ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লার যে লাইব্রেরিতে বই পড়া যায়

কুমিল্লা বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন। যা কুমিল্লা টাউন হল নামে পরিচিতছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহে ভাষাসৈনিক অ্যাডভোকেট মোস্তফা এম এ মতিন স্মৃতি পাঠাগারের যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে। নগরীর শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যানে এ স্মৃতিপাঠাগার রোববার ছাড়া প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকে। পাঠাগারে আসা মানুষ কিংবা শিক্ষার্থীরা এই পাঠাগারে বসে ব্রহ্মপুত্র নদের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে বই পড়েন।

বন্ধুরা, এবার আমরা কমলালেবুর দেশ সিলেটে যাই। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৩৫ সালে। কবি জসীমউদ্‌দীন, সৈয়দ মুজতবা আলী একাধিকবার অতিথি হয়ে এই গ্রন্থাগারে গিয়েছেন। মাত্র ১৭টি বই নিয়ে সংসদের লাইব্রেরি গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে বই আছে ৪২ হাজার। এ ছাড়া সংসদে সংরক্ষিত আছে দেড় হাজার দুষ্প্রাপ্য পুস্তক; ৫০টি পাণ্ডুলিপি, প্রাচীন পত্রপত্রিকা, মোগলসম্রাট আওরঙ্গজেবের হাতে লেখা কোরআন শরিফ এবং অন্য প্রত্নসামগ্রী। পাঠকদের পাশাপাশি গবেষকদেরও বিশেষ পছন্দের এই গ্রন্থাগার।

কুমিল্লার গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন, যা কুমিল্লা টাউন হল নামে পরিচিত। প্রতিষ্ঠা ১৮৮৫ সালে। গ্রন্থাগারে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, রাজমালা থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কবি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মনীষীদের রচনাসমগ্র রয়েছে। এখানে আছে বাংলা ভাষার ২৪ হাজার বই ও ইংরেজি ভাষার ৬ হাজার বই। ৩০ হাজার বই দিয়ে ৬৩টি আলমারি সজ্জিত। সদস্যরা একসঙ্গে এক সপ্তাহের জন্য তিনটি বই নিতে পারেন। তা ছাড়া সংরক্ষিত গ্রন্থগুলো গ্রন্থাগারে বসে পড়া যায়। নিচতলায় সব পাঠকের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে ৪৪টি জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িকী। পুরোনো পত্রিকার কপি দেখতে পারেন যে কেউ।

আরও পড়ুন