পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন। এভারেস্ট জয় করেছেন আগেই। জয় করেছেন পৃথিবীর সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ সাত পর্বতচূড়া (সেভেন সামিট)। এবার জয় করলেন বিপৎসংকুল কেটু। সেই জয়ের কথাই বলব এবার...
ওয়াসফিয়ার হাতে তখন উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা। পতাকা দুটো। লাল–সবুজের আনুষ্ঠানিক পতাকা আর লাল সূর্য হলুদ রঙে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা পতাকা। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার পতাকা এটা।
পতাকা উড়ছে, ওয়াসফিয়া গেয়ে যাচ্ছেন ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি...।’ ড্রোন ক্যামেরায় তা ধারণও করা হয়েছে। ওয়াসফিয়ার গলা তখন ছিল অনেকটাই বসা। চরম ঠান্ডা আর অনেক উঁচুতেই তিনি গাইছিলেন আমাদের জাতীয় সংগীত। জুলাইয়ের ২২ তারিখে পতাকা উড়িয়ে জাতীয় সংগীত গেয়েছেন পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম স্থানে, পাকিস্তানের কেটু পর্বতচূড়ায়।
কিছুদিন আগে ঢাকার এক ক্যাফেতে বসে কথা হচ্ছিল পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীনের সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, ‘আমার সঙ্গে ছিল ছোট ছোট কিছু পতাকা। আমি যখন কেটু চূড়ায়, তখন সেখানে পাকিস্তানের নারী-পুরুষ পর্বতারোহীদের একটি দলও ছিল। যখন “আমার সোনার বাংলা” গাইছিলাম, তখন তাঁরাও হাততালি দিচ্ছিলেন আর আমাদের পতাকা নাড়ছিলেন। এটা আমার ও আমার দেশের জন্য গর্বেরই কথা। আমার কেটু সামিটের জন্য সত্যিই খুব খুশি ছিলেন তাঁরা।’
কেটু। ২৮ হাজার ২৫১ ফুট (৮ হাজার ৬১১ মিটার) উচ্চতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। পাকিস্তান–আফগানিস্তান বিস্তৃত কারাকোরাম পর্বতমালার এই পর্বত উচ্চতার থেকেও এগিয়ে বিপদের দিক থেকে। কেটুকে ধরা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্বত হিসেবে। ৬৭ বছরে (১৯৫৪ থেকে ২০২১) কেটু জয় করতে পেরেছেন মাত্র ৩৭৭ জন পর্বতারোহী। মারা গেছেন ৯১ জন। কেটু সম্পর্কে একটি কথা প্রচলিত—তোমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। এ কথার সত্যতাও মেলে পরিসংখ্যানে। পাথুরে, বরফঢাকা ভয়ংকর এই পর্বতে হতাহতের হার ২৯ শতাংশ।
ওয়াসফিয়া নাজরীন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিপজ্জনক কেটু চূড়া জয় করলেন গত ২২ জুলাই। এখানেও একটা রেকর্ড আছে। এ পর্যন্ত যত দেশ কেটু জয় করেছে, সব দেশ থেকেই প্রথমে কেটুর চূড়ায় উঠেছেন পুরুষ পর্বতারোহীরা। পরবর্তী সময়ে সেসব দেশের নারীরা কেটু অভিযানে গেছেন। এখানেই ব্যতিক্রম ওয়াসফিয়া।
এভারেস্ট জয় করেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন, জয় করেছেন পৃথিবীর সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ সাত পর্বতচূড়া (সেভেন সামিট)। এবার করলেন বিপৎসংকুল কেটু। পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে যাওয়ার পরিকল্পনা কখন করলেন ওয়াসফিয়া? ‘২০১২ সালে কেটুর পোকা মাথায় ঢোকে।’ বললেন ওয়াসফিয়া। ‘তবে তখন আমি প্রস্তুত ছিলাম না। কেটুতে টেকনিক্যাল ক্লাইম্বিং অনেক বেশি। তাই নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে আগে। আর কেটু যেতে পাকিস্তানের বিশেষ অনুমতিপত্র (পারমিট) লাগে। ৫০ বছরে বাংলাদেশের কাউকে কেটু অভিযানে অংশে নেওয়ার পারমিট দেওয়া হয়নি। এবার এটা আমি পেলাম।’
কমবেশি সব পর্বতারোহণে যাওয়ার সময়ই ওয়াসফিয়া একটি থিম ঠিক করেন। যেমন বাংলাদেশের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেভেন সামিট শুরু করেছিলেন তিনি। এবারের থিম কী ছিল? ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী (৫০ বছর পূর্তি) উপলক্ষে ঠিক করেছিলাম কেটু অভিযানে যাব। কিন্তু ২০২০ সালে কোভিডের কারণে এটি পিছিয়ে গেল। এই বছর কেটুতে যেতে পারলাম।’
করোনাকালে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, রাষ্ট্র—সবারই বিভিন্ন পরিকল্পনা পিছিয়েছে। কিন্তু ওয়াসফিয়ার ক্ষেত্রে করোনাকাল অনেক ভোগান্তির, অনেক বেদনার। করোনা মহামারির শুরুতেই কোভিডে আক্রান্ত হন ওয়াসফিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় আইসোলেশনে থাকতে হয় তাঁকে। শারীরিক অবস্থাও ছিল খারাপ। কোভিডের পরই আক্রান্ত হন নিউমোনিয়ায়। ২০ মাস একরকম গৃহবন্দী। এরই মধ্যে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওয়াসফিয়ার বাবা নাজমী জাহান চৌধুরী। বাংলাদেশেই থাকতেন তিনি। কোভিডের প্রকোপ কমে এলে ২০২২ সালে কেটু অভিযানের উদ্যোগ নিলেন ওয়াসফিয়া। করোনায় অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু মনোবল ভাঙেনি। আবার নামলেন প্রশিক্ষণে। কেটুর মতো পর্বত আরোহণের কৌশলগুলো চর্চা করতে লাগলেন আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষকদের অধীনে, যা বেশ কয়েকবছর ধরেই করছেন তিনি।
৯ জুন পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ পৌঁছান ওয়াসফিয়া। ১৬ জুন পৌঁছালেন স্কারডু নামের জায়গায়। ‘এখান থেকেই দুর্গম পথের (ট্র্যাক) শুরু। একটু বেশিই দুর্গম। পাথুরে পথ, লোকজন তো নেই–ই, পথে সাহায্য করার মতো কেউও নেই। এর মধ্যে আবার চীনের সঙ্গে সীমান্ত এলাকা পড়ে এই পথে। ২৯ জুন পৌঁছে যাই কেটু বেজক্যাম্পে।’
দুর্গম পথের বর্ণনায় আরও বলছিলেন ওয়াসফিয়া। এভারেস্টের পথ যেমন পর্বতারোহীবান্ধব, কেটু তেমন নয়। থাকার ব্যবস্থা তাঁবু খাটিয়ে, সাহায্য করার কোনো লোক নেই। পাথুরে পথের এখানে সেখানে মানববর্জ্য, নোংরা আর দুর্গন্ধ। ‘অনেকেই অসুস্থ বোধ করেন এ পথে। আমিও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম,’ বললেন ওয়াসফিয়া।
কেটু অভিযানে ওয়াসফিয়া নাজরীনের দলটা ছিল বেশ বড়। ১২ জনের এ দলে ৬ জন নারী পর্বতারোহী। ‘কোনো দলে এত বেশিসংখ্যক নারী নজিরবিহীন। পর্বতারোহণে আমাদের এ দলের নেতৃত্বে তিনজন প্রবাদপ্রতিম শেরপাও ছিলেন।’ যে দলের সঙ্গে ওয়াসফিয়া অভিযানে গিয়েছিলেন, সে দলে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, অ্যান্ডোরা, স্পেন, নেপাল ও বাংলাদেশের পর্বতারোহীরা ছিলেন। একা একা পর্বতাভিযান করা যায় না। তাই দলবলে যেতে হয়। আর কোভিডের সময় প্রায় দুই বছর কেটু অভিযান বন্ধ ছিল। তাই ভিড় এবার একটু বেশিই।
কেটু কেন এত বিপৎসংকুল? শোনা যাক ওয়াসফিয়ার মুখে, ‘বাইরে থেকে দেখলে আপনি দেখবেন কেটু পিরামিডের মতো। অনেক জায়গাই আছে একেবারে ৯০ ডিগ্রি খাড়া পাহাড়। যেগুলোতে টেকনিক্যাল ও শারীরিক সক্ষমতা ছাড়া আরোহণ করা যায় না। টেকনিক্যাল ক্লাইম্বিংয়েও (সহযোগী সরঞ্জামসহ পর্বতারোহণ) দক্ষ হতে হয়। এভারেস্টে সহযোগী ব্যবস্থা অনেক ভালো। কেটুতে তেমন কিছুই নেই। আর প্রতিনিয়ত পাথরধস হয়। চূড়ায় ওঠার চেয়ে নামাটা অনেক কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। একটা কথা এখানে বলে রাখি। পর্বতের চূড়ায় উঠে নেমে এলেই কিন্তু সামিট হয় না। চূড়ায় উঠে, বেজক্যাম্পে ফিরে এলে তবেই সামিট সম্পন্ন হয়। কেটু থেকে নামার সময় যা হয়—নিচের দিকে তাকিয়ে নামছি, পেছন থেকে হঠাৎ পাথর পড়ল। আমিও পাথরধসের শিকার হয়েছিলাম। আমার হেলমেটে পাথর আঘাত হেনেছিল। এসব ঝুঁকি তো আছেই, সঙ্গে উচ্চতার কারণে অক্সিজেনস্বল্পতা। চূড়ার বেশ নিচ থেকেই বাড়তি অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে। বটলনেক নামে একটা জায়গা আছে, এটা পেরোনো খুবই কঠিন।’
এর বাইরেই কেটুতে আছে মানসিক অবস্থা ঠিক রাখার লড়াই। পর্বতারোহীদের মৃত্যুহার এখানে অনেক বেশি। দুর্ঘটনার শিকার পর্বতারোহীদের মৃতদেহ পড়ে থাকে ট্রেইলেই। মৃতদেহ সরিয়ে নেওয়ার মতো ব্যবস্থাও নেই কেটু পর্বতে। ওয়াসফিয়া বলছিলেন, ‘বিশ্বখ্যাত কয়েকজন পর্বতারোহীর মৃতদেহ আমি দেখেছি। কেউ বসে আছেন, কারও হাত ভাঁজ করা। বরফে মৃতদেহ ভেঙে যায়। মৃতদেহ টপকে সামনে এগোতে হয়। এসব দেখে মানসিক ট্রমা হয়ে যায়। বেশ কয়েক রাত আমি ঘুমাতে পারিনি। স্বপ্নে হানা দিত মৃতদেহগুলো। আফগানিস্তানের প্রথম পর্বতারোহী কেটু অভিযানে গিয়েছিলেন, যাকে আমি পানিও দিয়েছিলাম। ফেরার পথে তাঁরও মৃতদেহ দেখতে পাই।’
কেটুর পাশাপাশি কারাকোরাম পর্বতমালার আরেকটি পর্বতেও উঠতে হয়েছে ওয়াসফিয়া নাজরীনকে। ব্রডপিক নামে এ পর্বতও আট হাজার মিটারের বেশি উঁচু। এটা আরোহণের কারণ অ্যাক্লাম্যাটাইজ করা। অর্থাৎ অনেক উঁচুতে নতুন আবহাওয়া এবং অক্সিজেনস্বল্পতার সঙ্গে শরীরকে খাপ খাইয়ে নেওয়া। ব্রডপিকে সে কাজই করেছেন ওয়াসফিয়া। কেটু বেজক্যাম্প ছিলেন দীর্ঘদিন। বারবার ব্রডপিকে একটু একটু করে উঁচুতে উঠে শরীরকে এই পরিবেশ–পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন।
কেটুর ক্যাম্প–৩ থেকেই সরাসরি চূড়ায় ওঠেন ওয়াসফিয়ারা। ক্যাম্প–৪–এ আর থামেননি। টানা উঠে গেছেন। ২২ জুলাই স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কেটুর চূড়ায় ওড়ান বাংলাদেশের পতাকা। বাংলাদেশের পর্বতারোহণের নতুন ইতিহাস তৈরি হলো। ‘যত কঠিন, দুর্গম আর কষ্টকর হোক না কেন, বাংলাদেশের পতাকাই আমাকে মনের জোর এনে দেয়। যখন ভাবি আমি হেরে গেলে ১৭ কোটি মানুষ হেরে যাবে, তখন কোনো কিছুকেই আর দুর্গম বলে মনে হয় না,’ বললেন ওয়াসফিয়া।
এ ইতিহাস ধরে রাখতে প্রামাণ্যচিত্রও তৈরি করা হচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার এক প্রযোজক এ উদ্যোগ নিয়েছেন। তাই তো কেটু চূড়ায় ওয়াসফিয়া প্রায় এক ঘণ্টা থাকেন। ড্রোন উড়িয়ে ওয়াসফিয়া ও লাল–সবুজ পতাকার চিত্র ধারণ করেন মিংমা শেরপা। এটা চলে প্রায় ৫০ মিনিট। ‘চূড়ায় সে সময় পাকিস্তানি নারী পর্বতারোহীরাও ছিলেন। আমি যখন মুক্তিযুদ্ধের সময়কার পতাকাটা ওড়াচ্ছিলাম, তাঁরা তখন জয় বাংলা স্লোগান দেন। এ তো আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার।’
‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছেন, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাত মহাদেশের সাত সর্বোচ্চ পর্বতচূড়ায় উঠেছেন, এবার আপনিই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি কেটু জয় করলেন। পরবর্তী কোনটা?’
ওয়াসফিয়ার জবাব, ‘আপাতত শরীরকে একটু বিশ্রাম দিই। কেটু অভিযানে আমার ৯ কেজি ওজন কমেছে। সেভেন সামিট করার পর কেটুর আগে আরেকটি কাজ করেছি, যা এখনো চলমান। সেভেন সামিটের মতো “সেভেন ভলকানো” নামে একটা চ্যালেঞ্জ আছে। মানে পৃথিবীর সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরির (নিষ্ক্রিয়) চূড়ায় ওঠা। এটা শুরু করেছি। আপাতত লক্ষ্য ফিল্ম শেষ করা। তারপর যা করার করব।’
এ মুহূর্তে দেশে আছেন ওয়াসফিয়া। এমনিতে বেশির ভাগ সময় থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সঙ্গে কাজ করছেন। কাজ করেছেন অ্যাপল কম্পিউটারের সঙ্গেও। অ্যাপল ওয়াচে ফিটনেসের একটি ফিচারেও যুক্ত হয়েছে ওয়াসফিয়ার নাম। ‘টাইম টু ওয়াক উইথ ওয়াসফিয়া নাজরীন’ ফিচারটি অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহারকারীকে হাঁটার কথা মনে করিয়ে দেয়।
বেশ আগে প্রাচ্যনাটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই ওয়াসফিয়া প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে কাজ করায় আগ্রহী হয়েছেন। করছেনও। আর দুটি বই লিখছেন। একটি কেটু অভিযান নিয়ে গ্রাফিক নভেল। আরেকটা নিজের কথা নিয়ে। ‘এসবের বাইরে আমি লস অ্যাঞ্জেলেসে হেলিকপ্টার চালাই। সেসনা (একধরনের বিমান) দিয়ে শুরু করেছিলাম। কিন্তু সেটা টানল না। তাই হেলিকপ্টার। জানেন, যুক্তরাষ্ট্রে বৈমানিকদের মাত্র ৭ শতাংশ নারী।’
১৯৮২ সালের ২৭ অক্টোবর জন্ম ওয়াসফিয়া নাজরীনের। বাবা নাজমী জাহান চৌধুরী, মা মাহমুদা নাহার। ওয়াসফিয়ার বয়স এখন ৩৯ বছর। ২৯ বছর বয়সে জয় করেছিলেন এভারেস্ট। আর ৩৯–এ কেটু। তবে ওয়াসফিয়ার হিসাবে জীবনের শুরু এখনো হয়নি। ৪০ বছর থেকে তিনি নিজের জীবন শুরু করবেন। সেই জীবনে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবেন ওয়াসফিয়া। ওয়াসফিয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঔজ্জ্বল্য বাড়বে বাংলাদেশের লাল–সবুজ পতাকারও।