সকালেই ঢাকার কিছু এলাকায় ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। কিশোর আলোর অফিস কারওয়ান বাজারের আকাশ ছিল মেঘলা। সুয্যিমামা ছুটিতে গেলেও কিআ পাঠকেরা ঠিকই সময়মতো উপস্থিত হয়েছে এবারের কিআড্ডায়। নতুন-পুরোনো কিআ পাঠকদের অংশগ্রহণে ১৮ মে বেলা তিনটায় কিআর সভাকক্ষে শুরু হয় কিশোর আলোর ৯৫তম মাসিক সভা।
সভার শুরুতেই কিআর সহকারী সম্পাদক পাভেল মহিতুল আলমের সঞ্চালনায় শুরু হয় কিশোর আলোর পাতায় ছাপানো বিজ্ঞাপন নিয়ে এক ভিন্ন রকম আলোচনা। সবার মতামত শুনে জানা গেল, কিআর পাঠকেরা শুধু গল্প-ফিচারই পড়ে না, বরং বিজ্ঞাপনও মনোযোগ দিয়ে দেখে।
এ আলোচনার মধ্যেই সভায় যুক্ত হন বিজ্ঞাপনের মানুষ তাওহিদ মিলটন। মিডিয়ায় প্রচারিত দারুণ সব বিজ্ঞাপন তৈরিতে তাঁর ভূমিকা আছে। বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিকের গ্রুপ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর তিনি। বিজ্ঞাপন নিয়ে পাঠকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে তিনি আড্ডাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলেন। এ ছাড়া কিআড্ডায় অংশগ্রহণকারী কেউ বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজ করতে চাইলে তিনি তাকে স্বাগত জানাবেন বলে ঘোষণা দেন তাওহিদ মিলটন।
বিজ্ঞাপন নিয়ে আলোচনা শেষে বড় পর্দায় অংশগ্রহণকারীরা একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উপভোগ করে। এর মূল বিষয় ছিল মায়ের প্রতি ভালোবাসা এবং জীবনে সফল হওয়ার জন্য অদম্য প্রচেষ্টা।
এরপর শুরু হয় মে মাসের কিশোর আলো নিয়ে আলোচনা। পাঠকেরা জানায়, এবার কোন গল্প তাদের ভালো লেগেছে, কী কী ভালো লাগেনি, আগামীতে কেমন লেখা চায় তারা। সম্পাদক আনিসুল হক বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা, মানুষের ভবিষ্যৎ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
সভার এ পর্যায়ে সবার সামনে আসে জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীন। উপস্থিত ছেলেমেয়েদের নানা রকম প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আড্ডা জমিয়ে তোলেন ব্যান্ডের সদস্য জিয়া, শাফিন, ইশতিয়াক ও দীপু। নিজেদের অতীত-বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথাও সবার সঙ্গে শেয়ার করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সব গান।
সভার শেষে ছিল কিআ কুইজ। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় বিজ্ঞাপন ও শিরোনামহীনময় সভার।
ছবি: ফুয়াদ কবির ও রিফাত হাসান