‘মা, একটা গিটার কিনব।’
সন্তানের আচমকা আবদারে ভুরু বাঁকাল মা। সাধারণত আবেদনগুলো থাকে কম্পিউটারের নতুন পার্টসকেন্দ্রিক। সহসা বাদ্যযন্ত্র হানা দিল কোত্থেকে! তবে কিছুক্ষণের চেষ্টায় নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বলল, ‘কিনলে কিনবি, আমার কাছে কী?’
‘টাকা লাগবে।’
‘আমি কি চাকরি করি? টাকা পাব কই? টাকা নেই।’ ঘোষণা দিল মা।
এ ধরনের প্রত্যাখ্যান পেয়ে পেয়ে তত দিনে অভ্যাস হয়ে গেছে। তাই হাল ছাড়লাম না। চলল রীতিমতো ছয় মাসের খণ্ডযুদ্ধ। এক কম্পিউটার কেনার লড়াই তত দিনে সংসারে আমার পরিচয় ‘কুলাঙ্গার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। সুতরাং নতুন করে সম্মান হারানোর ভয় নেই। আছে কেবল পাওয়ার সম্ভাবনা।
সে যাত্রায় অবশ্য গিটারের টাকা মায়ের থেকে পাওয়া যায়নি। এক বন্ধুর বড় ভাইয়ের থেকে ধার করতে হয়েছিল, যা বেশ কয়েক বছর পর মায়ের সহযোগিতাতেই ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়। সুতরাং গিটার কেনার ভূমিকায় তার অবদান অস্বীকার করলে অন্যায় হবে। আসলে সংসারের জটিল হিসাব–নিকাশ সামলাতে গিয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণির যে নাভিশ্বাস উঠে যায়, তা সন্তানের কাছে শতভাগ প্রকাশ করা চলে না। আর সন্তানেরাও অতখানি বুঝে ফেলার দায় দেখায় না। তাদের যে জিনিস চাই, তক্ষুনি চাই। না পেলেই সর্বনাশ! আমিই–বা ব্যতিক্রম হই কীভাবে? বয়সটাই যে অমন!
দোকান থেকে এক বন্ধুর সহযোগিতায় সেই গিভসন জাম্বো গিটার যখন বাড়িতে এনে তুললাম, তখন আমার আনন্দ আর দেখে কে! গিটার শিখব, দারুণ সব গান বাজাব, মানুষের মুখে মুখে ঘুরবে আমার করা সুর। এত দিন বাথরুমে কণ্ঠ বেজেছে, এখন বাজবে সিডিতে। কিন্তু ময়দানে নেমে অনুভব হলো কাজটা মোটেই সহজ নয়! অন্তত আমার মতো অলস মানুষের পক্ষে। তাই শেষতক আর শেখাও হয়নি, বছরের পর বছর টেবিলের এক পাশে দাঁড়িয়ে নিয়মিত ধুলা সঞ্চয় করে গেছে শখের বাদ্যযন্ত্র। ওইটুকুই তার ভূমিকা। প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে এই বস্তু কেনার জন্য এত মরিয়া হয়ে উঠলাম কেন? কারণটা নেহাতই সুরের মোহ, যা তৈরি করেছিল একটি জাপানিজ অ্যানিমে—বেক।
বেক—মঙ্গোলিয়ান চপ স্কোয়াড। অদ্ভুত নামের এই অ্যানিমেটা খুঁজে পেয়েছিলাম অনেকটা নিজের উদ্যোগেই। নানান দেশি–বিদেশি অ্যানিমে ফোরামে ঘুরে বেড়াতাম। ডজন ডজন অ্যানিমে–ভক্ত বন্ধু ছিল। কী সব অ্যানিমে মুক্তি পেতে চলেছে, কবে কোনটা বিখ্যাত হয়ে গেছে, এসব ছিল জানাশোনা। সেভাবেই কোনো এক চমৎকার দিনে সামনে চলে এসেছিল সিরিজটা। ব্যান্ডসংগীতের বড় ভক্ত ছিলাম এমন নয়, তবে দেশীয় ব্যান্ড যাত্রার কিছু আঁচ না চাইতেও গায়ে এসে লাগত। অনেক কিংবদন্তি ব্যান্ড সেই উনিশ শ আশি-নব্বই কিংবা দুই হাজারের অগ্রভাগে টেনে তুলছিল দেশের সংগীতাঙ্গনকে। যাদের মধ্যে সোলস, মাইলস, নগর-বাউল, আর্ক, এলআরবি, ওয়ারফেজ, আর্টসেল এদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মনোযোগী শ্রোতা না হলেও দু-একটি গান আমিও গুনগুন করতাম লোডশেডিংয়ের ঘণ্টাব্যাপী অবসরগুলোতে। তাই হয়তো ব্যতিক্রমধর্মী অ্যানিমে হলেও বেক কাছে টেনেছিল।
বেক কিছু সংগীতপ্রেমী কিশোর বা যুবকের একত্র হওয়ার গল্প। সংগ্রামের গল্প, প্রচেষ্টার গল্প। নিজেদের ভালো লাগাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য অদম্য চেষ্টার কথা এতে রয়েছে। ঘটনার শুরু হয় ১৪ বছরের ছেলে ইউরিকো তানাকার সঙ্গে। পরিচিতদের অনেকেই তাকে অবশ্য কোইউকি নামে ডাকে। আর দশটা স্কুলপড়ুয়া ছেলের মতোই নিস্তরঙ্গ তার জীবন। মাঝেমধ্যে সে বন্ধু তানাবের দুষ্টুমিতে শামিল হয় অনিচ্ছায়। বয়সে সামান্য বড় ইজুমিকে সে পছন্দ করে, কিন্তু সরাসরি বলার সাহস দেখায় না।
একদিন চলতি পথে কোইউকি এক অদ্ভুতদর্শন কুকুরের দেখা পেল। কুকুরটাকে কিছু ছেলেছোকরা বড্ড উত্ত্যক্ত করছিল। ওদের তাড়িয়ে কুকুরটাকে বাঁচায় সে। কিন্তু কিসের কী! কুকুরটা বেইমানের মতো তেড়ে কামড়াতে আসে ওকেই। ঠিক তখন কুকুরের পালক রুউস্কে এসে তাকে বাঁচায়। সেই থেকেই ছেলেটির সঙ্গে ওর আলাপ। বয়সে ওর থেকে মাত্র দুই বছরের বড় হলেও রুউস্কে ইতিমধ্যে এক কিংবদন্তি। আমেরিকান বিখ্যাত ব্যান্ড ‘দ্য ডাইং ব্রিড’-এর গিটারিস্ট ছিল সে। কোনো কারণে ফিরে এসেছে জাপানে। কথায় কথায় ঝটপট ইংরেজি বলে সে, নিত্যদিন তার সঙ্গী হয় নতুন কোনো বান্ধবী। এখানে এসেও সে ব্যান্ড গড়েছে, কিন্তু সেখানে ঠিক জমছে না ওর, লেগে আছে অন্য এক গিটারিস্টের সঙ্গে বিবাদ। তাই নিজের মতো আরেকটা দল গড়ার চেষ্টায় লেগে পড়ে রুউস্কে। খুঁজে বের করে বেজ গিটারিস্ট, ড্রামার, কণ্ঠশিল্পীকে।
ওদিকে এদের দলেবলে থেকে কোইউকির আগ্রহ জাগতে শুরু করে সংগীতে। তত দিনে ইজুমির সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা সহজ হয়েছে। দুজনে একসঙ্গে রুউস্কের বাড়িতে ঘুরতে যায় ওরা। কোইউকির সংগীতে আগ্রহ দেখে রুউস্কে তার গিটার ধার দেয় ওকে। মহানন্দে সেই গিটার নিয়ে শুরু হয় তার সংগীতশিক্ষা। তারপরই হয় বিপদ, ভেঙে যায় গিটার, ফলে রুউস্কের সঙ্গে সদ্ভাব ভেঙে পড়ে। দিশাহারা কোইউকির পাশে এসে দাঁড়ায় এক পাগলাটে ভদ্রলোক। অতীতে সংগীতচর্চায় নিবেদিত হয়েছিল সে ব্রিটিশ ব্যান্ড ‘রকেট বয়েজ’-এর প্রতি ভালোবাসা থেকে। তারপর জীবনের প্রয়োজনে সরে গেছে সেসব থেকে দূরে। কোইউকিকে গিটারে হাতেখড়ি দেয় সে। তার ভাঙা গিটার মেরামত করতে সাহায্য করে। এমনকি নিজের একখানা পুরোনো গিটার দিয়েও তার উপকার করে। সেটাই সঙ্গী করে একটু একটু করে গিটার শেখে ছেলেটা। কিন্তু গিটারের চেয়েও তার বড় একটা প্রতিভা আছে, যার আঁচ পেয়েছিল রুউস্কের ছোট বোন মাহো। কোনো এক পড়ন্তবেলার নির্জনে ওকে গান শুনিয়েছিল কোইউকি। কণ্ঠের সেই মুগ্ধতা সে জানিয়েছিল তার ভাইকে। যদিও সে সময় মাহোর আবেদনকে কেউ পাত্তা দেয়নি। কিন্তু সত্যিকারের প্রতিভা নিজের রূপ দেখাবেই, তাকে আটকে রাখা যাবে না।
এভাবেই এগিয়েছে বেক–এর কাহিনি। গল্পের প্রধান চরিত্র কোইউকি হলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র সে নয়। এ ক্ষেত্রে রুউস্কেকে এগিয়ে রাখতে হয়। পুরো ব্যান্ডটা তার চিন্তা থেকেই গড়ে উঠেছে। তার সুরে নির্ভর করেই দাঁড়িয়েছে তাদের দল বেক। দলটির নাম হুট করেই রাখা হয়েছিল তাদের অদ্ভুতদর্শন কুকুরটির নামে। এ ছাড়া দলের বাকি সদস্যরা নিজে নিজে স্থানে গুরুত্ব ধরে রেখেছে। যেমন তাইরা বেজ গিটারে সিদ্ধহস্ত। তাই তাকে দলে ভেড়ানোর জন্য রুউস্কে আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী এইজি তোড়জোড় চেষ্টায় নামে। এ ছাড়া ভোকাল বা কণ্ঠশিল্পী চিবা দলে যোগ দেয়, তার কণ্ঠ একেবারে দুর্দান্ত না হলেও তাতে নির্দিষ্ট কিছু ধরনের গানে বেশ ভালো লাগে। যদিও চিবা অন্য কিছু ক্ষেত্রে গল্পে বেশি ভূমিকা রেখেছে। বিভিন্ন সময় কোইউকির উদ্ধারকর্তা হিসেবে দেখা গেছে তাকে। এ ছাড়া অতি অবশ্যই বলতে হবে ড্রামার ইউজির কথা। ছেলেটি কোইউকির সমবয়সী ও সহপাঠী। বেক ব্যান্ডের একেবারে শুরুর সদস্য না হলেও যখন থেকে সে ব্যান্ডে যোগ দিয়েছে, বেড়েছে দলের দক্ষতা। ব্যান্ডে থিতু হতে সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে কোইউকির। তবে শেষ পর্যন্ত সে-ই হয়ে উঠেছে দলের মধ্যমণি।
নানান প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে ব্যান্ডটিকে। আর সে সবকিছুই চমৎকারভাবে দেখানো হয়েছে গল্পে। কীভাবে সুরের মোহে একে অপরের সঙ্গে একত্র হয়ে একটি ব্যান্ড গড়ে ওঠে, তারা কী সব কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ে, সেখান থেকে কীভাবে একটু একটু করে নিজেদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করে, তা দেখানো হয়েছে নিখুঁত আঙ্গিকে। প্রত্যেকেই লড়ছে নিজের নিজের লড়াই। কখনোবা তারা বিবাদে জড়িয়ে গেছে নিজেদের মধ্যে, আবার ফিরে আসার চেষ্টা করেছে দলের প্রয়োজনে। বিচ্ছিন্ন হলেও মনে রেখেছে পরস্পরের কথা। সংগ্রাম করেছে আবার উঠে দাঁড়াতে। অর্থাভাব, লোকবলের অভাব কিংবা বাহ্যিক ষড়যন্ত্র—সবকিছুই জয় করেছে সুরের জোরে, গানের ক্ষমতায়।
মূল কাহিনিটি বেশ গম্ভীর ধাঁচের হলেও সিরিজে সামান্য কিছু আনন্দ বিলিয়ে গেছে কোইউকির সংগীতগুরুর কথা বলা কাকাতুয়া ‘পেজ’। সময়ে–অসময়ে মন্তব্য করে কোইউকির বিরক্তি উদ্রেক করলে সেসব আখেরে ছেলেটার কাজেই লেগেছে। এ ছাড়া খোদ গুরু সাইতো হাসিয়েছে বেশ কয়েকবার। বিশেষ করে সে যখন সাঁতার শেখাতে গেছে, সেই সময়গুলোতে।
গল্পে কিছু প্রেমের আঙ্গিকও আছে। যেমন কোইউকি আর মাহোর মধ্যে বেশ অন্তরঙ্গতা গড়ে ওঠে। কিংবা বলা যায় ইজুমির কথাও। কিন্তু সিরিজের একেবারে শেষ পর্যন্ত না গেলে এর পরিণতি ঠিক আঁচ করা যাবে না। লেখক খুব দক্ষতার সঙ্গে এমন একটা আবেশ তৈরি করেছেন, যাতে প্রেমের বিষয়টি নিয়ে একটা প্রচ্ছন্ন শঙ্কা থেকে যাবে দর্শকের মধ্যে।
এ ছাড়া কিশোরদের স্কুলজীবনের কিছু অংশ উঠে এসেছে সময় সময়, যেখানে দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার নিত্য হয়। সেখান থেকে শুধু ভদ্রতা করে বেরিয়ে আসা যায় না সব সময়। কারও বিনয়ের সুযোগ নিয়ে তাকে অন্যায্যভাবে ব্যবহার করার ব্যাপারটা যেমন দেখানো হয়েছে, তেমনি দেখানো হয়েছে এসব কাজের পরিণতিও শতভাগ ভালো হয় না।
অনেকগুলো গান স্বভাবতই রয়েছে এই অ্যানিমেতে। একেবারে শুরুর গান এবং শেষের ক্রেডিটের গানটি তো ভালো বটেই। তা ছাড়া সিরিজের বিভিন্ন এপিসোডে যেসব গান গাওয়া হয়েছে, তার অধিকাংশই দারুণ। একেবারে শেষ দিকে কোইউকির কণ্ঠে দুটো গান রয়েছে। ওই গানগুলো আবেগের যে স্তর স্পর্শ করেছে, তা বোধ হয় অন্য গানগুলো অতখানি পারেনি। কারণ, পুরো সিরিজের সংগ্রামী যাত্রাটুকুকে নিংড়ে দেওয়া হয়েছে ওখানে। দর্শক হিসেবে আমিও ব্যান্ডের ওই পরিস্থিতিতে ওইভাবে একত্র হয়ে গান গাওয়া দেখে ভীষণ আবেগতাড়িত হয়েছি। বোধ করি তোমরাও হবে। নানান ঘাত-প্রতিঘাত কাটিয়ে একজন আদর্শ শিল্পী হয়ে ওঠা কোইউকির জন্য গর্ব হবে তোমাদেরও। তবে হ্যাঁ, একটা বিষয়ে সতর্ক করে রাখা এ ক্ষেত্রে কর্তব্য বোধ করছি। অধিকাংশ গানই হয়েছে ইংরেজিতে এবং জাপানিজরা সাধারত আদর্শ ইংরেজি উচ্চারণে অতটা পটু নয়। অতএব, গানের ক্ষেত্রেও উচ্চারণের এই খামতি বড় প্রকট। সেটুকু হয়তো তোমাদের খানিক আশাহত করতে পারে। কিন্তু সুর তোমাদের স্পর্শ করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বেক সিরিজটি লিখেছেন লেখক তাকাহিরো সাকুইশি। তবে মাঙ্গাতে তাঁর ছদ্মনাম হিসেবে লেখা হয়েছে হ্যারল্ড সাকুইশি। ভদ্রলোক নিজে একজন রক মিউজিকের ভক্ত। আর সেই ভক্তির প্রভাব নানান আঙ্গিকে এসে সমৃদ্ধ করেছে সিরিজটিকে। বেক দলটি তার পছন্দের ব্যান্ড রেড-হট-চিলি-পেপারের আলোকে তৈরি। গল্পে নানান সময় কিছুটা পরিবর্তিত আঙ্গিকে তুলে আনা হয়েছে কোনো কোনো বাস্তব মিউজিশিয়ান বা ব্যান্ডের দৃষ্টান্ত। সব মিলে তার এই আয়োজন ২০০২ সালে জয় করেছিল কোদানশা মাঙ্গা পুরস্কার। কেবল মাঙ্গা হিসেবেই নয়, বেক অ্যানিমেও পেয়েছিল যথেষ্ট জনপ্রিয়তা। এর ওপর তৈরি হয়েছিল লাইভ অ্যাকশন চলচ্চিত্র আর ভিডিও গেমস। মুক্তি পেয়েছিল বেক–এর গান নিয়ে অডিও অ্যালবাম। লাইভ অ্যাকশন সিনেমার শুরুর গানটি ছিল ব্যান্ড রেড-হট-চিলি-পেপারের আর সমাপ্তির গান গেয়েছিল ব্যান্ড ওয়েসিস।
জাপানিজরা গুছিয়ে উপস্থাপন করতে জানে, তাই তাদের আয়োজন এতটা হৃদয়গ্রাহী আর বিশেষ হয়। সিরিজের অনেক ক্ষেত্রেই আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছি। গল্পের ভিড়ে তোমার-আমার মতো অনেকেই মিশে যায় এভাবেই। ছড়িয়ে থাকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু টুকরা। তাই সামগ্রিক যাত্রা আমাদের জীবনের সঙ্গে শতভাগ না মিললেও একাত্ম হওয়া যায়। চরিত্রগুলোর জয় হয়ে ওঠে নিজেদের জয়। তাদের ছোটখাটো পরাজয়ও বড় কষ্ট দেয়। কখন যেন তাই আমরাও হয়ে উঠি গল্পের অংশ, চেয়ারে বসেই ঘুরে আসি ভিন্ন জগৎ। গল্পের ভেতর দিয়েই স্পর্শ করি পরস্পরের আগ্রহ। আলাদা হয়েও দিন শেষে তাই সবাই এক; কারণ, আমরা অ্যানিমে ভালোবাসি।