প্লুটো (বামন গ্রহ)
একসময় প্লুটো গ্রহের মর্যাদা পেলেও কয়েকটি কারণে তা হারিয়েছে। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের চেয়েও ছোট প্লুটো। তা ছাড়া প্লুটো সূর্যের চারপাশে ঘোরার সময় নেপচুনের কক্ষপথে ঢুকে পড়ে, আবার বেরিয়েও যায়। ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৯ সালের শুরুর দিকে প্লুটো গ্রহের মর্যাদা নিয়ে ছিল সৌরজগতে। ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্লুটো নেপচুনের কক্ষপথে ঢুকে পড়ে। গ্রহটি নেপচুনের বাইরে ২২৮ বছর থাকবে। এরপর আবার ঢুকে পড়বে নেপচুনের কক্ষপথে। পৃথিবীর হিসাবে সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসতে প্লুটোর ২৪৮ বছর সময় লাগে। সৌরজগতের অন্য গ্রহগুলোর তুলনায় এটি ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি কাত হয়ে থাকে। এটি একটি ঠান্ডা পাথুরে গ্রহ। প্লুটোর ক্ষণস্থায়ী বায়ুমণ্ডল আছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নিউ হরাইজনস মিশন ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই প্লুটোর ইতিহাসে প্রথমবার ফ্লাইবাই করে। অর্থাৎ প্লুটোর পাশ দিয়ে উড়ে যায়।
২০০৬ সালের ২৪ আগস্ট গ্রহের মর্যাদা হারায় প্লুটো। এর কারণ, আগে গ্রহের যে আনুষ্ঠানিক সংজ্ঞা ছিল, তাতে পরিবর্তন আনা হয়। নতুন সংজ্ঞায় ঠিক করা বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিল না থাকায় প্লুটোকে আর গ্রহের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তখন থেকে প্লুটোকে বলা হয় ছোট আকারের গ্রহ বা বামন গ্রহ। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে পারো মজার এই কমিকস থেকে।
প্ল্যানেট নাইন
প্ল্যানেট নাইন নেপচুনেরও ২০ গুণ দূর দিয়ে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে বলে অনুমান করা হয়। বিজ্ঞানীরা প্ল্যানেট নাইনকে কখনো সরাসরি দেখেননি। তবে কুইপার বেল্টে অন্যান্য বস্তুর ওপর এর মহাকর্ষীয় প্রভাব দ্বারা প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব অনুমান করা যায়। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইক ব্রাউন ও কনস্ট্যান্টিন ব্যাটিজেন অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় প্ল্যানেট নাইন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। গাণিতিক মডেল ও কম্পিউটার সিমুলেশনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল গবেষণাপত্রটি।