ড্রাগন অ্যান্ড মার্শমেলো - ২
রহস্যময় ছবি
এশিয়া সিট্রোর জনপ্রিয় কিশোর সিরিজ ‘জোয়ি অ্যান্ড সাসাফ্রাস’। জোয়ির বিড়ালের নাম সাসাফ্রাস। নিজের বিড়ালকে নিয়ে জোয়ি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ড করে। সেসব কর্মকাণ্ডই উঠে এসেছে সিরিজের প্রথম বই ‘ড্রাগন অ্যান্ড মার্শমেলো’তে। কিশোর আলোর পাঠকদের জন্য বইটি ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ করছেন কাজী আকাশ।
আমি আর সাসাফ্রাস মায়ের অফিসে ঢুকলাম। সে লাফিয়ে উঠে তাড়াতাড়ি ছবিটা কাগজের স্তূপের নিচে লুকিয়ে রাখল। তারপর একটু হাসল আমার দিকে তাকিয়ে।
‘মা! সাসাফ্রাস আমাদের উঠানে একটা পাথর পেয়েছে। ওটায় কোটি কোটি রোলি-পোলি পোকা ছিল। সেগুলো নিয়ে আমি কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন আমার গগলস ব্যবহার করলাম। অমনি চট করে বুদ্ধি খেলে গেল মাথায়। আমি পোকাগুলো নিয়ে বাগানে সার্কাস বানিয়েছি! তুমি দেখবে মা? প্লিজ?’
‘দারুণ কাজ করেছ জোয়ি! আমার গোছানোও প্রায় শেষ। দ্রুত বের হতে হবে। আমাকে আরও ৫ মিনিট সময় দিতে পারবে?’
আমি কাঁধ ঝাঁকিয়ে সম্মতি দিলাম। তারপর হেলান দিয়ে বসলাম মায়ের ডেস্কে। আর সাসাফ্রাস বসল আমার দুই পায়ের মাঝখানে। মায়ের সামনে আমি এমন অভিনয় করার চেষ্টা করলাম, যেন মা বাইরে গেলে আমার কোনো সমস্যা না হয়। কিন্তু পুরো এক সপ্তাহ তাকে ছাড়া থাকতে হবে ভেবে কষ্ট হচ্ছিল।
লুকিয়ে রাখা ছবিটার কথা ভেবে আমার কৌতূহল বাড়ছিল। মা জিনিসপত্র গোছাতে গোছাতে আমি কাগজটা এদিক–ওদিক নাড়াতে লাগলাম। ওয়াও! ওটা কী? কাগজের স্তূপের নিচে বেগুনি আলো দেখা যাচ্ছে। ওপরের কাগজগুলো একপাশে সরিয়ে রাখতেই আমি হাঁ হয়ে গেলাম। ছবিটা আমার মায়ের। অবশ্য মা যখন আমার বয়সী ছিল, তখনকার ছবি। সামনের দুটি দাঁত নেই। ফোকলা দাঁতে হাসছে মা। মাথায় একটা বেগুনি রঙের ব্যাঙ। সেটা আলোয় ঝলমল করছে। হাত থেকে ছবিটা প্রায় পড়েই যাচ্ছিল।
মা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল। ‘ওটা কী?’
আমি কাঁপা কাঁপা হাতে ছবিটা দেখালাম। বললাম, ‘এই ... ছবিটা… ব্যাঙ ... জ্বলজ্বল করছে কেন?’
মা দ্রুত ঘুড়ে দাঁড়াল। তাঁর হাতের ধাক্কায় টেবিল থেকে কিছু কাগজ পড়ে গেল মাটিতে।
‘পিপকে দেখেছ?’ জিজ্ঞেস করল মা।
পিপ? কে পিপ? কী হচ্ছে এখানে?