থামাতে চায়, তাহলে মহড়া কেন করতে হবে, বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া?
আবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের হুমকি আসার পরই ন্যাটোও পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেছে, রাশিয়া যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে পশ্চিমা দেশগুলো সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে। সত্যি সত্যি যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে যুদ্ধ আসলে কতটা ভয়াবহ রূপ নেবে, সেটা খুব সহজেই অনুমান করা যায়। কারণ, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধেই পুরো বিশ্বের যে হাল হয়েছে, তা যে আরও শোচনীয় হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
যুদ্ধের শুরুর দিকে রাশিয়া যেভাবে অগ্রসর হচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল, খুব অল্প দিনেই হয়তো ইউক্রেনের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলবে রুশ বাহিনী। কিন্তু মাঝে এসে অবস্থান বদল করে রুশ বাহিনী। রাজধানী কিয়েভের কাছাকাছি গিয়েও কৌশলগত কারণে সেখান থেকে সরে যায়, সীমান্ত এলাকাগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপর বেশি জোর দেয়। এরপর গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেন চারটি অঞ্চল জাপোরিঝঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে রুশ ফেডারেশনে যুক্ত করার ঘোষণা দেন পুতিন। এই ঘোষণার পরপরই ইউক্রেনের বাহিনী পাল্টা হামলা জোরদার করে এবং রাশিয়ার দখলে যাওয়া একের পর এলাকা পুনরুদ্ধার করতে থাকে।
মাঝখানে একটি ঘটনা ঘটে যায়। সেটা হলো, ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগের একমাত্র সেতু কার্চ ব্রিজে ৮ অক্টোবর হামলার ঘটনা ঘটে। এই সেতু রাশিয়ার জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি মান–সম্মানেরও বটে। কারণ, ইউরোপের সবচেয়ে বড় সেতু এটি। ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু তৈরির সময় রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সব দিক থেকে এই সেতু নিরাপদ। কিন্তু নিরাপত্তার সেই দেয়াল ভেদ করে সেতুতে হামলার ঘটনা ঘটে। ইউক্রেন সরাসরি এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু সেতুতে বিস্ফোরণের পর এ নিয়ে বেশ উপহাস করেন ইউক্রেন সরকারের কর্মকর্তারা।
এই বিস্ফোরণের পর রাশিয়া প্রায় ৪৮ ঘণ্টা নীরব ছিল। কিন্তু সেই নীরবতা ভেঙে যে হামলা পরে চালানো হয়, তা ছিল ইউক্রেনের যুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে ইউক্রেনের কয়েক শ স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালায় রাশিয়া। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছিল, ইউক্রেনে বৃষ্টির মতো আঘাতে হেনেছে ক্ষেপণাস্ত্র।
অক্টোবরের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্য দিয়ে নতুন একটি দিক সামনে আসে। এর আগে রাশিয়া হামলা চালাচ্ছিল এলাকা দখলের জন্য। কিন্তু অক্টোবর থেকে এখন হামলা চালানো হচ্ছে শুধু বৈদ্যুতিক স্থাপনা, পানি সরবরাহের লাইন ইত্যাদি লক্ষ্য করে।
যুদ্ধ যে নিষ্ঠুরতার চিত্র তুলে ধরে, সেই চিত্র এবারের হামলায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে। নতুন করে রাশিয়ার হামলা শুরুর ১০ দিন পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, তাঁর দেশের ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে এবারের হামলায়। ধ্বংস হয়েছে পানি সরবরাহব্যবস্থা।
ঠিক এ সময় কেন এমন হামলা হলো, এ প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। ঘটনা হলো, ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় শীত আসতে আর কয়েক দিন বাকি। দেশের তাপমাত্রা ইতিমধ্যে কমতে শুরু করেছে। নভেম্বরে সাধারণত তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে। এ সময় ভোরের দিকে তাপমাত্রা শূন্যের কোটায় নেমে আসে। আর ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা মোটামুটি শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকে। এ সময় বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে যায়। পূর্ণমাত্রার শীত যখন আসি আসি করছে, ঠিক তার আগে রুশ হামলায় ইউক্রেনের ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেল। অর্থাৎ ইউক্রেনকে চাপে ফেলতে এই পথ বেছে নিল রাশিয়া।
হামলার যে নতুন পথ রাশিয়া বেছে নিয়েছে, সে পথে হাঁটতে থাকলে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ যে শীতে কুপোকাত হবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
রাশিয়ার এই পথে হাঁটার কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁরা বলছেন, রাশিয়ার অস্ত্রের মজুত শেষ হয়ে আসছে। ফলে ইউক্রেনের ওপর চাপ বাড়াতে এ পথে হাঁটছে রাশিয়া। এটা ঠিক যে রাশিয়া আলোচনায় বসতে চাইছে। এ জন্য তোড়জোড়ও শুরু করেছে। ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে নিজেদের বলে ঘোষণা দেওয়ার পর পুতিনও বলেছেন, দ্রুত আলোচনার টেবিলে বসুন। তবে যেসব এলাকা রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, সেই সব এলাকা নিয়ে আর আলোচনা হবে না।
ইউক্রেন একসময় আলোচনায় বসতে চেয়েছিল, কিন্তু এখন আর আলোচনায় বসতে চাইছে না। আবার ইউক্রেন যখন আলোচনায় বসতে চেয়েছিল, তখন রাশিয়া আলোচনা বসতে রাজি হয়নি। ফলে নতুন করে আলোচনা হবে কি না কিংবা আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধের সমাধান আসবে কি না, সেটা বলা মুশকিল।
আবার অস্ত্রের মজুত যে কমে আসছে, সেটা শুধু অনুমান নয়। ইউক্রেনের অনেক জায়গায় অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পর্যাপ্ত না থাকায় প্রতিরোধ গড়তে পারেননি রুশ সেনারা। অনেক জায়গায় ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলার মুখে অস্ত্র ও সরঞ্জাম খুইয়েছেন তাঁরা। এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধের গতি ধরে রাখতে অস্ত্র ও সরঞ্জামের উৎপাদন বাড়ানো ও তা দ্রুত যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের হাতে পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ ছাড়া অস্ত্র ও সরঞ্জামের উৎপাদন বাড়ানো এবং যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের হাতে সেসব পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছেন পুতিন।
আবার ইউক্রেন যুদ্ধের গতি বাড়াতে তিন লাখ সেনা নতুন করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন। এর মধ্যে এক বড় অংশের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এসব সেনার অনেকেই এখনো প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাননি। এমনকি তাঁদের এখনো চিকিৎসাসামগ্রী ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট দেওয়া হয়নি। অনেকে নিজ উদ্যোগে এসব সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছেন। সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিতে অনেকেই পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পাননি। অর্থাৎ রাশিয়ার যে অস্ত্রের সংকট দেখা দিয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ইউক্রেন যে এ ক্ষেত্রে ভালো অবস্থানে, সেটাও নয়। কারণ, দেশটি অস্ত্রের জন্য এখন পুরোপুরি পশ্চিমা মিত্রদের ওপর নির্ভরশীল। তারা অস্ত্র দিলে ইউক্রেনের বাহিনী লড়াই করতে পারবে, পরিস্থিতি এখন অনেকটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেনের নেতা, সামরিক কর্মকর্তারাও এই কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। তাঁরা বলছেন, মিত্রদের কাছ থেকে অস্ত্র, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর জন্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাওয়া গেলে খুব দ্রুতই এই যুদ্ধে জয় পাওয়া সম্ভব।
কিন্তু এই যুদ্ধে কি আসলেই কোনো পক্ষের জয় পাওয়া সম্ভব? এটাই বড় প্রশ্ন। কারণ জয় তখনই আসবে, যখন এক পক্ষের পরাজয় হবে। রাশিয়া কি এই পরাজয় স্বীকার করবে? পুতিন যে পরাজয় স্বীকার করবেন না, সেটা ইতিমধ্যে স্পষ্ট। যুদ্ধের শুরুর দিকেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, দনবাস অঞ্চল মুক্ত না করা পর্যন্ত তাঁর সামরিক অভিযান চলবে। লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চল মিলে হলো দনবাস অঞ্চল। এ অঞ্চলকে আক্ষরিক অর্থে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এ অঞ্চলের অনেক এলাকা এখনো রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেই। এ ছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ইউক্রেনের বাহিনী পাল্টা হামলার জোরদার করে অনেক এলাকা ফেরত পেয়েছে।
পুতিনকে একেবারে কাবু করে ফেলতে না পারলে তিনি পিছু হটবেন না, সেটা স্পষ্ট। আবার তিনি একেবারে কাবু হলে যে পারমাণবিক অস্ত্র হাতে তুলে নেবেন না, এর কোনো নিশ্চয়তা কি আছে?
আবার ইউক্রেনের কথাই ধরা যাক। পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে যেভাবে ইউক্রেন সাহায্য পাচ্ছে, তাতেও পিছু হটার কোনো কারণ নেই। অন্যভাবে দেখলে, এই যুদ্ধ আসলে ইউক্রেনের একার নয়। পশ্চিমাদের সবার, আরও সুস্পষ্টভাবে বললে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবার যুদ্ধ এটা। কারণ, ইউক্রেন যদি এই যুদ্ধে হেরে যায়, তাহলে দুটো নজির এখানে স্থাপিত হবে। এক. একুশ শতকে এসে অস্ত্রের জোরে একটা দেশের ভূখণ্ড দখল করে নেওয়া যায়। দুই. রাশিয়া যদি ইউক্রেনের ভূখণ্ড এভাবে দখল করতে পারে, তাহলে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। কারণ, পুতিন চান, পূর্ব ইউরোপ তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকুক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রাশিয়া এই যুদ্ধে জিতে যায়, তাহলে এটা নিশ্চিত যে ইউরোপের ভূ-রাজনীতিসহ সবকিছু বদলে যাবে। বাস্তবতা হলো, ইউরোপের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশগুলো সেটা হতে দিতে চাইবে না। আবার পুতিনও হার মানবেন না। তাহলে কী হবে?
এ প্রসঙ্গে ওয়ার অ্যান্ড পানিশমেন্ট: দ্য কজেস অব ওয়ার টার্মিনেশন অ্যান্ড দ্য ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ওয়ার বইয়ের লেখক হাইন গোমেনসের বক্তব্য হলো, অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন, এক পক্ষ যদি যুদ্ধে জিতে যায়, তবে শান্তি আসার সম্ভাবনা বেশি। কিন্ত এটা আসলে সত্যি নয়। আমি যদি আপনার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াই এবং যুদ্ধে খারাপও করি, তবে এই খারাপ করার মধ্যে আমি এটা প্রত্যাশা করব যে একটা যুদ্ধক্ষেত্রে আমি খারাপ করলেও অন্যগুলোয় আমি ভালো করব। আমি আমার লক্ষ্য থেকে সরে যাব না। যদি অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটে যায়, তবে আমি হয়তো আমার কৌশল বদল করব এবং প্রত্যাশা খানিকটা কমিয়ে আনব।