ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম থেকে লগআউট হলো কেন

ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রাম আবার সচল হয়েছেরয়টার্স

৫ মার্চ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ব্যবহার করতে করতে হঠাৎ একটি বার্তা দেখতে পান। পর্দায় দেখা যায়, ‘Session expired. Please login again’। লগইন করা আইডিগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগআউট হয়ে যায়। এরপর অনেক ব্যবহারকারী আবার লগইন করার চেষ্টা করলেও লগইন করতে পারেননি। একই সমস্যা মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামেও দেখা যায়। প্রথমে অনেক ব্যবহারকারী ভেবেছিলেন যে তাঁদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ফেসবুকের মাদার কোম্পানি মেটার সার্ভারে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে। প্রায় ৪০ মিনিট পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এরপর ব্যবহারকারীরা আবার লগইন করতে পারেন। পৃথিবীর সব অঞ্চলের ব্যবহারকারীদের থেকে এ ঘটনা সমস্যা নিয়ে অভিযোগ পায় মেটা। অনেক ব্যবহারকারী মেটার মালিকানাধীন থ্রেডস আর হোয়াটসঅ্যাপেও একই সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। তবে এখন পর্যন্ত ফেসবুক থেকে অফিশিয়ালি এ সমস্যার ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

ইলন মাস্কের শেয়ার করা মিম
এক্স থেকে সংগৃহীত

পরে যখন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম আবার সচল হয়, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় মিমের বন্যা বয়ে যায়। ব্যবহারকারীরা ফেসবুক বন্ধ থাকাকালীন তাঁদের অনুভূতি, অভিজ্ঞতা ও হতাশার প্রকাশ ঘটাতে বিভিন্ন ধরনের মিম তৈরি ও শেয়ার করতে থাকেন। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এ সময় বিকল্প যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার বা এক্স ব্যবহার শুরু করেন। টুইটারে #FacebookDown, #FacebookIsDown, #TheWorldWithoutFacebook, #WhereIsEveryone-এর মতো হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং শুরু হয়। ইলন মাস্ক এ ব্যাপারে মজা করে এক্সে একটি মিম শেয়ার করেন। মিমটির সঙ্গে মাস্ক মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোনের পোস্টের একটি স্ক্রিনশট ট্যাগ করেছেন। পোস্টটিতে একটি পেঙ্গুইনকে স্যালুট করছে তিনটি পেঙ্গুইন। মিমটি দিয়ে তিনি বুঝিয়েছেন, মেটার তিনটি প্রতিষ্ঠান ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জার ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান এক্সকে স্যালুট করছে। মিমটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকে মনে করেন, ইলন মাস্ক মিমটির মাধ্যমে ফেসবুকের সমালোচনা করছেন। আবার অনেকে মনে করেন যে তিনি কেবল হাস্যরসিকতা করেছেন।

আরও পড়ুন

ফেসবুক একটি ক্লায়েন্ট সার্ভার মডেল ব্যবহার করে কাজ করে। এই মডেলে দুটি প্রধান উপাদান রয়েছে। ক্লায়েন্ট বা ব্যবহারকারীরা তাঁদের ডিভাইস যেমন কম্পিউটার, মুঠোফোনের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন। ফেসবুক সুপার কম্পিউটারের একটি নেটওয়ার্ক বা সার্ভারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশন পাঠায় এবং জমা রাখে। ফেসবুকের সার্ভার বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ডেটা সেন্টারে অবস্থিত। এসব সেন্টার থেকে ফেসবুক পরিচালিত হয়। এসব সেন্টারের সার্ভারে সমস্যা হলে ওই দেশ বা অঞ্চলে ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যা দেখা যায়। আর মেটার কেন্দ্রীয় সার্ভারে সমস্যা হলে বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সমস্যায় ভোগেন। তবে পাঁচ তারিখ ঠিক কী ঘটেছিল, তা শুধু মেটাই বলতে পারবে।

আরও পড়ুন