নতুন প্রজন্মের অধিকাংশ শিশু–কিশোরের অবসর সময় কাটে অনলাইনে। স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে অনেকের শৈশব হয়ে উঠেছে যান্ত্রিক আর বেরঙিন। তাই স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বিনোদনের জগৎটা আরও একটু প্রসারিত করতে চায় মাসিক ম্যাগাজিন কিশোর আলো। এখন নিয়মিত দেশের বিভিন্ন স্কুলে ‘আনন্দঘণ্টা’ নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে কিশোরদের রঙিন ম্যাগাজিন কিআ! অনলাইন নয়, এই আয়োজনে গুণীজনেরা শিক্ষার্থীদের সামনে সরাসরি উপস্থিত হচ্ছেন। অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তব্য, মজার জাদু, গান আর কুইজ নিয়ে আয়োজিত আনন্দঘণ্টা শিক্ষার্থীদের বোরিং সময়কে আনন্দময় করতে চায়। আজ ২৯ ফেব্রুয়ারির বিশেষ দিনে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে হাজির হয়েছিল কিশোর আলো।
ড্যান কেকের সহযোগিতায় আয়োজিত আজকের আনন্দঘণ্টায় বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একঝাঁক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক ও বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাজ্জাদুর রহমান।
কিআ সম্পাদক আনিসুল হক নিজের বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের কৌতুক শোনানোর পাশাপাশি প্রচুর বই পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বই পড়লে মানুষের কল্পনাশক্তি বাড়ে। আনিসুল হকের সঙ্গে সব শিক্ষার্থী উচ্চ স্বরে তিনটি ‘ম’কে ‘না’ বলে। মিথ্যা, মাদক এবং না বুঝে মুখস্থ করা, এই তিন ‘ম’ থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করেন তিনি। তিনি বক্তব্যের মধ্যেই কুইজের মতো প্রশ্ন করেন, যার সঠিক উত্তর দিতে পারায় পুরস্কৃত হয় শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া কয়েকজন ছাত্রছাত্রী গান গেয়ে কিংবা কবিতা আবৃত্তি করে জিতে নেয় আকর্ষণীয় পুরস্কার। এ সময় আনিসুল হকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘এক দুই, এক দুই তিন’ ছন্দে তালি বাজায় শিক্ষার্থীরা। স্কাউটের তালি নামে পরিচিত এই তালির ধরন একটি বিশেষ আবহ সৃষ্টি করে আনন্দঘণ্টার আসরে।
আনন্দঘণ্টার অন্যতম আকর্ষণ ছিল জনপ্রিয় জাদুকর রাজীব বসাকের জাদু। চোখের সামনে জাদুকর রাজীব বসাক অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে পানির বোতল নিয়ে সেই পানিকে মুহূর্তেই বরফে পরিণত করেন। জাদুর মাধ্যমে আগুন নিভিয়ে ফুল নিয়ে আসেন তিনি। উৎসুক শিক্ষার্থীরা আগ্রহসহকারে চোখের সামনে জাদু দেখেছে।
এরপর ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মেহরাব উপস্থিত হন শিক্ষার্থীদের সামনে। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে তিনি পরিবেশন করেন তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর, নাসেক নাসেক, তোমার জন্য নীলচে তারার একটুখানি আলো এবং সেই তুমির মতো জনপ্রিয় গানগুলো। তাঁর মনকাড়া গানের পর সবাই মিলে গ্রুপ ছবি তোলে। আর অটোগ্রাফের জন্য ভিড় জমাতে কিন্তু ভোলেনি শিক্ষার্থীরা!