প্রতিদিনের জীবনে সুস্থ থাকার জন্য সুষম খাবার গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটি সহজলভ্য খাবার ডিম। এতে নানা পুষ্টিগুণ থাকায় কমবেশি সবাই ডিম খায়। সুপারশপ বা বাজার থেকে ডিম কেনার সময় আমরা যাচাই–বাছাই করে মেয়াদ দেখে কিনি। এর মধ্যে ধরো একদিন বাজার থেকে পুরো এক বক্স ডিম আনলে। কিন্তু খেয়ে শেষ করার আগেই দেখলে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কী করবে? ডিমগুলো ফেলে দেবে? মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ডিম খাওয়া কি নিরাপদ? চলো জেনে নিই।
যুক্তরাষ্ট্রের পোলট্রি অ্যান্ড এগ অ্যাসোসিয়েশনের রাফায়েল ই রিভেরার মতে, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ দিয়ে মূলত ডিমের গুণমান এবং সতেজতা কত দিন থাকবে তা বোঝায়। এর মানে মেয়াদোত্তীর্ণের পরে ডিমের গুণমান কমে যায়।
ফ্রিজে রেখে প্যাকিংয়ের তারিখের তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে চাইলে নিরাপদে ডিম খেতে পারবে। এর মানে, এই সময়ের মধ্যে যতক্ষণ ডিমগুলো ফ্রিজের ঠান্ডা অংশে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে এবং সতেজ থাকছে, ততক্ষণ মেয়াদ শেষ হলেও খেতে পারবে। তবে জেনে নিতে হবে, ডিমগুলো সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা ছিল কি না।
এমনিতে যে ডিমগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, সেগুলো কাঁচা বা রান্না করা যাই হোক না কেন, এটি থেকে বাজে দুর্গন্ধ আসবেই। ডিম পচা কিনা অনেক সময় বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় না। রান্নার তাই ডিমটি একটি পরিষ্কার বাটিতে ভেঙে দেখতে পারো। এ ছাড়া তুমি যদি নষ্ট ডিম সেদ্ধ করো, সেই ডিম থেকেও বাজে গন্ধ আসবে। ডিম তাজা হলে সিদ্ধ করার পর মাঝামাঝি কাটলে ঠিক মাঝখানে কুসুম দেখা যায়।
আর যদি কোন সন্দেহ থেকে যায়, তাহলে নিজের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। এই ক্ষেত্রে ডিম ফেলে দেওয়া ভাল। কারণ মেয়াদউত্তীর্ণ নষ্ট ডিম যে খাবারে ব্যবহার করা হবে সেই খাবারও কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। আর সংক্রমণের কারণে পেটে ব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাব, ঠান্ডা লাগা, মাথাব্যথা, মলের সঙ্গে রক্তপাত-সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মেয়াদ শেষ হলে ডিম না খাওয়াই ভালো।